রূপনারায়ণ নদ

রূপনারায়ণ নদী হল দ্বারকেশ্বর নদশিলাই নদীর মিলিত প্রবাহ। দ্বারকেশ্বর নদ পুরুলিয়ার ছোটনাগপুর মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে বাঁকুড়া জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল শহরের কাছে শিলাই নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে রূপনারায়ণ নদীর জন্ম হয়; এরপর কিছুপথ প্রবাহিত হয়ে তা পুরনো দামোদর নদ বা মুণ্ডেশ্বরী নদীর সঙ্গে মিলিত হয়। এই মিলিত স্রোত এরপর হুগলি নদীতে এসে পড়ে। নদীটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৮০ কিলোমিটার। নদীটি ইলিশ মাছের জন্য বিখ্যাত। এছাড়া এই নদীর তীরেই স্থাপিত হয়েছে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। নদীটি বর্ষার সময় বন্যার সৃষ্টি করে। তাই নদীটিতে কিছু স্থানে নদী বাঁধ গড়া হয়েছে।[1] নদীটিকে কেন্দ্র করে জলপথে পণ্য পরিবহনের কথা ভাবছে কেন্দ্র সরকার[2] নদীটি বর্তমানে নাব্যতা সংকট, দূষন জলের সমস্যায় জর্জরিত।[3]

রূপনারায়ণ নদী
রূপনারায়ণ নদী ও হুগলি নদী মিলন স্থল গাদিয়ারা
রূপনারায়ণ নদী ও হুগলি নদী মিলন স্থল গাদিয়ারা
দেশ ভারত
রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ
অঞ্চল
জেলাসমূহ পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া জেলা
নগর ঘাটাল, কোলাঘাট,
Landmark কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
উৎস দ্বারকেশ্বর নদশিলাই নদী
 - অবস্থান ঘাটাল, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
মোহনা হুগলি নদী
 - অবস্থান গাদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
দৈর্ঘ্য ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল)
দামোদর উপত্যকার মানচিত্র
দামোদর উপত্যকার মানচিত্র

তথ্যসূত্র

  1. "ফাটল বাড়ল রূপনারায়ণ নদীবাঁধে"আনন্দবাজার প্রত্রিকা। ৯ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৬
  2. "জলপথের প্রচারে গডকরি"
  3. বন্দ্যোপাধ্যায়, দিলীপকুমার (২০০৭)। বাংলার নদনদী। কলকাতা: দে’জ পাবলিশিং। অজানা প্যারামিটার |নদীটির মাঝখানে বড়ো আকারের চরাবালি রয়েছে, নদীটি ক্রমশ গভীর এবং চওড়া হয়ে যাচ্ছে ।ইউআরএল= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.