যোগাযোগ-প্রণালীর ধারণক্ষমতা
তড়িৎ প্রকৌশল, পরিগণক (কম্পিউটার) বিজ্ঞান ও তথ্য তত্ত্ব ক্ষেত্রে যোগাযোগ-প্রণালীর ধারণক্ষমতা বলতে কোনও যোগাযোগ প্রণালীর ভেতর দিয়ে যে হারে নির্ভরযোগ্যভাবে তথ্য প্রেরণ বা স্থানান্তর করা সম্ভব, সে হারের আঁটো ঊর্ধ্ব সীমাকে বোঝায়।
তথ্য তত্ত্ব |
---|
![]() |
|
|
|
কোলাহলপূর্ণ যোগাযোগ প্রণালী সংকেতলিখন উপপাদ্য অনুযায়ী কোনও প্রদত্ত যোগাযোগ প্রণালীর ধারণক্ষমতা হল যাদৃচ্ছিক ক্ষুদ্র ত্রুটির সম্ভাবনাসহ সর্বোচ্চ তথ্য হার (যার একক হল প্রতি একক সময়ে তথ্য)[1][2]
১৯৪৮ সালে ক্লড শ্যানন প্রণীত তথ্য তত্ত্বে যোগাযোগ প্রণালীর ধারণক্ষমতার ধারণাটির সংজ্ঞা ও সেটিকে পরিগণনা করার একটি গাণিতিক প্রতিমান (মডেল) প্রদান করা হয়েছে। তত্ত্বটির প্রধান ফলাফলটি অনুযায়ী উপরে সংজ্ঞায়িত যোগাযোগ প্রণালীর ধারণক্ষমতা হল প্রণালীর প্রবিষ্ট ও বহির্গত উপাত্তের মধ্যকার পারস্পরিক তথ্যের সর্বোচ্চ পরিমাণ, যেখানে প্রবিষ্ট বিতরণের সাপেক্ষে সর্বোচ্চকরণ করা হয়।[3]
যোগাযোগ প্রণালীর ধারণাটি আধুনিক তারভিত্তিক ও তারবিহীন যোগাযোগ ব্যবস্থাগুলির বিকাশে কেন্দ্রীয় ভূমিকা রেখেছে। নতুন নতুন ত্রুটি সংশোধন সংকেতলিখন পদ্ধতির আগমনের ফলে তথ্য স্থানান্তরে যোগাযোগ প্রণালীর ধারণক্ষমতাতে প্রতিশ্রুত সীমার খুব কাছাকাছি সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
তথ্যসূত্র
- Saleem Bhatti। "Channel capacity"। Lecture notes for M.Sc. Data Communication Networks and Distributed Systems D51 -- Basic Communications and Networks। ২০০৭-০৮-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- Jim Lesurf। "Signals look like noise!"। Information and Measurement, 2nd ed.।
- Thomas M. Cover, Joy A. Thomas (২০০৬)। Elements of Information Theory। John Wiley & Sons, New York। আইএসবিএন 9781118585771।