পরশুরাম উপজেলা
পরশুরাম উপজেলা বাংলাদেশের ফেনী জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
পরশুরাম | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() ![]() পরশুরাম ![]() ![]() পরশুরাম | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°১২′৩৬.০০০″ উত্তর ৯১°২৫′৪৮.০০০″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | ফেনী জেলা |
সংসদীয় আসন | ২৬৫ ফেনী-১ |
সরকার | |
• সংসদ সদস্য | শিরীন আখতার (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল) |
আয়তন | |
• মোট | ৯৫.৭৫ বর্গকিমি (৩৬.৯৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ১,০১,০৬২ |
• জনঘনত্ব | ১,১০০/বর্গকিমি (২,৭০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৭.৩০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩৯৪০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ৩০ ৫১ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান ও আয়তন
পরশুরাম উপজেলার আয়তন ৯৫.৭৬ বর্গ কিলোমিটার। এটি আয়তনের দিক থেকে ফেনী জেলার সবচেয়ে ছোট উপজেলা।[2] এ উপজেলা ২৩৹ ১৩’ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১৹ ২৬’ পূর্ব দ্রাঘিমা রেখায় অবস্থিত। এ উপজেলার উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিম ভারতের ত্রিপুরা এবং দক্ষিণে ফুলগাজী উপজেলা। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া - এখানকার নদ-নদী।
ইতিহাস
উপজেলা সৃষ্টির সাথে সাথে এ পরশুরাম উপজেলা গঠিত হয়। তৎসময়ে ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে যাত্রা শুরু করে। গত ২০০২ সালের ২৭ শে মার্চ পরশুরাম উপজেলা ভেঙ্গে ফুলগাজী উপজেলা গঠিত হওয়ায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৩টি ইউনিয়ন নিয়ে পরশুরাম উপজেলা। বিগত ১৯৮৩ সাল থেকে এ উপজেলার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কথিত আছে , অত্র এলাকায় জনৈক পরশুরাম চৌধুরী নামীয় একজন জমিদারের নামে পরশুরাম উপজেলার নামকরণ করা হয়।[3]
ভাষা ও সংস্কৃতি
পরশুরাম উপজেলার ভূ-প্রকৃতি ও ভৌগোলিক অবস্থান এই উপজেলার মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত এই উপজেলার তিন দিকে ঘিরে রয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। এখানে ভাষার মূল বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলার মতই, তবুও কিছুটা বৈচিত্র্য খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন কথ্য ভাষায় মহাপ্রাণধ্বনি অনেকাংশে অনুপস্থিত, অর্থাৎ ভাষা সহজীকরণের প্রবণতা রয়েছে। পরশুরাম উপজেলার আঞ্চলিক ভাষার সাথে সন্নিহিত নোয়াখালীর ভাষার অনেকটা সাযুজ্য রয়েছে।
প্রশাসনিক এলাকা
পরশুরাম উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৩টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম পরশুরাম থানার আওতাধীন।
- পৌরসভা
- ইউনিয়নসমূহ
- ১নং মির্জানগর
- ২নং পরশুরাম (পরশুরাম ইউনিয়নের সম্পূর্ণ অংশ পরশুরাম পৌরসভার আওতাধীন হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যক্রম বর্তমানে বিলুপ্ত)
- ৩নং চিথলিয়া
- ৪নং বক্স মাহমুদ
স্বাস্থ্য
- সরকারি হাসপাতালঃ ০১ টি।
- স্বাস্থ্য কেন্দ্র/ক্লিনিকঃ ১৪টি ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র-২টি, পল্লী চিকিৎসা কেন্দ্র-২টি।
শিক্ষা
- খন্ডল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজ।
- পরশুরাম সরকারি ডিগ্রি কলেজ
- পরশুরাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
- পরশুরাম ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল(ডিগ্রি) মাদ্রাসা
- খন্ডল ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা।
- সুবার বাজার ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা
- শালধর ফাজিল(ডিগ্রি) মাদ্রাসা
- ধনিকুন্ডা হোসনেয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়
- সিরাজিয়া দাখিল মাদ্রাসা।
- বক্সমাহমুদ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা।
- গুথুমা চৌমুড়ী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা।
- কেতরাঙ্গা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা।
- বটতলা সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা।
- গুথূমা কেবি আব্দুল আজিজ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়
অর্থনীতি
- হাট বাজারঃ ১১ টি।
- ব্যাংকঃ ০৬টি (সোনালী, কৃষি, অগ্রণী, জনতা ব্যাংক,ইসলামি ব্যাংক,সাউথ ইষ্ট ব্যাংক,এন সি সি ব্যাংক)[3]
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
- শামসুন নাহার মাহমুদ - কবি ও সাহিত্যিক।
- হবীবুল্লাহ বাহার চৌধুরী : - যুক্তফ্রন্ট সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রী।
- ফয়েজ আহমদ (বীর উত্তম)
- সেলিনা বাহার জামান:-লেখিকা।
- ইকবাল বাহার চৌধুরী:-সংবাদ পাঠক।
- শমসের গাজী - বঙ্গবীর, খন্ডল পরগনার জমিদার এবং স্বাধীন রাজা।
- আনোয়ারা বাহার চৌধুরী:-সমাজ কর্মী ও মহিলা লেখক।
- সেনাপতি নাথ - ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা।
দর্শনীয় স্থান
- শমসের গাজীর দিঘি - সাতকুচিয়া, বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন;
- জংলী শাহ-এর মাজার - উত্তর গুথুমা, পরশুরাম পৌরসভা;
- আবদুল্লাহ শাহ-এর মাজার - উত্তর গুথুমা, পরশুরাম পৌরসভা;
- বিলোনিয়া স্থল বন্দর - বাউরখুমা, পরশুরাম পৌরসভা;
- মালিপাথর বধ্য ভূমি, পরশুরাম, ফেনী।
- বিলোনিয়া রেলওয়ে জংসন-বিলোনিয়া,পরশুরাম, ফেনী।
- মহেশপুস্করনী রাবার বাগান।
জনপ্রতিনিধি
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[4] | সংসদ সদস্য[5][6][7][8][9] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৬৫ ফেনী-১ | পরশুরাম উপজেলা, ফুলগাজী উপজেলা এবং ছাগলনাইয়া উপজেলা | শিরীন আখতার | জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল |
বিবিধ
- পোষ্ট অফিসঃ ০২টি।
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে পরশুরাম"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৫।
- https://web.archive.org/web/20151208044832/http://www.bbs.gov.bd/WebTestApplication/userfiles/Image/National%20Reports/Union%20Statistics.pdf
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১২।
- "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।