গ্রেনাডা
গ্রেনাডা (/ɡrəˈneɪdə/ (শুনুন) grə-NAY-də; Grenadian Creole French: Gwenad) ক্যারিবীয় অঞ্চলের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। এর আকার হল ৩৪৮.৫ বর্গকিলোমিটার (১৩৪.৬ মা২), এবং ২০২০ সালের জুলাই মাসে এটির আনুমানিক জনসংখ্যা ছিল ১১২,৫২৩।[4] এর রাজধানী হল সেন্ট জর্জ।[4] জায়ফল এবং জয়ত্রি মশলা ফসল উৎপাদনের কারণে গ্রেনাডাকে "মসলার দ্বীপ"ও বলা হয়।[5]
গ্রেনাডা | |
---|---|
![]() পতাকা
![]() জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
| |
নীতিবাক্য: "Ever Conscious of God We Aspire, Build and Advance as One People"[1] | |
জাতীয় সঙ্গীত: হেল গ্রেনাডা | |
![]() লেসার অ্যান্টিলিস-এ গ্রেনাডার অবস্থান নির্দেশক মানচিত্র | |
![]() | |
রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি | সেন্ট জর্জেস |
সরকারি ভাষা | |
নৃগোষ্ঠী (২০১২[2]) |
|
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | গ্রেনাডীয় |
সরকার | সংসদীয় গণতন্ত্র অধীনে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র |
• রাজকীয় | দ্বিতীয় এলিজাবেথ |
• Governor General | Cécile La Grenade |
• প্রধানমন্ত্রী | Keith Mitchell |
আইন-সভা | জাতীয় সংসদ |
• উচ্চকক্ষ | সেনেট |
• নিম্নকক্ষ | House of Representatives |
গঠন | |
• Associated State | মার্চ ৩, ১৯৬৭ |
• যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা | ফ্রেব্রুয়ারি ৭, ১৯৭৪ |
• Grenadian Revolution | মার্চ ১৩, ১৯৭৯ |
• সংবিধান পুনর্নির্মাণ | ৪ ডিসেম্বর। ১৯৮৪ |
আয়তন | |
• মোট | ৩৪৮.৫ কিমি২ (১৩৪.৬ মা২) (২০৩ তম) |
• পানি/জল (%) | ১.৬ |
জনসংখ্যা | |
• ২০১২ আনুমানিক | ১০৯,৫৯০ (১৮৫ তম) |
• ঘনত্ব | ৩১,৮৫৮ /কিমি২ (৮২,৫১১.৮ /বর্গমাইল) (৪৫তম) |
জিডিপি (পিপিপি) | ২০১২ আনুমানিক |
• মোট | $১.৪৬৭ মিলিয়ন[2] |
• মাথাপিছু | $১৩,৯০০[2] |
জিডিপি (মনোনীত) | ২০১২ আনুমানিক |
• মোট | $৭৯০ মিলিয়ন[2] |
• মাথাপিছু | ৭,৩০০ |
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৩) | ![]() উচ্চ · ৭৯ তম |
মুদ্রা | পূর্ব ক্যারিবীয় ডলার (XCD) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি−৪ |
ইউটিসি−৪ | |
গাড়ী চালনার দিক | বামে |
কলিং কোড | +১-৪৭৩ |
ইন্টারনেট টিএলডি | .gd |
|
ইতিহাস
ইউরোপীয় আগমন
১৪৯৮ সালে, ক্রিস্টোফার কলম্বাস ছিলেন প্রথম ইউরোপীয় যিনি তার তৃতীয় সমুদ্রযাত্রার সময় গ্রেনাডা দেখার খবর দেন, এটির নামকরণ করেন 'লা কনসেপসিয়ন', কিন্তু আমেরিগো ভেসপুচি ১৪৯৯ সালে এটির নাম পরিবর্তন করে 'মায়ো' রাখতে পারেন।[6]
অর্থনীতি
.svg.png.webp)
গ্রেনাডার একটি ছোট অর্থনীতি রয়েছে যেখানে পর্যটন প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী।[4]
পর্যটন
গ্রেনাডার অর্থনীতি মূলত পর্যটনশিল্পের ওপর নির্ভরশীল।[4] প্রচলিত সৈকত এবং জল-ক্রীড়া পর্যটন মূলত সেন্ট জর্জ, বিমানবন্দর এবং উপকূলীয় স্ট্রিপের চারপাশে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত। ইকোট্যুরিজম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শিক্ষা
গ্রেনাডার শিক্ষা কিন্ডারগার্টেন, প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং তৃতীয় শিক্ষা নিয়ে গঠিত। সরকার শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, ২০১৬ সালে তার বাজেটের ১০.৩% খাতে ব্যয় করেছে, যা বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ হার।[4] সাক্ষরতার হার অত্যন্ত উচ্চ, জনসংখ্যার ৯৮.৬% পড়তে এবং লিখতে সক্ষম।[4]
পরিবহন
মরিস বিশপ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হল দেশের প্রধান বিমানবন্দর,[4] অন্যান্য ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপের সাথে দেশটিকে সংযুক্ত করে। ক্যারিয়াকো-এ একটি বিমানবন্দরও রয়েছে।[6]
সংস্কৃতি
১৬৪৯ থেকে ১৭৬৩ সাল পর্যন্ত গ্রেনাডা ফরাসিদের অধীনে ছিল। ফলে এখানে ফরাসি সংস্কৃতির গভীর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ফরাসি সভ্যতার নানা নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে পুরো দেশটিতে। এখানকার লোকজনের চালচলন অনেকটা ফরাসিদের মত।[7]
তথ্যসূত্র
- "Government of Grenada Website"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১১-০১।
- "Grenada"। The World Factbook। Central Intelligence Agency (CIA)। ২০২০-০৪-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-১৯।
- "2014 Human Development Report Summary" (পিডিএফ)। United Nations Development Programme। ২০১৪। পৃষ্ঠা 21–25। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৪।
- "CIA World Factbook – Grenada"। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০১৯।
- "Grenada | History, Geography, & Points of Interest"। Encyclopedia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১২।
- "Encyclopedia Britannica – Grenada"। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০১৯।
- "ছোট দেশ শক্তিশালী অর্থনীতি"। Archived from the original on ২০১৯-০৭-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২৬।