অলিম্পাস পর্বত
অলিম্পাস পর্বত(গ্রিক: Όλυμπος, এছাড়াও Ólimbos, আইপিএ: [ˈoli(m)bos]) হলো গ্রীসের সবচেয়ে উঁচু পর্বত। এটি থেসালি এবং ম্যাসিডোনিয়া সীমান্তের অলিম্পাস রেঞ্জে অবস্থিত এজিয়ান সাগরের থার্মাইক উপসাগরের কাছে অলিম্পাস ম্যাসিফের থেসালি এবং পিয়ারিয়ার আঞ্চলিক ইউনিটের মধ্যে, থেসালোনিকি থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।[6] অলিম্পাস পর্বতে ৫২টি চূড়া এবং গভীর গিরিখাত রয়েছে।[7] পর্বতমালাটির সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম হলো মাইটিকাস (Μύτικας Mýtikas ), যার অর্থ "নাক", ২,৯১৭ মিটার (৯,৫৭০ ফু)।[2] টপোগ্রাফিক বিশিষ্টতার দিক থেকে এটি ইউরোপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গগুলির মধ্যে একটি। [8]
অলিম্পাস পর্বত | |
---|---|
![]() | |
সর্বোচ্চ বিন্দু | |
শিখর | মাইটিকাস |
উচ্চতা | ২,৯১৭ মিটার (৯,৫৭০ ফুট) [1][2] |
সুপ্রত্যক্ষতা | ২,৩৫৩ মিটার (৭,৭২০ ফুট) [3] |
প্রধান শিখর | মুসালা |
বিচ্ছিন্নতা | ২৫৪ কিমি (১৫৮ মা) ![]() |
তালিকাভুক্তি | Country high point Ultra |
স্থানাঙ্ক | ৪০°০৫′০৮″ উত্তর ২২°২১′৩১″ পূর্ব |
ভূগোল | |
![]() ![]() অলিম্পাস পর্বত অলিম্পাস পর্বতমালার মানচিত্র | |
অবস্থান | গ্রীস |
মূল পরিসীমা | Thessaly and Macedonia, near the Gulf of Salonika |
আরোহণ | |
প্রথম আরোহণ | By religious pilgrims or priests in Antiquity.[4][5]
First Modern Ascent: 2 August 1913 Christos Kakkalos, Frederic Boissonnas and Daniel Baud-Bovy |
গ্রীক পৌরাণিক কাহিনীতে অলিম্পাস গ্রীক দেবতাদের বাড়ি হিসাবে উল্লেখযোগ্য। এটি তার ব্যতিক্রমী জীববৈচিত্র্য এবং সমৃদ্ধ উদ্ভিদের জন্যও সুপরিচিত। ১৯৩৮ সাল থেকে এটি গ্রীসের একটি জাতীয় উদ্যান। এটি একটি ওয়ার্ল্ড বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভও বটে। [2]
প্রতি বছর, হাজার হাজার দর্শক এবং প্রাণী এর ঢালে ভ্রমণ করে এবং এর শিখরে আরোহণ করে। অলিম্পাসে আরোহণের স্বাভাবিক সূচনা পয়েন্ট হল লিটোচোরো শহর,যা পাহাড়ের পূর্ব পাদদেশে, ১০০ কিমি (৬২ মা) দূরে অবস্থিত।
ভুগোল

বৃষ্টি ও বাতাসের প্রভাবে অলিম্পাসের আকৃতি গঠিত হয়েছিল। যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩,০০০ মিটার (৯,৮০০ ফুট) উপরে একটি বিচ্ছিন্ন টাওয়ার তৈরি করেছিল। যেটি লিটোচোরোতের মাত্র ১৮ কিলোমিটার (১১ মা) দূরে অবস্থিত। অলিম্পাসের অনেকগুলো চূড়া প্রায় বৃত্তাকার। পর্বতটির পরিধি ১৫০ কিলোমিটার (৯৩ মাইল), গড় ব্যাস ২৬ কিলোমিটার (১৬ মাইল) এবং ৫০০ বর্গ কিলোমিটার (১৯০ বর্গ মাইল) এলাকা।[9] উত্তর-পশ্চিমে কোকিনোপিলোসের অ্যারোমানিয়ান গ্রাম অবস্থিত। ম্যাকরাইরিমা প্রবাহ ভোলগারার ম্যাসিফ থেকে অলিম্পাসকে পৃথক করেছে। পেত্রা, ভ্রন্টু এবং ডিওন গ্রাম উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। পূর্ব দিকে রয়েছে লিটোচোরো শহর। যেখানে এনিপিয়াস অলিম্পাসের ম্যাসিফকে বিভক্ত করেছে। এর দক্ষিণ-পূর্ব দিকে, জিলিয়ানা গর্জে কাতো অলিম্পোস (লোয়ার অলিম্পাস) থেকে মাউন্ট অলিম্পাসকে বিভক্ত করেছে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম পাদদেশে, সিকামিনা এবং কারিয়া গ্রামের অবস্থান।
তথ্যসূত্র
- Mount Olympus | mountain, Greece | Britannica
- NASA (জুলাই ৭, ২০০৫)। "Mount Olympus"। Olympus National Park। Management Agency of Olympus National Park। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৬।
- টেমপ্লেট:Cite pb
- "Two Greek Scientists Discover Shrine to Zeus on Mt. Olympus; Pottery and Other Artifacts Found on the Site Believed to Date From 400 B.C."। New York Times। নভেম্বর ১২, ১৯৬৭।
- Sandbach, F.H. (১৯৮৭)। Plutarch's Moralia, Volume XV। Harvard University Press। পৃষ্ঠা 351।
- "Mount Olympus"। Britannica। ৮ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- Kakissis, Joanna (১৭ জুলাই ২০০৪)। "Summit of the gods"। The Boston Globe। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৫।
- "Europe Ultra-Prominences"। peaklist.org। ৯ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১০।
- "Management Agency of Olympus National Park"। ২০১৮-১০-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-০৮।