ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা উইন্ডিজ (ইংরেজি: West Indies cricket team) বহুজাতিক ক্রিকেট দল নিয়ে গঠিত। ১৫টি ইংরেজিভাষী ক্যারিবিয় দেশ, ব্রিটিশ উপনিবেশ এবং ব্রিটিশ উপনিবেশবিহীন দ্বীপরাষ্ট্রসমূহের ক্রিকেট দলের অংশগ্রহণ ঘটেছে এতে।
ডাকনাম | উইন্ডিজ, মেন ইন মেরুন | |||
---|---|---|---|---|
সংঘ | ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||
কর্মীবৃন্দ | ||||
টেস্ট অধিনায়ক | জেসন হোল্ডার | |||
ওডিআই অধিনায়ক | কিরণ পোলার্ড | |||
টি২০আই অধিনায়ক | কিরণ পোলার্ড | |||
কোচ | ফিল সিমন্স | |||
| ||||
১০ জানুয়ারি, ২০১৬ অনুযায়ী |
১৯৭০ দশকের মাঝামাঝি সময়কাল থেকে ১৯৯০ দশকের প্রথমদিক পর্যন্ত দলটি টেস্ট ক্রিকেট এবং একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট - উভয় স্তরের ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যান্য দলের তুলনায় একচ্ছত্র প্রাধান্য বজায় রেখেছিল। একগুচ্ছ সেরা ক্রিকেটার ঐ সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের পক্ষে খেলেছিলেন। স্যার গারফিল্ড সোবার্স, ল্যান্স গিবস, গর্ডন গ্রীনিজ, জর্জ হ্যাডলি, ক্লাইভ লয়েড, ম্যালকম মার্শাল, অ্যান্ডি রবার্টস, আলভিন কালীচরণ, রোহন কানহাই, ফ্রাঙ্ক ওরেল, এভারটন উইকস, কার্টলি অ্যামব্রোস, মাইকেল হোল্ডিং, জোয়েল গার্নার, স্যার ভিভ রিচার্ডস প্রমূখ ক্রিকেটারগণ আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমে স্থান পেয়েছেন।[1] টেস্ট ক্রিকেটের এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের বর্তমান বিশ্বরেকর্ডধারী ব্রায়ান লারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্যতম প্রতিভা ছিলেন।[2][3]
এছাড়াও, লিয়ারি কনস্ট্যান্টাইন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের শুরুর দিককার সেরা খেলোয়াড়দের একজন ছিলেন। তিনি ১৯২০ থেকে ১৯৩০-এর দশক পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
ইতিহাস
১৮৯০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। তখন তারা সফরকারী ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিপক্ষে প্রথম মাঠে খেলতে নামে। ১৯২৬ সালে ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইম্পেরিয়াল ক্রিকেট কনফারেন্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড বা ডব্লিউআইসিবি যোগদান করে।[4] এরপরই তারা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করে। ১৯২৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল ৪র্থ টেস্টখেলুড়ে দলের মর্যাদা লাভ করে।[5]
সাফল্য গাঁথা
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সালে দুইবার শিরোপা জয় করে। প্রথম ক্রিকেট দল হিসেবে পরপর দুইবার শিরোপা লাভের অধিকারীত্ব অর্জন করে। এছাড়াও প্রথম দল হিসেবে একাধারে ১৯৭৯, ১৯৮৩, ১৯৮৭ - এই তিনটি বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ফাইনালে অংশ নিয়েছিল। ২০০৪ সালে দলটি আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়। একই বছর আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় করে। ২০০৯ সালে আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় সেমি-ফাইনাল পর্বে উত্তীর্ণ হয়।
- ১৯৭৫, ১৯৭৯: চ্যাম্পিয়ন;
- ১৯৮৩: রানার-আপ;
- ১৯৮৭: ১ম রাউন্ড,
- ১৯৯২: ১ম রাউন্ড (৬ষ্ঠ স্থান);
- ১৯৯৬: সেমি-ফাইনাল;
- ১৯৯৯, ২০০৩: ১ম রাউন্ড;
- ২০০৭: সুপার-এইট পর্ব (৬ষ্ঠ স্থান);
- ২০১১: কোয়ার্টার ফাইনাল;
- ২০১৫: কোয়ার্টার ফাইনাল;
- ২০১৯: লিগ পর্ব
- ২০০৭: ১ম রাউন্ড;
- ২০০৯: সেমিফাইনাল;
- ২০১০: সুপার-এইট পর্ব;
- ২০১২: চ্যাম্পিয়ন;
- ২০১৪: সেমিফাইনাল;
- ২০১৬: চ্যাম্পিয়ন;
- ২০২১: সুপার ১২ পর্ব।
- ২০১৯-২০২১: লিগ পর্ব।
মাঠসমূহ
টেস্ট, ওয়ানডে এবং টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্যে নিম্নেবর্ণিত ১১টি স্টেডিয়াম রয়েছে। স্টেডিয়ামগুলোয় কমপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।[6] ১১ জুলাই, ২০১১ পর্যন্ত বন্ধনীতে সংখ্যা হিসেবে টেস্ট, ওয়ানডে এবং টুয়েন্টি২০ তুলে ধরা হয়েছে:
- কুইন্স পার্ক ওভাল, পোর্ট অব স্পেন, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো (৫৮/৬১/৩)
- কেনসিংটন ওভাল, ব্রিজটাউন, বার্বাডোস (৪৮/৩০/১৩)
- বোরদা, জর্জটাউন, গায়ানা (৩০/১১/০)
- সাবিনা পার্ক, কিংস্টন, জ্যামাইকা (৪৬/৩৩/০)
- এন্টিগুয়া রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ড, সেন্ট জোন্স, অ্যান্টিগুয়া (২২/১১/০)
- আর্নোস ভ্যাল স্টেডিয়াম, আর্নোস ভ্যাল, কিংস্টাউন, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন (২/২৩/০)
- জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সেন্ট জর্জ'স, গ্রেনাডা (২/১৬/০)
- বিউসেজাউর স্টেডিয়াম, গ্রোস আইলেট, সেন্ট লুসিয়া (৩/২৩/১২)
- ওয়ার্নার পার্ক স্টেডিয়াম, বাসেতের, সেন্ট কিটস (৩/১৩/১)
- প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম, জর্জটাউন, গায়ানা (২/১১/৬)
- স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম, নর্থ সাউন্ড, অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা (৩/১০/২)
- উইন্ডসর পার্ক, রোজো, ডোমিনিকা (২/৪/০)
আরো তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার উপযোগী স্টেডিয়াম আছে; কিন্তু তা টেস্ট খেলায় ব্যবহার করা হয় না।[7] বন্ধনীতে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার মাঠ উল্লেখ করা হলো:-
- এলবিয়ন স্পোর্টস কমপ্লেক্স, এলবিয়ন, বারবাইস, গায়ানা (৫)
- মিন্ডো ফিলিপ পার্ক, ক্যাস্ট্রাইজ, সেন্ট লুসিয়া (২)
- কুইন্স পার্ক, গ্রেনাডা (পুরনো মাঠ), গ্রেনাডা (১)
বর্তমান সদস্য
কোচ
- প্রধান কোচ : ফিল সিমন্স
- সহকারী কোচ : স্টুয়ার্ট উইলিয়ামস
- অন্তর্বর্তীকালীন দলীয় ম্যানেজার : রল লুইস
- বোলিং পরামর্শক : কার্টলি অ্যামব্রোস
- ফিজিও : সিজে ক্লার্ক
- মূল্যায়ন বিশ্লেষক : রিচার্ড বেরিজ
- প্রশিক্ষক : হেক্টর মার্টিনেজ
- থেরাপিস্ট : ভার্জিল ব্রাউন
তথ্যসূত্র
- ""ICC Hall of Fame". ICC. Retrieved 23 September 2009."। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১২।
- "Player Profile: Brian Lara". CricInfo. Retrieved 23 September 2009.
- "Player Profile: Sir Viv Richards". CricInfo. Retrieved 23 September 2009.
- See CricketArchive, for example, for a reference to when Test status was acquired
- [See, for example, 75 Years of West Indies Cricket 1928–2003 by Ray Goble and Keith AP Sandiford আইএসবিএন ১-৮৭০৫১৮-৭৮-০, the WICB authorised reference book on cricket in the West Indies. For more information on the first Test played by the Windies, see http://www.cricinfo.com/db/NATIONAL/WI/SERIES/TOURS.html West Indies Series: Test and ODI Tours. See also http://www.cricinfo.com/link_to_database/ARCHIVE/1920S/1928/WI_IN_ENG/WI_ENG_T1_23-26JUN1928.html the scorecard of the First Test played by the West Indies.]
- See Cricinfo for a list of Test match grounds
- See CricketArchive for a list of stadia that have hosted home West Indian ODIs