দক্ষিণ এশিয়া

দক্ষিণ এশিয়া হল এশিয়ার দক্ষিণাঞ্চল, যা ভৌগোলিক ও জাতিগত-সাংস্কৃতিক উভয় পরিভাষায় সংজ্ঞায়িত। এই অঞ্চলটি আফগানিস্তান,[note 2] বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপ নিয়ে গঠিত।[6] ভূসংস্থানগতভাবে, এটি ভারতীয় পাত দ্বারা প্রভাবিত এবং দক্ষিণে ভারত মহাসাগর এবং উত্তরে হিমালয়, কারাকোরামপামির পর্বত দ্বারা সংজ্ঞায়িত। হিন্দুকুশের উত্তরে উঠে আসা আমু দরিয়া উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের অংশ। স্থলভাগে (ঘড়ির কাঁটার দিকে), দক্ষিণ এশিয়া পশ্চিম এশিয়া, মধ্য এশিয়া, পূর্ব এশিয়াদক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া দ্বারা আবদ্ধ।

দক্ষিণ এশিয়া
আয়তন৫১,৩৪,৬৪১ কিমি (১৯,৮২,৪৯৬ মা)
জনসংখ্যা১.৯৪ বিলিয়ন (২০২০)[1]
জনঘনত্ব৩৬২.৩ /কিমি (৯৩৮ /বর্গমাইল)
জিডিপি (পিপিপি)$১২.৭৫২ ট্রিলিয়ন (২০১৮)[2]
জিডিপি (মনোনীত)$৩.৩২৬ ট্রিলিয়ন (২০২০)[3]
মাথাপিছু জিডিপি$১,৭০৭ (নামমাত্র)[3]
এইচডিআই০.৬৪২ (মধ্যম)[4]
জাতিগোষ্ঠীইন্দো-আর্য, ইরানীয়, দ্রাবিড়, চীনা-তিব্বতি, অস্ট্রো-এশীয়, তুর্কী ইত্যাদি
ধর্মহিন্দুধর্ম, ইসলাম, খ্রিস্টধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, শিখধর্ম, জৈনধর্ম, পারসিক ধর্ম, ধর্মহীনতা
জাতীয়তাসূচক বিশেষণদক্ষিণ এশীয়
দেশসমূহ
অধীনস্থ অঞ্চলসমূহ ব্রিটিশ ভারত মহাসাগরীয় এলাকা
ভাষাসমূহ
সময় অঞ্চলসমূহ
ইন্টারনেট টিএলডি.af, .bd, .bt, .in, .io, .lk, .mv, .np, .pk
কল কোডঅঞ্চল ৮ ও ৯
বৃহত্তম শহরসমূহ[note 1]
ইউএন এম৪৯ কোড০৩৪ – দক্ষিণ এশিয়া
১৪২এশিয়া
০০১বিশ্ব

দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) হল এই অঞ্চলের একটি অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংগঠন, যা ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং দক্ষিণ এশিয়ার আটটি রাষ্ট্রকেই অন্তর্ভুক্ত করে।[7] দক্ষিণ এশিয়া প্রায় ৫.২ মিলিয়ন বর্গ কিমি (২.০ মিলিয়ন বর্গ মাইল) জুড়ে বিস্তৃত, যা এশীয় মহাদেশের ১১.৭১% বা পৃথিবীর স্থলভাগের ৩.৫% ভূমিভাগ।[6] দক্ষিণ এশিয়ার জনসংখ্যা প্রায় ১.৮৯১ বিলিয়ন বা বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ, এটি বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুলসবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ভৌগোলিক অঞ্চল উভয়কেই গঠন করে।[8] সামগ্রিকভাবে, এটি এশিয়ার জনসংখ্যার প্রায় ৩৯.৪৯% ও বিশ্বের জনসংখ্যার ২৪% এরও বেশি ধারণ করে এবং এই অঞ্চলটি একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর বাসস্থান।[9][10][11]

২০১০ সালের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ায় হিন্দু, মুসলিম, শিখ, জৈনজরথুস্ত্রীয়দের বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যা ছিল।[12] শুধুমাত্র দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্বব্যাপী হিন্দুদের ৯৮.৪৭%, শিখদের ৯০.৫% ও মুসলমানদের ৩১%, সেইসাথে ৩৫ মিলিয়ন খ্রিস্টান ও ২৫ মিলিয়ন বৌদ্ধ রয়েছে।[13][14][15][16]

সংজ্ঞা

দক্ষিণ এশিয়ার কোপেন জলবায়ু শ্রেণীবিভাগ মানচিত্র[17]

দক্ষিণ এশিয়ার আধুনিক সামঞ্জস্যপূর্ণ সংজ্ঞায় আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটানমালদ্বীপকে অন্তর্ভুক্ত করে।[18][19][20] আফগানিস্তানকে অবশ্য কেউ কেউ মধ্য এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্যের অংশ বলে মনে করে।[21][22][23][24][25] দ্বিতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধের পর, এটি ১৯১৯ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল।[18][20][26] অন্যদিকে, ব্রিটিশ রাজের অংশ হিসেবে ১৮৮৬ সাল থেকে ১৯৩৭ সাল[27] পর্যন্ত এবং বর্তমানে আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত মায়ানমারকে (পূর্বে বার্মা) মাঝে মাঝে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[21][22][28] কিন্তু, দক্ষিণ এশিয়ার অংশ হিসেবে অ্যাডেন উপনিবেশ, ব্রিটিশ সোমালিল্যান্ডসিঙ্গাপুরকে কখনোই প্রস্তাব করা হয়নি, যদিও উক্ত অঞ্চলসমূহ ব্রিটিশ রাজের অধীনে বিভিন্ন সময়ে পরিচালিত হয়েছিল।[29] দক্ষিণ এশিয়ার অংশ হিসাবে চীন দ্বারা দখলকৃত (বিতর্কিত অঞ্চল) আকসাই চীন অন্তর্ভুক্ত হতে পারে, যা ব্রিটিশ ভারতীয় রাজত্বের জম্মু ও কাশ্মীরের এবং স্বাধীন ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের অংশ ছিল, বর্তমানে চীনের স্বশাসিত অঞ্চল শিনচিয়াংয়ের অংশ হিসেবে পরিচালিত হয়, কিন্তু ভারতও অঞ্চলটিকে নিজের অংশ হিসাবে দাবি করে।[30]

যাইহোক, দক্ষিণ এশিয়ার মোট এলাকা ও এর ভৌগোলিক পরিসর স্পষ্ট নয়, কারণ এর উপাদানগুলির পদ্ধতিগত ও পররাষ্ট্রনীতির দিকগুলি বেশ অসম।[21] ব্রিটিশ রাজ বা ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্যের মূল অঞ্চল ছাড়াও, দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যান্য দেশগুলি অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে উচ্চ মাত্রার বৈচিত্র্য রয়েছে।[22][31][32][33] দক্ষিণ এশিয়া ও এশিয়ার অন্যান্য অংশ বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে ভৌগোলিক, ভূ-রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক বা ঐতিহাসিকভাবে একটি স্পষ্ট সীমানা না থাকার কারণে বিভ্রান্তি বিদ্যমান ছিল।[34]

বেশ কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া, দক্ষিণ এশিয়ার সাধারণ সংজ্ঞাটি মূলত ব্রিটিশ রাজের প্রশাসনিক সীমানা থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত।[35] দক্ষিণ এশিয়ার মূল অঞ্চল বাংলাদেশ, ভারতপাকিস্তানের বর্তমান অঞ্চলগুলি গঠন করে, যা ১৮৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মূল অঞ্চল ছিল।[19][20][36][37] পার্বত্য দেশ নেপালভুটান দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র, যা ব্রিটিশ রাজের অংশ ছিল না,[38] এবং দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কামালদ্বীপকে সাধারণত অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বিভিন্ন কারণের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন সংজ্ঞা অনুসারে, ব্রিটিশ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলতিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[39][40][41][42][43][44][45] ব্রিটিশ রাজ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, কিন্তু সরাসরি শাসিত হয়নি এমন ৫৬২ টি রাজত্ব ভারত বা পাকিস্তানে যোগদানের পর দক্ষিণ এশিয়ার প্রশাসনিক অংশ হয়ে ওঠে।[46][47]

দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তানশ্রীলঙ্কা - এই সাতটি রাষ্ট্র নিয়ে শুরু হয়েছিল এবং আফগানিস্তানকে অষ্টম সদস্য হিসেবে ২০০৭ সালে স্বীকৃতি লাভ করে।[48][49] সার্কের পূর্ণ সদস্যের মর্যাদার জন্য চীনমিয়ানমারও আবেদন করেছে।[50][51] দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তি ২০১১ সালে আফগানিস্তানকে স্বীকৃতি প্রদান করে।[52]

"ভারতীয় উপমহাদেশ" ও "দক্ষিণ এশিয়া" শব্দ দুটি কখনও কখনও বিনিময়যোগ্যভাবে ব্যবহৃত হয়।[39][53][54][55] ভারতীয় উপমহাদেশটি মূলত একটি ভূতাত্ত্বিক শব্দ, যা প্রাচীন গন্ডোয়ানা থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে সরে যাওয়া ভূমি খণ্ডকে নির্দেশ করে, এটির সাথে প্রায় ৫৫ মিলিয়ন বছর আগে প্যালিওসিনের শেষের দিকে ইউরেশীয় প্লেটের সংঘর্ষ হয়েছিল। এই ভূতাত্ত্বিক অঞ্চলে মূলত বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তানশ্রীলঙ্কা অন্তর্ভুক্ত।[56] ঐতিহাসিক ক্যাথরিন অ্যাশার ও সিন্থিয়া টালবট বলেন যে "ভারতীয় উপমহাদেশ" শব্দটি দক্ষিণ এশিয়ার একটি প্রাকৃতিক ভৌত ভূমির বর্ণনা প্রদান করে, যা বাকী ইউরেশিয়া থেকে অপেক্ষাকৃত বিচ্ছিন্ন ছিল।[57]

এই অঞ্চলটিকে ব্র্যান্ডাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ প্রোগ্রাম "ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান ও নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে আফগানিস্তান, বার্মা, মালদ্বীপ ও তিব্বতকে" নিয়ে সংজ্ঞায়িত করেছে।[58] কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরূপ কর্মসূচির অধ্যায়নে মধ্যে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা রয়েছে এবং বার্মাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।[59] অতীতে, দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একটি সুসংগত সংজ্ঞার অভাবের ফলে একাডেমিক অধ্যয়নের অভাব দেখা দেয়, এই ধরনের অধ্যায়নের প্রতি আগ্রহের অভাবও ছিল।[60] বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা জুড়ে দুই বছরের পুরোনো জরিপে উত্তরদাতাদের মধ্যে দক্ষিণ এশীয় পরিচয়ের পরিচয় উল্লেখযোগ্যভাবে কম পাওয়া গেছে।[61]

দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা

দক্ষিণ এশিয়ার নগর মানচিত্র

দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সংক্ষেপে সার্ক) দক্ষিণ এশিয়ার একটি সরকারি সংস্থা। এর সদস্য দেশগুলো হলো - বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান এবং আফগানিস্তানগণচীনজাপানকে সার্কের পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। সার্ক ১৯৮৫ সালের ৮ই ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার নেতারা দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক,অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশসমূহের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও সহযোগিতা করার লক্ষে এক রাজকীয় সনদপত্রে আবদ্ধ হন।

ইতিহাস

বিস্তারিত দেখুন দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসদক্ষিণ এশিয়ার জাতিসমূহ নিবন্ধে

সমাজ

জনসংখ্যা

দক্ষিণ এশিয়ার জনসংখ্যা প্রায় ১.৭৪৯ বিলিয়ন, যা এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চল করে তুলেছে।[62] এটি সামাজিকভাবে খুবই মিশ্র, অনেক ভাষা বিভাগ এবং ধর্ম নিয়ে গঠিত, এবং একটি অঞ্চলের সামাজিক অভ্যাস যা অন্য একটি অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির।[63]

ভাষা

দক্ষিণ এশিয়ায় অসংখ্য ভাষা রয়েছে। এই অঞ্চলের কথ্য ভাষাগুলি মূলত ভূগোলের ভিত্তিতে এবং ধর্মীয় সীমানা জুড়ে ভাগ করা হয় তবে লিখিত লিপিগুলি ধর্মীয় সীমানা দ্বারা বিরাটভাবে বিভক্ত। বিশেষত, দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানরা যেমন আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে আরবি বর্ণমালা এবং পার্সিয়ান নাস্তালিক ব্যবহার করে। ১৯৭১ পর্যন্ত, মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত) কেবল নাস্তালিক লিপি বাধ্যতামূলক করেছিল, কিন্তু এরপরে আঞ্চলিক লিপি এবং বিশেষত বাংলা ভাষা গ্রহণ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার অমুসলিমরা এবং অন্যদিকে ভারতের কিছু মুসলমান তাদের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন ঐতিহ্য লিপি যেমন ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার জন্য ব্রাহ্মী লিপি থেকে প্রাপ্ত লিপি এবং দ্রাবিড় ও অন্যান্য ভাষাসমূহের জন্য ব্রাহ্মী-লিপি ব্যবহার করে।[64]

এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় কথ্য ভাষা হল হিন্দুস্তানি ভাষা, তার পরে বাংলা, তেলুগু, তামিল, মারাঠি, গুজরাতি, কন্নড়পাঞ্জাবী রয়েছে। [179]

ধর্ম

১৮৭১-১৮৭২-এর আদমশুমারিতে ব্রিটিশ ভারতে ধর্ম (তথ্যের মধ্যে রয়েছে আধুনিক ভারত, বাংলাদেশ, প্রায় সমগ্র পাকিস্তান (সিন্ধু, পাঞ্জাব ও বেলুচিস্তান সহ) ও উপকূলীয় মায়ানমার)[65]

  হিন্দুধর্ম (৭৩.০৭%)
  ইসলাম (২১.৪৫%)
  বৌদ্ধধর্ম ও জৈনধর্ম (১.৪৯%)
  শিখধর্ম (০.৬২%)
  অন্যান্য (২.৬৮%)
  ধর্ম জানা নেই (০.২২%)
বিশ্বব্যাপী ধর্মের গুরুত্ব, ২০১৫[66]

২০১০ সালে হিন্দু, জৈনশিখ ধর্মবিশ্বাসীরা বিশ্বের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ছিল, এছাড়া প্রায় ৫১০ মিলিয়ন মুসলমান, পাশাপাশি ২৫ মিলিয়নেরও বেশি বৌদ্ধ ও ৩৫ মিলিয়ন খ্রিস্টান ধর্মবিশ্বাসীরা ছিল।[15] সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার জনসংখ্যার মধ্যে হিন্দু ধর্মবিশ্বাসীরা প্রায় ৬৮ শতাংশ বা প্রায় ৯০০ মিলিয়ন এবং মুসলমান ৩১ শতাংশ বা ৫১০ মিলিয়ন, বাকী অংশের বেশিরভাগ অংশ বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান ও শিখ ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে গঠিত।[67] হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ এবং খ্রিস্টানরা ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানে; আর মুসলমানরা আফগানিস্তান (৯৯%), বাংলাদেশ (৯০%), পাকিস্তান (৯৯%) ও মালদ্বীপে (১০০%) কেন্দ্রীভূত।[15]

ভারতীয় ধর্ম হল সেই সকল ধর্ম, যেগুলি ভারতীয় উপমহাদেশে উদ্ভূত হয়েছে; ভারতীয় ধর্মের মধ্যে যথাক্রমে হিন্দুধর্ম, জৈনধর্ম, বৌদ্ধধর্মশিখধর্ম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[68] ভারতীয় ধর্মগুলি পৃথকভাবে পরিভাষা, বিশ্বাস, লক্ষ্য এবং ধারণাগুলি ভাগ করে নিয়েছে এবং দক্ষিণ এশিয়া থেকে পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।[68] আদি খ্রিস্টধর্ম ও ইসলামকে দক্ষিণ এশিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে বণিকদের দ্বারা প্রবর্তন করা হয়েছিল, যারা স্থানীয় জনসংখ্যার মধ্যে বসতি স্থাপন করেছিল। পরবর্তী সময়ে সিন্ধু, বেলুচিস্তানপাঞ্জাব অঞ্চলের কিছু অংশ পারস্য ও মধ্য এশিয়া থেকে আগত মুসলমানদের সাথে আরব খলিফারা বিজয় লাভ করেছিল, যার ফলস্বরূপ দক্ষিণ এশিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কিছু অংশে শিয়া ও সুন্নি ইসলাম উভয়ের বিস্তার ঘটেছিল।[69][70] পরবর্তীকালে, ইসলামী সুলতানি ও মুঘল সাম্রাজ্যের মুসলিম শাসকদের প্রভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় ইসলাম ছড়িয়ে পড়ে।[69][71] প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মুসলমান দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাস করে।[72][73][74]

সর্ববৃহৎ নগরাঞ্চল

বিশ্বের বেশকিছু সর্বাধিক জনবহুল অতিমহানগরী দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত।" ডেমোগ্রাফিয়া ওয়ার্ল্ড আরবান এরিয়াস"-এর ২০২০ সালের সংস্করণ অনুসারে, এই অঞ্চলে বিশ্বের ৩৫ অতিমহানগরীর মধ্যে ৮ টি (১০ মিলিয়ন জনসংখ্যার শহুরে এলাকা) রয়েছে:[75]

ক্রম নগরাঞ্চল রাজ্য/প্রদেশ/বিভাগ রাষ্ট্র জনসংখ্যা[75] এলাকা (কিমি)[75] ঘনত্ব (/কিমি)[75]
দিল্লি জাতীয় রাজধানী অঞ্চল ভারত২,৯৬,১৭,০০০২,২৩২১৩,২৬৬
মুম্বই মহারাষ্ট্র ভারত২,৩৩,৫৫,০০০৯৪৪২৪,৭৭৩
কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ ভারত১,৭৫,৬০,০০০১,৩৫১১২,৯৮৮
ঢাকা ঢাকা বিভাগ বাংলাদেশ১,৫৪,৪৩,০০০৪৫৬৩৩,৮৭৮
করাচি সিন্ধ পাকিস্তান১,৪৮,৩৫,০০০১,০৪৪১৪,২১৩
বেঙ্গালুরু কর্ণাটক ভারত১,৩৭,০৭,০০০১,২০৫১১,৩৮১
চেন্নাই তামিলনাড়ু ভারত১,১৩,২৪,০০০১,০৪৯১০,৭৯৫
লাহোর পাঞ্জাব পাকিস্তান১,১০,২১,০০০৮৫৩১২,৯৩৪

খেলাধুলা

ভারতীয় উপমহাদেশে খেলাধুলার ৯০% ভক্তের[76] সাথে ক্রিকেট দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা।[77]

আরও দেখুন

পদটীকা

  1. Among the top 100 urban areas of the world by population.
  2. Afghanistan is sometimes considered to be part of Central Asia. It regards itself as a link between Central Asia and South Asia.[5]

তথ্যসূত্র

  1. "World Economic Outlook Database"International Monetary Fund। অক্টোবর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০২০
  2. "Human Development Report 2019 – "Human Development Indices and Indicators"" (পিডিএফ)HDRO (Human Development Report Office) United Nations Development Programme। পৃষ্ঠা 22–25। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৯
  3. Saez 2012, পৃ. 35।
  4. "Afghanistan"Regional and Country Profiles South Asia। Institute of Development Studies। ২০ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯;
    "Composition of macro geographical (continental) regions, geographical sub-regions, and selected economic and other groupings: Southern Asia"United Nations Statistics Division। ১৭ এপ্রিল ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৬;
    Arnall, A (২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০)। "Adaptive Social Protection: Mapping the Evidence and Policy Context in the Agriculture Sector in South Asia"Institute of Development Studies (345)। ১৫ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৬;
    "The World Bank"। ১০ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৫;
    "Institute of Development Studies: Afghanistan"। ১ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯;
    "Harvard South Asia Institute: "Afghanistan""। ১৭ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৫;
    "Afghanistan"BBC News। ২০১৮-০১-৩১। ২৯ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৮;
    "The Brookings Institution"। ২০০১-১১-৩০। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৫;
    "South Asia"The World Factbook। Central Intelligence Agency। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৫
  5. SAARC Summit। "SAARC"। SAARC Summit। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৩
  6. "South Asia Regional Overview"South Asian Regional Development Gateway। ২১ নভেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
  7. Desai, Praful B. (২০০২)। "Cancer control efforts in the Indian subcontinent"Japanese Journal of Clinical Oncology। 32 (Supplement 1): S13–S16। ডিওআই:10.1093/jjco/hye139পিএমআইডি 11959872। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। The Indian subcontinent in South Asia occupies 2.4% of the world landmass and is home to 16.5% of the world population....
  8. "Asia" > Overview ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ মে ২০১১ তারিখে. Encyclopædia Britannica. Encyclopædia Britannica Online, 2009: "The Indian subcontinent is home to a vast diversity of peoples, most of whom speak languages from the Indo-Aryan subgroup of the Indo-European family."
  9. "Indian Subcontinent ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে". Encyclopedia of Modern Asia. Macmillan Reference USA (Gale Group), 2006: "The area is divided between five major nation-states, Bangladesh, India, Nepal, Pakistan, and Sri Lanka, and includes as well the two small nations of Bhutan and the Maldives Republic... The total area can be estimated at 4.4 million square kilometres or exactly 10 percent of the land surface of Asia... In 2000, the total population was about 22 percent of the world's population and 34 percent of the population of Asia."
  10. Diplomat, Akhilesh Pillalamarri, The। "How South Asia Will Save Global Islam"The Diplomat (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-০৭
  11. "Religion population totals in 2010 by Country"Pew Research Center। ২০১২। ৯ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
  12. Pechilis, Karen; Raj, Selva J. (২০১৩)। South Asian Religions: Tradition and Today (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। পৃষ্ঠা 193আইএসবিএন 978-0-415-44851-2।
  13. "Region: Asia-Pacific"Pew Research Center। ২৭ জানুয়ারি ২০১১। ১০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৬
  14. "10 Countries With the Largest Muslim Populations, 2010 and 2050"। Pew Research Center's Religion & Public Life Project। ২০১৫-০৪-০২। ৪ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-০৭
  15. Peel, M. C. and Finlayson, B. L. and McMahon, T. A. (২০০৭)। "Updated world map of the Köppen–Geiger climate classification"Hydrol. Earth Syst. Sci.11: 1633–1644। আইএসএসএন 1027-5606ডিওআই:10.5194/hess-11-1633-2007 (direct: Final Revised Paper ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে)
  16. "Afghanistan Country Profile"BBC News। ২৯ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৮
  17. "The Brookings Institution"। ২০০১-১১-৩০। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৫
  18. "CIA "The World Factbook""। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৫
  19. Ghosh, Partha Sarathy (১৯৮৯)। Cooperation and Conflict in South Asia। Technical Publications। পৃষ্ঠা 4–5। আইএসবিএন 978-81-85054-68-1। ১৬ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৫
  20. Razzaque, Jona (২০০৪)। Public Interest Environmental Litigation in India, Pakistan, and Bangladesh। Kluwer Law International। পৃষ্ঠা 3 with footnotes 1 and 2। আইএসবিএন 978-90-411-2214-8। ৭ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৬
  21. Robbins, Keith (২০১২)। Transforming the World: Global Political History since World War II। Palgrave Macmillan। পৃষ্ঠা 386। আইএসবিএন 978-1-137-29656-6।, Quote: "Some thought that Afghanistan was part of the Middle East and not South Asian at all".
  22. Saez 2012, পৃ. 58: "Afghanistan is considered to be part of Central Asia. It regards itself as a link between Central Asia and South Asia."
  23. Margulies, Phillip (২০০৮)। Nuclear Nonproliferation। Infobase Publishing। পৃষ্ঠা 63। আইএসবিএন 978-1-4381-0902-2।, Quote: "Afghanistan, which lies to the northwest, is not technically a part of South Asia but is an important neighbor with close links and historical ties to Pakistan."
  24. "Harvard South Asia Institute: "Afghanistan""। ১৭ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৫
  25. Baten, Jörg (২০১৬)। A History of the Global Economy. From 1500 to the Present.। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 287। আইএসবিএন 978-1-107-50718-0।
  26. United Nations, Yearbook of the United Nations, pages 297, Office of Public Information, 1947, United Nations
  27. Dale Hoiberg and Indu Ramchandani, Students' Britannica India (vol. 1), page 45, Popular Prakashan, 2000, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৫২২৯-৭৬০-৫
  28. Bertram Hughes Farmer, An Introduction to South Asia, pages 1, Routledge, 1993, আইএসবিএন ০-৪১৫-০৫৬৯৫-০
  29. Mann, Michael (২০১৪)। South Asia's Modern History: Thematic Perspectives। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 13–15। আইএসবিএন 978-1-317-62445-5।
  30. Anderson, Ewan W.; Anderson, Liam D. (২০১৩)। An Atlas of Middle Eastern Affairs। Routledge। পৃষ্ঠা 5। আইএসবিএন 978-1-136-64862-5।, Quote: "To the east, Iran, as a Gulf state, offers a generally accepted limit to the Middle East. However, Afghanistan, also a Muslim state, is then left in isolation. It is not accepted as a part of Central Asia and it is clearly not part of the Indian subcontinent".
  31. Dallen J. Timothy and Gyan P. Nyaupane, Cultural Heritage and Tourism in the Developing World: A Regional Perspective, page 127, Routledge, 2009, আইএসবিএন ৯৭৮-১-১৩৪-০০২২৮-৩
  32. Navnita Chadha Behera, International Relations in South Asia: Search for an Alternative Paradigm, page 129, SAGE Publications India, 2008, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৮২৯-৮৭০-২
  33. "The World Bank"। ১০ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৫
  34. "Institute of Development Studies: Afghanistan"। ১ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
  35. Saul Bernard Cohen (২০০৮)। Geopolitics: The Geography of International Relations (2 সংস্করণ)। Rowman & Littlefield Publishers। পৃষ্ঠা 329। আইএসবিএন 978-0-7425-8154-8।
  36. McLeod, John (২০০২)। The History of India। Greenwood Publishing Group। পৃষ্ঠা 1। আইএসবিএন 978-0-313-31459-9। ১৭ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৫
  37. Arthur Berriedale Keith, A Constitutional History of India: 1600–1935, pages 440–444, Methuen & Co, 1936
  38. N.D. Arora, Political Science for Civil Services Main Examination, page 42:1, Tata McGraw-Hill Education, 2010, 9780070090941
  39. Stephen Adolphe Wurm, Peter Mühlhäusler & Darrell T. Tryon, Atlas of languages of intercultural communication in the Pacific, Asia, and the Americas, pages 787, International Council for Philosophy and Humanistic Studies, Published by Walter de Gruyter, 1996, আইএসবিএন ৩-১১-০১৩৪১৭-৯
  40. "Indian subcontinent" > Geology and Geography ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে.
  41. Haggett, Peter (২০০১)। Encyclopedia of World Geography (Vol. 1)। Marshall Cavendish। পৃষ্ঠা 2710। আইএসবিএন 978-0-7614-7289-6।
  42. Territories (British Indian Ocean Territory), Jane's Information Group
  43. Encyclopædia Britannica: A New Survey of Universal Knowledge (volume 4), pages 177, Encyclopædia Britannica Inc., 1947
  44. Ian Copland, The Princes of pre-India in the Endgame of the British Empire: 1917–1947, pages 263, Cambridge University Press, 2002, আইএসবিএন ০-৫২১-৮৯৪৩৬-০
  45. Sarkar, Sudeshna (১৬ মে ২০০৭)। "SAARC: Afghanistan comes in from the cold"Current Affairs – Security Watch। Swiss Federal Institute of Technology, Zürich। ১৪ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০১১
  46. "South Asian Organisation for Regional Cooperation (official website)"। SAARC Secretariat, Kathmandu, Nepal.। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০১১
  47. Chatterjee Aneek, International Relations Today: Concepts and Applications, page 166, Pearson Education India, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৩১৭-৩৩৭৫-২
  48. "SAARC Membership: India blocks China's entry for the time being"The Economic Times। ২ ডিসেম্বর ২০১৪। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৫
  49. Global Summitry Project ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ জুলাই ২০২০ তারিখে, SAARC
  50. "Indian subcontinent". New Oxford Dictionary of English (আইএসবিএন ০-১৯-৮৬০৪৪১-৬) New York: Oxford University Press, 2001; p. 929: "the part of Asia south of the Himalayas which forms a peninsula extending into the Indian Ocean, between the Arabian Sea and the Bay of Bengal. Historically forming the whole territory of greater India, the region is now divided between India, Pakistan, and Bangladesh."
  51. The Columbia Electronic Encyclopedia, 6th ed. Columbia University Press, 2003: "region, S central Asia, comprising the countries of Pakistan, India, and Bangladesh and the Himalayan states of Nepal, and Bhutan. Sri Lanka, an island off the southeastern tip of the Indian peninsula, is often considered a part of the subcontinent."
  52. Robert Wynn Jones (২০১১)। Applications of Palaeontology: Techniques and Case Studies। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 267–271। আইএসবিএন 978-1-139-49920-0।
  53. Asher, Catherine B.; Talbot, Cynthia (২০০৬-০৩-১৬), India Before Europe, Cambridge University Press, পৃষ্ঠা 5–8, 12–14, 51, 78–80, আইএসবিএন 978-0-521-80904-7, ২৪ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৬
  54. South Asian Studies ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ মে ২০০৭ তারিখে, Brandeis University
  55. South Asia Institute ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে, Columbia University
  56. Vernon Marston Hewitt, The international politics of South Asia, page xi, Manchester University Press, 1992, আইএসবিএন ০-৭১৯০-৩৩৯২-৬
  57. Kishore C. Dash, Regionalism in South Asia, pages 172–175, Routledge, 2008, আইএসবিএন ০-৪১৫-৪৩১১৭-৪
  58. United Nations, Department of Economic and Social Affairs, Population Division (2014). World Urbanization Prospects: The 2014 Revision, custom data acquired via website. http://esa.un.org/unpd/wpp/Excel-Data/population.htm ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ মে ২০১৫ তারিখে
  59. Baten, Jörg (২০১৬)। A History of the Global Economy. From 1500 to the Present.। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 249। আইএসবিএন 9781107507180।
  60. Braj B. Kachru; Yamuna Kachru; S. N. Sridhar (২০০৮)। Language in South Asia। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 122–127, 419–423। আইএসবিএন 978-1-139-46550-2। ১৮ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬
  61. "The Census of British India of 1871-72"Journal of the Statistical Society of London। Journal of the Statistical Society of London Vol. 39, No. 2। 39 (2): 413। জুন ১৮৭৬। জেস্টোর 2339124
  62. Pew Research Center
  63. "Region: South Asia"। ২০১১-০১-২৭। ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৭
  64. Adams, C. J., Classification of religions: Geographical ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে, Encyclopædia Britannica, 2007. Accessed: 15 July 2010; Quote: "Indian religions, including early Buddhism, Hinduism, Jainism, and Sikhism, and sometimes also Theravāda Buddhism and the Hindu- and Buddhist-inspired religions of South and Southeast Asia".
  65. Alberts, Irving, T., . D. R. M. (2013). Intercultural Exchange in Southeast Asia: History and Society in the Early Modern World (International Library of Historical Studies). I.B. Tauris.
  66. Lisa Balabanlilar (২০১২)। Imperial Identity in Mughal Empire: Memory and Dynastic Politics in Early Modern Central Asia। I.B. Tauris। পৃষ্ঠা 1–2, 7–10। আইএসবিএন 978-1-84885-726-1। ১০ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬
  67. Balabanlilar, Lisa (২০১২)। Imperial Identity in Mughal Empire: Memory and Dynastic Politics in Early Modern Central Asia। I.B. Tauris। পৃষ্ঠা 1–2, 7–10। আইএসবিএন 978-1-84885-726-1। ১০ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬
  68. Pechilis, Karen; Raj, Selva J. (১ জানুয়ারি ২০১৩)। South Asian Religions: Tradition and Today (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। আইএসবিএন 9780415448512।
  69. "10 Countries With the Largest Muslim Populations, 2010 and 2050"Pew Research Center's Religion & Public Life Project। ২ এপ্রিল ২০১৫। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  70. Diplomat, Akhilesh Pillalamarri, The। "How South Asia Will Save Global Islam"The Diplomat (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  71. Cox, Wendell (জুন ২০২০)। "Demographia World Urban Areas" (পিডিএফ)Demographia। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০২১
  72. "India constitutes 90 percent of one billion cricket fans: ICC research"The Economic Times। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০১
  73. "South Asia's cricket obsession" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৬-১২-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০১
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.