সিরমৌর জেলা
সিরমৌর উত্তর ভারতের হিমাচল প্রদেশের দক্ষিণতম জেলা। এটি মূলত পর্বতমালা এবং গ্রামীণ, এর জনসংখ্যার ৯০% গ্রামে বাস করে। এর কয়েকটি শহরগুলির মধ্যে রয়েছে নাহান (রাজধানী), পাওন্তা সাহিব এবং সুকেতি, যা শিবালিক জীবাশ্ম পার্কের জন্য বিখ্যাত।
সিরমৌর জেলা | |
---|---|
হিমাচল প্রদেশের জেলাসমূহ | |
হিমাচল প্রদেশে সিরমৌর জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক (নাহান): ৩০.৬৪° উত্তর ৭৭.৪৪° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
প্রদেশ | হিমাচল প্রদেশ |
সদর দফতর | নাহান |
তহশিল | ৬ |
সরকার | |
• বিধান সভা নির্বাচনক্ষেত্র | ৫ |
আয়তন | |
• সর্বমোট | ২,৮২৫ বর্গকিমি (১,০৯১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• সর্বমোট | ৫,২৯,৮৫৫ |
• জনঘনত্ব | ১৯০/বর্গকিমি (৪৯০/বর্গমাইল) |
জনমিতি | |
• স্বাক্ষরতা | ৭৯.৯৮% |
• লিঙ্গ অনুপাত | ৯১৫ |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
ওয়েবসাইট | http://hpsirmaur.nic.in/ |
ভূগোল
এই জেলায় ছয়টি তহশিল রয়েছে: নাহান, রেণুকা, শিল্লাই, রাজগড়, পাছাদ ও পাওন্তা সাহিব। গিরি নদীটি জেলাটিকে প্রায় সমান দুটি অংশে বিভক্ত করে: গিরিপাড় এবং গিরিয়ার। প্রধান শহরগুলি হল নাহান, পাওন্তা সাহিব, রাজগড় এবং শিলাই।
ইতিহাস
সিরমৌর ১০৯০ সালে ভারতের একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল এবং যা জয়সলমের এর রাজা রসালু দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যার পূর্বপুরুষদের একজনের নাম সিরমৌর ছিলো। এটি ব্রিটিশ ভারতের একটি দেশীয় রাজ্যের অংশে পরিণত হয়েছিল, যা এখন হিমাচল প্রদেশের সিরমৌর জেলা। রাজ্যটি এর প্রধান শহর নাহানের কারণে নাহান নামেও পরিচিত ছিল। সিরমৌর সিরমুর রাজপুত বংশের প্রধানরা শাসন করেছিলেন, যারা "মহারাজা" উপাধি ব্যবহার করতেন।
জনমিতি
বছর | জন. | ব.প্র. ±% |
---|---|---|
১৯০১ | ১,৩৫,৬৬৭ | — |
১৯১১ | ১,৩৮,৫০০ | +০.২১% |
১৯২১ | ১,৪০,৪২৮ | +০.১৪% |
১৯৩১ | ১,৪৮,৫৪৭ | +০.৫৬% |
১৯৪১ | ১,৫৬,০০৩ | +০.৪৯% |
১৯৫১ | ১,৬৬,০৫৩ | +০.৬৩% |
১৯৬১ | ১,৯৭,৪৮৮ | +১.৭৫% |
১৯৭১ | ২,৪৪,৯২২ | +২.১৮% |
১৯৮১ | ৩,০৬,৮৯৭ | +২.২৮% |
১৯৯১ | ৩,৭৯,৬৯৫ | +২.১৫% |
২০০১ | ৪,৫৮,৫৯৩ | +১.৯১% |
২০১১ | ৫,২৯,৮৫৫ | +১.৪৫% |
উৎস:[1] |
২০১১ ভারতের জনগণনা অনুযায়ী সিরমৌর জেলার জনসংখ্যা ছিলো ৫২৯,৮৫৫।[2] যা তখনকার ৬৪০ টি জেলার মধ্যে ৫৪২ তম ছিলো।[3] জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৮৮ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৪৯০ জন/বর্গমাইল)। [3] ২০১১-২০১১ সময়কালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিলো ১৫.৬১%।[3] জেলায় লিঙ্গ অনুপাত হলো ১০০০ জন পুরুষের পরিবর্তে ৯১৫ জন নারী।[3] জেলার সাক্ষরতার হার ৭৯.৯৮%।[3]
২০১১ জনগণনা অনুযায়ী, ৩৯% জনগণ হিন্দি, ৩৪% পাহাড়ি ভাষায়, ২০ শতাংশ সিরমৌরী, ৩.৯% পাঞ্জাবি, ০.৯৪% নেপালি, ০.৪৩ হরিয়াণি, ০.৪২% তিব্বতি এবং অন্যান্য ভাষায় কথা বলে। [4]
সংস্কৃতি
জনসংখ্যার বেশিরভাগ হিন্দু এবং তাই বেশিরভাগ লোক হিন্দু দেবদেবীদের (দেবতা) উপাসনা করে এবং বিভিন্ন প্রকারের রীতিনীতি ও আচার পালন করে। এই অঞ্চলের স্থানীয় ভাষা সিরমৌরী।
বিশু একটি মেলা যা বেশ কয়েকটি জায়গায় অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে থোডা নৃত্যের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নাতি, গী, রাস এবং বুধেছু হল সিরমৌরী লোকনৃত্যের ধরন। এগুলো বিবাহ এবং দীপাবলি উৎসবের মতো অনুষ্ঠানে উপভোগ করা হয়।
অর্থনীতি
জেলার অর্থনীতি অনেকটাই কৃষিনির্ভর, এবং রাজগড় অঞ্চলে আলু, আদা, টমাটো, আপেল, আম এবং পীচ ফলন উল্লেখযোগ্য। পাওন্তা সাহিবের নিকট ধৌলা কুয়ান স্থানে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র আছে। সাম্প্রতিককালে এই অঞ্চলে হালকা শিল্পোদ্যোগ এর বৃদ্ধি ঘটছে। জেলায় কিছু খনিজ পদার্থও পাওয়া যায়। সাতাউন হলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চুনাপাথর এর সবচেয়ে বড় বাজার।
তথ্যসূত্র
- Decadal Variation In Population Since 1901
- http://www.censusindia.gov.in/2011census/dchb/0210_PART_B_DCHB_SIRMAUR.pdf p. 26.
- "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
- C-16 Population By Mother Tongue – Himachal Pradesh (প্রতিবেদন)। Office of the Registrar General & Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৯।