সেলিম আলতাফ
সেলিম আলতাফ বোখারী (উর্দু: سلیم الطاف; জন্ম: ১৯ এপ্রিল, ১৯৪৪) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের লাহোর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও প্রশাসক। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০-এর দশকের শেষদিক থেকে শুরু করে ১৯৭০-এর দশকের শেষদিক পর্যন্ত পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সেলিম আলতাফ বোখারী | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | লাহোর, পাঞ্জাব, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে পাকিস্তান) | ১৯ এপ্রিল ১৯৪৪||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার, প্রশাসক | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | নাঈম বোখারী (কনিষ্ঠ ভ্রাতা) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫৩) | ২৭ জুলাই ১৯৬৭ বনাম ইংল্যান্ড | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৭ অক্টোবর ১৯৭৮ বনাম ভারত | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৮) | ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩ বনাম নিউজিল্যান্ড | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩ নভেম্বর ১৯৭৮ বনাম ভারত | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে লাহোর, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স ও পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন সেলিম আলতাফ।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৬৩-৬৪ মৌসুম থেকে ১৯৭৮-৭৯ মৌসুম পর্যন্ত সেলিম আলতাফের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। প্রাণবন্তঃ ফাস্ট-মিডিয়াম সুইং বোলার হিসেবে সেলিম আলতাফের খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত হয়। সজিব পেস বোলিংয়ের পাশাপাশি বলকে বিলম্বে সুইং করেন তিনি।[1] উদ্বোধনী বোলার সেলিম আলতাফ ১৯৬৩-৬৪ মৌসুম থেকে ১৯৭৮-৭৯ মৌসুম পর্যন্ত পাকিস্তানের ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে খেলতেন।
১৯৬৫-৬৬ মৌসুমে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যরূপে লাহোর গ্রীনসের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৭/৬৯ গড়েন। ঐ খেলায় ১৫৫ রান খরচায় ১১ উইকেট লাভ করেছিলেন তিনি। ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করেন। লিওয়ার্ড আইল্যান্ডসের বিপক্ষে হ্যাট্রিকসহ ৪.১ ওভারে ৫/৬ লাভ করেন। ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে পিআইএ’র সদস্যরূপে সিন্ধু দলের বিপক্ষে ১১১ রানের একমাত্র শতরানের ইনিংস খেলেন। এরপর খেলার দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একুশটি টেস্ট ও ছয়টিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন সেলিম আলতাফ। ২৭ জুলাই, ১৯৬৭ তারিখে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৭ অক্টোবর, ১৯৭৮ তারিখে লাহোরে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৬৭ থেকে ১৯৭৮ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে ২১ টেস্টে অংশ নিয়ে ৪৬ উইকেট পেয়েছিলেন। ১৯৬৭ ও ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। ১৯৬৭ সালে ইংল্যান্ড সফরে দলের অন্যতম দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। কিন্তু, প্রথম টেস্টে মাংসপেশীতে টান পড়ে তার ও খেলায় ব্যাঘাত সৃষ্টি ঘটে। এছাড়াও, নিচেরসারিতে বেশ দর্শনীয় ব্যাটিং করতে পারতেন। মারকুটে ব্যাটিং করে টেস্টে একটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন। ১৯৭১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ১৪.৩-৯-১১-৪ গড়েন। ১৯৭২-৭৩ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫৩ রান সংগ্রহ করেন।
১৯৭২-৭৩ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড গমনের পর ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়া সফর করেছিলেন। তন্মধ্যে, ১৯৭২-৭৩ মৌসুমের অস্ট্রেলিয়া সফরেই সর্বাধিক সফলতম সিরিজ খেলেন। তিন টেস্টে অংশ নিয়ে ২৮.৪৫ গড়ে ১১ উইকেট দখল করেন।
অবসর
খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর টেস্ট দল নির্বাচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ২০০৫ সালের শুরুতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে ক্রিকেট পরিচালক হিসেবে নিযুক্তি লাভ করেন। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত ২০১১ সালের ক্রিকেটে বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন।
এরপর প্রশাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েন তিনি। ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত স্পেশাল প্রজেক্টসের পরিচালক ছিলেন। তবে, ১২ জুন, ২০০৮ তারিখে পিসিবি চেয়ারম্যান নাসিম আশরাফের পাকিস্তানের দলীয় ব্যবস্থাপক তালাত আলী’র কাছে প্রেরিত ই-মেইল গণমাধ্যমে ফাঁস করার বিষয়ে অভিযুক্ত হন ও তাকে বরখাস্ত করা হয়। ঐ ই-মেইলে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত খেলায় ভারতের বিপক্ষে দলের ১৪০ রানের পরাজয়ের বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের কথা উল্লেখ ছিল।[2] আলতাফের ফোনে স্পর্শকাতর বিষয়ে গণমাধ্যমের সাথে যোগাযোগে ট্যাপ করা হয়।[3]
তথ্যসূত্র
- Phil Wilkins, "Pakistan in Australia and New Zealand, 1972-73", Wisden 1974, p. 912.
- PTI (১৭ জুন ২০০৮)। "Bitter Altaf lashes out at PCB, denies being a media mole"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১৯।
- PCB official resigns soon after Altaf sacking. Cricinfo.com
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে সেলিম আলতাফ (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে সেলিম আলতাফ (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)