রোডেশিয়া ক্রিকেট দল
রোডেশিয়া ক্রিকেট দল (ইংরেজি: Rhodesia cricket team) প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দলবিশেষ। ব্রিটিশ উপনিবেশভূক্ত দক্ষিণ রোডেশিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্বকারী দল এটি। পরবর্তীতে এটি স্বাধীন রাষ্ট্র রোডেশিয়ার (বর্তমানে জিম্বাবুয়ে) প্রতিনিধিত্ব করতো। ১৯৮০ সালে রোডেশিয়া ক্রিকেট দলের নাম পরিবর্তন করে জিম্বাবুয়ে-রোডেশিয়া ক্রিকেট দল রাখা হয়। ১৯৮১ সালে এটি বর্তমানের জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল নাম গ্রহণপূর্বক পরিচিতি পাচ্ছে।
দলের তথ্য | |
---|---|
শেষ ম্যাচ | ১৯৮০ |
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল | |
আইসিসি মর্যাদা | বর্তমানে জিম্বাবুয়ে (১৯৮১ (জিম্বাবুয়ে-রোডেশিয়া)) |
আইসিসি অঞ্চল | আফ্রিকা |
বিশ্ব ক্রিকেট লিগ | ১৫ |
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | |
প্রথম আন্তর্জাতিক | ১৯০৫ ব ট্রান্সভাল |
৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ অনুযায়ী |
সম্মাননা
- কারি কাপ (০) –
- জিলেট/নিসান কাপ (১) – ১৯৭৭-৭৮
ইতিহাস
১৯০৫ সাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার কারি কাপ চ্যাম্পিয়নশীপে রোডেশিয়া দল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়। দলটি তাদের প্রথম অংশগ্রহণে মোটেই সুবিধে করতে পারেনি। ট্রান্সভালের কাছে প্রথম খেলায় ইনিংস ও ১৭০ রানে পরাজিত হয়। এরপর থেকে ১৯২৯-৩০ মৌসুমের পূর্ব-পর্যন্ত রোডেশিয়া দল কারি কাপের খেলায় অংশ নেয়নি। ১৯৩১-৩২ মৌসুমেও দলটি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়। পাঁচ খেলার চারটিতেই জয়ের সন্ধান পায়। কিন্তু, ঐ সময়ের পয়েন্ট ব্যবস্থায় ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের কাছে শিরোপা খোঁয়ায়। এরপর, ১৯৪৬-৪৭ মৌসুমের পূর্ব-পর্যন্ত আর খেলেনি। তারপর থেকেই দলটি নিয়মিতভাবে অংশ নিতে থাকে।
অক্টোবর, ১৯৬১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা গমনার্থে নিউজিল্যান্ড দল রোডেশিয়া সফর করে। দুইটি তিনদিনের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশ নেয় সফরকারী দল। প্রথমটি বুলাওয়েতে ও অপরটি সলসবারিতে। উভয় খেলায় ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল।[1][2]
সবমিলিয়ে ২৪২জন ক্রিকেটার রোডেশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। উল্লেখযোগ্য রোডেশীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন - ডেনিস টমলিনসন, ক্রিস ডাকওয়ার্থ, টনি পিদি, ডেভিড পিদি, জ্যাকি দু প্রিজ, জো প্যাট্রিজ, গডফ্রে লরেন্স ও কলিন ব্ল্যান্ড। কেবলমাত্র তারাই রোডেশিয়ায় জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে খেলেছেন। এছাড়াও, তাদের সাথে শ্রপশায়ারে জন্মগ্রহণকারী পার্সি ম্যানসেল, দক্ষিণ আফ্রিকান পল উইনস্লো, মাইক প্রক্টর, পিটার কার্লস্টেইন ও মিশরে জন্মগ্রহণকারী জন ট্রাইকোস রোডেশিয়ার পক্ষে খেললেও কখনো দলটি কারি কাপের শিরোপার সন্ধান পায়নি। ১৯৭৯-৮০ মৌসুমে দলটি জিম্বাবুয়ে-রোডেশিয়া নামে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় এবং ঐ মৌসুম শেষে দলটি চিরতরে এ প্রতিযোগিতা থেকে চলে যায়। এ পর্যায়ে দলটি স্বাধীন জিম্বাবুয়ের প্রতিনিধিত্ব করে।
জিম্বাবুয়ে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের পূর্বে রোডেশিয়ার খেলোয়াড়দেরকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণের যোগ্যতা ছিল।
মাঠ
রোডেশিয়ায় নিম্নবর্ণিত মাঠ রয়েছে:
- কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব, বুলাওয়ে (মার্চ, ১৯১০ - বর্তমান)
- সলসবারি / হারারে স্পোর্টস ক্লাব মার্চ, ১৯১০ - বর্তমান) : ম্যাশোনাল্যান্ডের অনুশীলনী মাঠ, ১৯৫৪ থেকে)
- রেলটন ক্লাব, বুলাওয়ে (মাঝে-মধ্যে, ডিসেম্বর, ১৯২৪ - ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৫)
- ওল্ড হারারিয়ান্স এ ফিল্ড, সলসবারি (একবার, মার্চ, ১৯৫০)
- বুলাওয়ে অ্যাথলেটিক ক্লাব (একবার, নভেম্বর, ১৯৫১): মাতাবেলেল্যান্ডের অনুশীলনী মাঠ, ১৯৯৪ সাল থেকে)
- পুলিশ এ গ্রাউন্ড, সলসবারি (অক্টোবর, ১৯৫৭ - ডিসেম্বর, ১৯৬৮)
- পুলিশ বি গ্রাউন্ড, সলসবারি (নভেম্বর, ১৯৬৯ - জানুয়ারি, ১৯৮০)
তথ্যসূত্র
- South African Cricket Annual – বিভিন্ন সংস্করণ
- Wisden Cricketers' Almanack – বিভিন্ন সংস্করণ