পটুয়াখালী জেলা
পটুয়াখালী জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল ও বাংলাদেশের একটি উপকূলীয় জেলা। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পটুয়াখালী বরিশাল বিভাগের একটি সম্ভাবনাময় জেলা। পর্যটন নগরী কুয়াকাটা এ জেলার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। এখানে রয়েছে একসাথে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার অপরূপ দৃশ্য যা বিশ্বে বিরল। তাই পর্যটকদের কাছে পটুয়াখালী "সাগরকন্যা" নামে পরিচিত। উপজেলা সংখ্যানুসারে পটুয়াখালী বাংলাদেশের একটি“এ”শ্রেণীভুক্ত জেলা।[1] মেঘনা নদীর অববাহিকায় পললভূমি এবং কিছু চরাঞ্চল নিয়ে এই জেলা গঠিত। পটুয়াখালী জেলা শহর একটি পূর্নাঙ্গ প্রশাসনিক অঞ্চল। এই জেলায় বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসহ আছে প্রচুর সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠা। স্বাধীন বাংলাদেশে সর্বপ্রথম পটুয়াখালী মহুকুমাকে একটি জেলায় উন্নীত করা হয়। দেশের সর্ববৃহৎ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা বন্দর, দ্বিতীয় সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা, দক্ষিণাঞ্চলের সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সহ শেখ হাসিনা সেনানিবাসসহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পানি জাদুঘর পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত।
পটুয়াখালী | |
---|---|
জেলা | |
ডাকনাম: সাগরকন্যা | |
বাংলাদেশে পটুয়াখালী জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°২১′১৫″ উত্তর ৯০°১৯′৫″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | বরিশাল বিভাগ |
জেলা প্রতিষ্ঠা | ১ জানুয়ারি ১৯৬৯ |
জাতীয় সংসদের আসন | ৪টি |
সরকার | |
• জেলা প্রশাসক | মোহাম্মদ কামাল হোসেন |
আয়তন | |
• মোট | ৩,২২১.৩১ বর্গকিমি (১,২৪৩.৭৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০২২) | |
• মোট | ১৭,২৭,২৫৪ |
• জনঘনত্ব | ৫৪০/বর্গকিমি (১,৪০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৮৬০০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ১০ ৭৮ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
ইতিহাস
নামকরণ
পটুয়াখালী শহরের বয়স প্রায় দেড়'শ বছর। এই নামের উৎপত্তি নিয়ে মতান্তর রয়েছে। কবে, কখন, কীভাবে পটুয়াখালী নামকরণ হয়েছিল তা বলা দুরূহ ব্যাপার। এ নামকরণ সম্পর্কে তেমন কোনো দালিলিক তথ্য নেই। পটুয়াখালী নামকরণের ক্ষেত্রে মতভেদ থাকলেও অধিকাংশই স্বর্গীয় দেবেন্দ্র নাথ দত্তের পুরানো কবিতার সূত্র ধরে "পতুয়ার খাল" থেকে পটুয়াখালী নামকরণের উত্পত্তি বলে সমর্থন করেন। সপ্তদশ শতাব্দীতে পর্তুগীজ জলদস্যুদের হামলা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতন, অপহরণ ও ধ্বংসলীলায় বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের দক্ষিণাঞ্চল প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে। এসময় বর্তমান পটুয়াখালী শহর এলাকা ছিল সুন্দরবন এবং নদীর উত্তর পাড়ে ছিল লোকালয়। উত্তর পাশের বর্তমান লাউকাঠী নদী ছিল লোহালিয়া ও পায়রা নদীর ভাড়ানী খাল। এই ভাড়ানী খাল দিয়েই পর্তুগীজ জলদস্যুরা এসে গ্রামের পর গ্রামে চালাত লুণ্ঠন ও অত্যাচার। এ খাল দিয়ে পর্তুগীজদের আগমনের কারণে স্থানীয়রা তৈরি করে অনেক কেচ্ছা ও কল্প কাহিনী। এর নাম তখন সবার মুখে মুখে পতুয়ার খাল। পরবর্তীতে এই পতুয়ার খাল থেকেই পটুয়াখালীর উৎপত্তি হয়। ১৯৮০ সনে শেরেবাংলা টাউন হলে অনুষ্ঠিত 'পটুয়াখালী জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য' শীর্ষক সেমিনারে অধিকাংশ বক্তা, প্রবন্ধকার ও 'বরিশালের ইতিহাস'-এর লেখক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ এই মতকে সমর্থন করেন। পটুয়াখালী নামকরণের অপর দু'টি মত হচ্ছে এ অঞ্চলে একসময় পটুয়ার দল বাস করত। এরা নিপুণ হাতে মৃৎপাত্র তৈরি করে তাতে নানা ধরনের পট বা ছবির সন্নিবেশ ঘটাত। এই 'পটুয়া' থেকে 'পটুয়াখালী' নামের উৎপত্তি হয়ে থাকতে পারে। অথবা পেট-আকৃতির খাল বেষ্টিত এলাকাই হয়তো পেটুয়াখালী এবং পরে তা অভিহিত হয় পটুয়াখালী নামে। তবে শেষোক্ত অভিমত দু'টির কোনো জোরালো সমর্থন মেলেনি।
জেলাকরণ
১৮০৭ সালে বরিশালের জজ-ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে আসেন মিঃ বেটি। দক্ষিণাঞ্চলের সুন্দরবন কেটে বসত বৃদ্ধি পাওয়ায় বেটির শাসন আমলেই ১৮১২ সালে পটুয়াখালীকে নিয়ে গঠন করা হয় মির্জাগঞ্জ থানা। পরবর্তীতে দেওয়ানী শাসন প্রসারের জন্য ১৮১৭ সালে বরিশালে স্থাপন করা হয় পৃথক ৪টি মুন্সেফী চৌকি। এগুলো হলো বাউফল, কাউখালী, মেহেন্দিগঞ্জ ও কোটের হাট চৌকি। বাউফল চৌকির প্রথম মুন্সেফ হয়ে আসেন ব্রজমোহন দত্ত। ১৮৬০ সালের ১ জুন বাউফল থেকে চৌকি স্থানান্তর করা হয় লাউকাঠীতে। ব্রজ মোহন দত্ত লাউকাঠী চৌকিরও মুন্সেফ ছিলেন। লাউকাঠীর দক্ষিণ পাড়ে একসময় ছিল গভীর অরণ্য। ঐ অরণ্যের মাঝে কোন এক সময় একদল কাপালিক এসে আস্তানা গাড়ে। বিগ্রহ স্থাপন করে প্রতিষ্ঠা করে কালিমন্দির। তারা জনবসতি এলাকায় গিয়ে ডাকাতি করত। লোকজন ঐ মন্দিরকে বলত ডাকাতিয়া কালিবাড়ি।
ব্রজ মোহন দত্ত প্রস্তাব করেন পটুয়াখালী নতুন মহকুমা প্রতিষ্ঠার। ১৮৬৭ সালের ২৭ মার্চ কলিকাতা গেজেটে পটুয়াখালী মহকুমা সৃষ্টির ঘোষণা প্রকাশিত হয়। ১৮৭১ সালে পটুয়াখালী মহকুমায় রূপান্তরিত হয়। জমিদার হৃদয় শংকরের পুত্র কালিকা প্রসাদ রায়ের নামানুসারে লাউকাঠীর দক্ষিণ পাড়ের নাম করা হয় কালিকাপুর। এখানেই গড়ে ওঠে শহর। মহকুমা সদর অফিস স্থাপিত হয় কালীবাড়ি পুকুরের পূর্ব পাড়ে। প্রথমে বাঁশ ও ছনের তৈরি ঘরে কোর্ট বসে বলে স্থানীয় লোকজন একে বলত বাউশশা কোর্ট। তখন ব্রজ মোহন দত্ত মুন্সেফ ও ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট দুই পদেই অধিষ্ঠিত হন। নতুন মহকুমার নাম হয় পটুয়াখালী। পার হয়ে গেল এক শতাব্দী। এল ১৯৬৯ সন। ইতিহাসে সংযোজিত হলো দেশের সাগর বিধৌত নতুন এক জেলা পটুয়াখালী। ১৯৬৯ সনের ১ জানুয়ারি খুলনা বিভাগের তৎকালীন কমিশনার এ.এম.এফ জেলা প্রশাসকের ভবনের দরবার হলে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। একই বছরের ৯ মার্চ পটুয়াখালী জেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ভাইস এডমিরাল এস. এম আহসান। পটুয়াখালীর প্রথম জেলা প্রশাসক ছিলেন হাবিবুল ইসলাম। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পূর্ব থেকেই (অর্থাৎ, পাকিস্তান আমল থেকেই) বৃহত্তর বরিশাল (সাবেক বরিশাল জেলা) ও পটুয়াখালী (সাবেক পটুয়াখালী জেলা) ছিল খুলনা বিভাগের অন্তর্গত; পরবর্তীকালে সরকারের প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস কার্যক্রমের সূত্রে ১৯৯৩ সালে ১ জানুয়ারি বৃহত্তর বরিশাল ও পটুয়াখালীর ছয়টি জেলা বরগুনা,বরিশাল,পটুয়াখালী,ভোলা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলা নিয়ে বাংলাদেশের পঞ্চম বিভাগ বরিশাল গঠিত হয়। [2]
ভৌগোলিক সীমানা
পটুয়াখালী জেলার উত্তরে বরিশাল জেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে ভোলা জেলা, পশ্চিমে বরগুনা জেলা। জেলার আয়তন প্রায় ৩,২২১.৩১ বর্গ কিলোমিটার।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
পটুয়াখালী জেলা ৮টি উপজেলা, ৯টি থানা, ৫টি পৌরসভা, ৭৬টি ইউনিয়ন ও ৪টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।
উপজেলাসমূহ
পটুয়াখালী জেলায় মোট ৮টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল:
সংসদীয় আসন
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[3] | সংসদ সদস্য[4][5][6][7][8] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
১১১ পটুয়াখালী-১ | মির্জাগঞ্জ উপজেলা, দুমকি উপজেলা এবং পটুয়াখালী সদর উপজেলা | শাহজাহান মিয়া | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
১১২ পটুয়াখালী-২ | বাউফল উপজেলা | আ. স. ম. ফিরোজ | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
১১৩ পটুয়াখালী-৩ | দশমিনা উপজেলা এবং গলাচিপা উপজেলা | এস এম শাহাজাদা | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
১১৪ পটুয়াখালী-৪ | কলাপাড়া উপজেলা এবং রাঙ্গাবালী উপজেলা | মহিববুর রহমান | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
জনসংখ্যার উপাত্ত
বছর | জন. | ব.প্র. ±% |
---|---|---|
১৯৭৪ | ৯,৩৭,০০৬ | — |
১৯৮১ | ১১,৬৫,০৭৬ | +৩.১৬% |
১৯৯১ | ১২,৭৩,৮৭২ | +০.৯% |
২০০১ | ১৪,৬০,৭৮১ | +১.৩৮% |
২০১১ | ১৫,৩৫,৮৫৪ | +০.৫% |
উৎস:[9] |
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী পটুয়াখালী জেলার মোট জনসংখ্যা ১৫,৩৫,৮৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭,৫৩,৪৪১ জন এবং মহিলা ৭,৮২,৪১৩ জন। মোট পরিবার ৩,৪৬,৪৬২টি।[10]
শিক্ষা
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী পটুয়াখালী জেলার সাক্ষরতার হার ৬৫%।[10] জেলায় উচ্চ শিক্ষার জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও একটি মেডিকেল কলেজ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এছাড়াও পটুয়াখালী শতবর্ষী তিনটি স্কুল রয়েছে। এগুলো হলো:
- পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয়
- লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারি,পটুয়াখালী
- পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ
- পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
- পটুয়াখালী সরকারি কলেজ
- আব্দুল করিম মৃধা কলেজ, চরপাড়া, পটুয়াখালী
- পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ
- পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়
- লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারী, পটুয়াখালী
- রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- পটুয়াখালী কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ
- শের-ই বাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পটুয়াখালী
- পটুয়াখালী টাউন উচ্চ বিদ্যালয়
- আবদুর রশিদ তালুকদার ডিগ্রী কলেজ
- আবদুল হাই বিদ্যানিকেতন পটুয়াখালী
- দশমিনা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- গছানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- সরকারী জনতা কলেজ
- দুমকি আপতুননেছা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- সৃজনী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ
- জলিশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- বগা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- এস. এ. মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আরজবেগী।
- আউলিয়াপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- সোনামদ্দিন মৃধা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- কনকদিয়া স্যার সলিমুল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজ
- ইন্দ্রকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- পটুয়াখালী নেছারিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা
- ওয়েজিয়া কামিল মাদ্রাসা
- হাজী আক্কেল আলী হাওলাদার (ডিগ্রি) কলেজ
- ডোনেভান স্কুল
- গলাচিপা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- গলাচিপা সরকারী কলেজ
- গলাচিপা মহিলা ডিগ্রি কলেজ
- সুহারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- গলাচিপা সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়[11]
- কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
- কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজ
- কলাপাড়া সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- সরকারি মোজহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ, কলাপাড়া
- সুবিদখালী র ই পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়।সুবিদখালী, মির্জাগঞ্জ।
- দেউলী পল্লী মঙ্গল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দেউলী সুবিদখালী, মির্জাগঞ্জ।
- আলহাজ্ব জালালউদ্দিন কলেজ, ধুলাসার, কলাপাড়া
- এসকেজেবি মাধ্যমিক স্কুল, লালুয়া কলাপাড়া
- জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লালুয়া, কলাপাড়া
- ধানখালী এ এন আশ্রাফ একাডেমী, ধানখালী
- মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল কলেজ
- কলাপাড়া মহিলা কলেজ
- ধরান্দী ডিগ্রি কলেজ
- ধানখালী ডিগ্রি কলেজ, ধানখালী
- এনামুল হক মামুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- শ্রীরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লাউকাঠী
- সুবিদখালী সরকারি কলেজ
- মুসুল্লীয়াবাদ এ.কে. মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লতাচাপলী, কলাপাড়া
- কাঁঠালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়,মির্জাগঞ্জ।
- মৌডুবি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গাবালী
- কলাগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- সুন্দ্রাকালিকাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মির্জাগঞ্জ।
- বাউফল সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়
উৎপাদিত ফল
পটুয়াখালী জেলায় অনেক ধরনের ফল উৎপাদিত হয়। পটুয়াখালীতে অনেক তরমুজ চাষ হওয়ায় এই জেলাকে তরমুজের বাড়িও বলা হয়। ফলমূল ছাড়াও এ জেলায় প্রচুর শকসবজিও চাষ করা হয়। দেশের শতকরা ৬০ ভাগ ডাল আসে পটুয়াখালী জেলা থেকে। পটুয়াখালী জেলায় চাষ হয় পবিত্র কুরআনে বর্ণিত মরুভূমির ত্বীন ফল যা দেশে বিরল। পটুয়াখালী জেলায় উৎপাদিত ফলের মধ্যে অন্যতমঃ[12]
- আম
- তরমুজ
- কাঁঠাল
- পেয়ারা
- ত্বীন ফল
- জাম
- পেঁপে
- কলা
- লিচু
- লেবু
- আনারস
- বাদাম
- নারিকেল
- কমলালেবু
অর্থনীতি
- মৎস্য সম্পদ
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য সম্পদে সমৃদ্ধ। নদী বিধৌত পটুয়াখালী জেলার খাল-বিল, পুকুর, নালা, নিম্নভূমি গুলো মৎস্য সম্পদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জেলার নদী মোহনাগুলো ইলিশ মাছের জন্য বিখ্যাত।
- বনভূমি
পটুয়াখালী জেলার বনাঞ্চলের পরিমাণ খুবই কম। যেখানে বাংলাদেশের মোট ভূমির ১৫% বনভূমি সেখানে পটুয়াখালী জেলার মাত্র ২% বনাঞ্চল। বনাঞ্চলের উল্লেখযোগ্য গাছের নাম কেওড়া, গেওয়া, কাকড়া, বাবুল গোলপাতা ইত্যাদি।
- শিল্প ও ব্যবসা বাণিজ্য
- কুটির শিল্প
- মৃৎশিল্প
- পাট শিল্প
- বিড়ি শিল্প
- মাছের ব্যবসায়
- গাছের ব্যবসায়
- চাল ও ডালের ব্যবসায়।
পটুয়াখালীতে ব্যবসা-বাণিজ্য দিন দিন বিকশিত হচ্ছে। এখানে রয়েছে অটো রাইস মিল, রাইস মিল, ইট ভাটা, বিস্কুট ফ্যাক্টরী, সিনেমা হল, ফিলিং স্টেশন, ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠান।
চিত্তাকর্ষক স্থান
- কুয়াকাটা
- কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান
- কুয়াকাটা ইকোপার্ক
- কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
- শ্রীরামপুর জমিদার বাড়ি
- মহেন্দ্র রায়ের জমিদার বাড়ি
- কানাই বলাই দিঘী
- কাজলার চর
- ফাতরার চর
- কুয়াকাটা বৌদ্ধ মন্দির
- হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফার মাজার
- পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- সোনারচর, রাঙ্গাবালী উপজেলা
- জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত, রাঙ্গাবালী উপজেলা
- জাহাজমারা (সখিনা পার্ক), রাঙ্গাবালী উপজেলা
- তুফানিয়ার চর, রাঙ্গাবালী উপজেলা
- মনিপাড়া মৎস খামার, রাঙ্গাবালী উপজেলা
- চরমোন্তাজ, রাঙ্গাবালী উপজেলা
- চরআন্ডা, রাঙ্গাবালী উপজেলা
- কলাগাছিয়ার চর, রাঙ্গাবালী উপজেলা
- কুয়াকাটা রাখাইন পল্লী
- মজিদবাড়িয়া মসজিদ
- সীমা বৌদ্ধ বিহার
- বীজ বর্ধন খামার[13]
- পায়রা বন্দর
- পানি জাদুঘর
- পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ
- লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারী, পটুয়াখালী
- পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয়
- কালাইয়া প্রাচীন বন্দর
- শৌলা পার্ক
- কেশব পুর শিকদার বাড়ি
- পটুয়াখালী শেখ রাসেল শিশু পার্ক
- পটুয়াখালী শহীদ আলাউদ্দিন শিশু পার্ক
- ঘসেটি বিবির মসজিদ
- চন্দ্রদ্বীপের রাজকন্যা কমলারানীর দিঘি
- তমিরুদ্দিন আউলিয়ার মাজার - কালাইয়া
- মদনপুরার মৃৎশিল্প
- কালিশুরী ইসাখার মসজিদ
- শের-ই-বাংলার দাদার পৈতৃক বাড়ি
- পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র
- ঝাউতলা পটুয়াখালী সদর
- কুয়াকাটা রাখাইনপল্লী
- পায়রা সেতু
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
- আব্দুল বাতেন তালুকদার –– প্রাক্তন মন্ত্রী।
- মাহবুবুর রহমান তালুকদার--- প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী।
- আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন –- সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং সাবেক বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী।
- শাহজাহান মিয়া –- বর্তমান এমপি ও সাবেক ধর্ম মন্ত্রী।
- বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম বি,ডি হাবিব উল্লাহ-১৯৭১ সালের ভারতীয় ট্রেনিং প্রাপ্ত যুদ্ধকালীন কমান্ডার, তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের নেতা পটুয়াখালী সরকারি কলেজ।
- আলতাফ হোসেন চৌধুরী –- প্রাক্তন বিমান বাহিনী প্রধান এবং প্রাক্তন মন্ত্রী।
- মোহাম্মদ কেরামত আলী –– সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সাবেক মন্ত্রী।
- তানিয়া আহমেদ –– অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র পরিচালক।
- ওয়াসিমুল বারী রাজীব –– চলচ্চিত্র অভিনেতা।
- বিজরী বরকতউল্লাহ –– অভিনেত্রী।
- সোহাগ গাজী –– ক্রিকেটার।
- কেএম নুরুল হুদা –– প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- কামরুল ইসলাম রাব্বি –– ক্রিকেটার।
- নুরুল হক নুর –– ডাকসু ভিপি।
- ফয়েজ আহম্মদ –– সদস্য, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন ও সাবেক সিনিয়র সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
- আব্দুল মালেক –– সাবেক তথ্যসচিব।
- আ. স. ম. ফিরোজ –– সাবেক চিফ হুইপ এবং সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।
- এস এম শাহাজাদা--- সংসদ সদস্য, পটুয়াখালী-৩
- মহিব্বুর রহমান মহিব--- সংসদ সদস্য, পটুয়াখালী-৪
- অহনা রহমান লাকি –– অভিনেত্রী।
- রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা – সংগীত শিল্পী।
- গোলাম মাওলা রনি - সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, লেখক ও সমালোচক।
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা
- শেখ হাসিনা সেনানিবাস, পটুয়াখালী।
- পায়রা বন্দর, পটুয়াখালী।
- পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পটুুয়াখালী।
- পায়রা সেতু (লেবুখালী) পটুয়াখালী।
- সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন, পটুয়াখালী।
- পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী।
- পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ, পটুয়াখালী।
- পটুয়াখালী সরকারি কলেজ, পটুয়াখালী।
- পটুয়াখালী ইপিজেড (প্রস্তাবিত)
- পটুয়াখালী বিমানবন্দর (পরিত্যক্ত)
আনুসঙ্গিক নিবন্ধ
তথ্যসূত্র
- "জেলাগুলোর শ্রেণি হালনাগাদ করেছে সরকার"। বাংলানিউজ২৪। ১৭ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২০।
- "পতুয়ার খাল থেকে পটুয়াখালী :: দৈনিক ইত্তেফাক"। archive.ittefaq.com.bd (Bengali ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৫।
- "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "Zila Series: Patuakhali" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। ২০১১।
- "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (পিডিএফ)। web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ৮ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৯।
- "গলাচিপা উপজেলা"
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। http (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৫। - Bangladesh District Gazetteers:Bogra. Government of Bangladesh. 1979, pp. 16-16
- "দশমিনায় এশিয়ার বৃহত্তম বীজ বর্ধন খামার"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০২১।
বহিঃসংযোগ
- বাংলাপিডিয়ায় পটুয়াখালী জেলা
- পটুয়াখালী জেলার সরকারি ওয়েবসাইট জেলা তথ্য বাতায়ন