কোয়ামে এনক্রুমাহ

কোয়ামে এনক্রুমাহ (ফরাসি:Nwia-Kofi Ngonloma; ইংরেজি: Kwame Nkrumah)(২১শে সেপ্টেম্বর ১৯০৯- ২৭শে এপ্রিল ১৯৭২)[1] ঘানার স্বাধীনতা সংগ্রামী যোদ্ধা ছিলেন। তিনি দেশকে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত করেন। তিনি পশ্চিম আফ্রিকার নযিমা উপজাতীর মানুষ ছিলেন। জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনেও তার ভুমিকা অনস্বীকার্য ।

সোভিয়েত ডাকটিকিটে কোয়াম ঙ্ক্রুমা
কোয়ামে এনক্রুমাহ
কোয়ামে এনক্রুমাহ
1st Prime Minister of Ghana
কাজের মেয়াদ
March 6, 1957  1 July 1960
সার্বভৌম শাসকQueen Elizabeth II
(colonial head)
represented by the following:
Sir Charles Noble Arden-Clarke
(6 March - 24 June 1957)
Lord Listowel
(২৪শে জুন ১৯৫৭- ১লা জুলাই ১৯৬০)
পূর্বসূরীNone
উত্তরসূরীPosition abolished
1st President of Ghana
First Republic
কাজের মেয়াদ
১লা জুলাই ১৯৬০  ২৪শে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬
পূর্বসূরীWilliam Hare, 5th Earl of Listowel
উত্তরসূরীLt. Gen. J. A. Ankrah
(Military coup d'état)
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯০৯-০৯-২১)২১ সেপ্টেম্বর ১৯০৯
Nkroful, Gold Coast
মৃত্যু২৭ এপ্রিল ১৯৭২(1972-04-27) (বয়স ৬২)
বুখারেস্ট, রোমানিয়া
রাজনৈতিক দলConvention Peoples' Party
দাম্পত্য সঙ্গীFathia Rizk
সন্তানFrancis, গামাল, সামীয়া, Sekou
জীবিকাLecturer

জীবনী

কোয়ামে এনক্রুমাহ ১৯০৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।তিনি ক্যাথলিক মিশন স্কুলে পড়াশোনা করেন। পরে সরকারী কারিগরি কলেজেও পড়েন। ১৯৩৫ সালে নামডি আযিকিওয়েরসাথে যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি দেন। নামডি আযিকিওয়ে পরে নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি হন। এখানে তিনি লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এখেনে তিনি দলের সদস্য হন। ১৯৪৫ সালে তিনি লন্ডন যান। West African Students Union দলের সহসভাপতি হয়েছিলেন। এই সময় জ্র্জ প্যাডমোরের সাথে পরিচিত হন। ১৯৪৭ সালে স্বদেশে আসেন। United Gold Coast Convention দলের সদস্য হন। ব্রিটিশ বিরোধি আন্দোলন চালানোর দায়ে গ্রেফতার হন। ১৯৪৯ সালের জুন মাসে দলের অন্তর্দ্বন্দ্বে দল ছেড়ে Conventional Peoples Party দল করেন। এই সময় গ্রেফতার হন। ১৯৫১ সালে সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে মুক্তি পান। তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৫৪ থেকে দেশে গোলযোগ দেখা যায়। ১৯৫৬ সালে তিনি এই অশান্তি দমন করেন। ১৯৫৭ সালে ৬ মার্চ স্বাধীনতা আসে। ১৯৬০ সালে তিনি রাষ্ট্রপতিত্ব গ্রহ্ণ করেন।আফ্রিকাব্যাপি তৈরির চেষ্টা করেন। Osagyefa উপাধী ধারণ করেন। এই সময় একনায়ক্তন্ত্রে বিরক্ত বিরোধীরা হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ১৯৬৩ সালে প্রকল্প পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। ১৯৬৪ সালে ঘানাকে সমাজতন্ত্রী রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। ২৪শে ফেব্রুয়ারি ভিয়েতনাম সফরে যাওয়ার সময় গদিচ্যুত হন। এরপর তিনি ভিয়েনাতে আশ্রয় নেন। ১৯৭২ সালের ২৭শে এপ্রিল তিনি নিঃসঙ্গ অবস্থায় মারা যান।[2]

রাজনৈতিক জীবন

১৯৪৫ সালে তিনি পঞ্চম প্যান-আফ্রিকান সম্মেলনের যুগ্ম-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৭ সালে ইউনাইটেড গোল্ড কোস্ট কনভেশন-এর সেক্রেটারি হন। ১৯৪৯ সালে গড়ে তুলেন কনভেশন পিপলস পার্টি নামে একটি রাজনৈতিক দল। ১৯৫২ সালে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ১৯৫৬ সালে তার রাজনৈতিক দল নির্বাচনে বিজয়ী হলে গোল্ড কোস্ট স্বাধীনতা লাভ করে এবং দেশটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ঘানা। ১৯৬০ সাল পর্যন্ত তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন, এবং একই বছরে তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের কঠোর হাতে দমন করার কারণে তার বিরুদ্ধে অসন্তোষ মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। ১৯৬৬ সালে ঘানার শাসন ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। এই সময় তিনি দেশের বাহিরে ছিলেন।

মৃত্যু

১৯৭২ সালের ২৭ শে এপ্রিল, রোমানিয়ায়।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. E. Jessup, John। An Encyclopedic Dictionary of Conflict and Conflict Resolution, 1945-1996। পৃষ্ঠা 533।
  2. ১০০ মনীষীর কথা।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.