জ্যাক ডানিং

জন অ্যাঙ্গাস ডানিং, ওবিই (ইংরেজি: Jack Dunning; জন্ম: ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯০৩ - মৃত্যু: ২৪ জুন, ১৯৭১) উত্তর অকল্যান্ডের ওমাহায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৩ থেকে ১৯৩৭ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

জ্যাক ডানিং
১৯৩৭ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে জ্যাক ডানিং
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজন অ্যাঙ্গাস ডানিং
জন্ম(১৯০৩-০২-০৬)৬ ফেব্রুয়ারি ১৯০৩
ওমাহা, উত্তর অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড
মৃত্যু২৪ জুন ১৯৭১(1971-06-24) (বয়স ৬৮)
অ্যাডিলেড, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ডানহাতি মিডিয়াম পেস
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৬)
৩১ মার্চ ১৯৩৩ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১৪ আগস্ট ১৯৩৭ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৬০
রানের সংখ্যা ৩৮ ১০৫৭
ব্যাটিং গড় ৭.৫৯ ১৩.০৪
১০০/৫০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ১৯ ৪৫
বল করেছে ৮৩০ ১৫৩৭৯
উইকেট ২২৮
বোলিং গড় ৯৮.৫৯ ২৭.৫৮
ইনিংসে ৫ উইকেট ১৫
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/৩৫ ৬/৪২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/- ৩৪/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৮ জুলাই ২০১৯

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ডওতাগোসহ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে অফ ব্রেক কিংবা মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন জ্যাক ডানিং

শিক্ষাজীবন

অকল্যান্ড গ্রামার স্কুলে পড়াশুনো শেষে অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি কলেজে অধ্যয়ন করেন। পরবর্তীতে ওতাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত বিষয়ে সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯২৫ সালে নিউজিল্যান্ডের রোডস বৃত্তিধারী হন ও অক্সফোর্ডের নিউ কলেজে পড়েন। সেখানে গণিত বিষয়ে পড়াশুনো করেছিলেন তিনি।[1][2]

১৯২৩ থেকে ১৯২৫ ও ১৯২৭ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত ডুনেডিনের জন ম্যাকগ্ল্যাশান কলেজে অধ্যয়ন করান। এছাড়াও তিনি ক্রীড়া শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত ওয়ারউইকের স্কটস কলেজে প্রধানশিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ১৯৪৯ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত অ্যাডিলেডের প্রিন্স আলফ্রেড কলেজে ছিলেন। সেখানে তিনি ‘স্কটিশ সচেতনার’ বহিঃপ্রকাশ ঘটাতেন।[1]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

রোডস বৃত্তিধারী অবস্থায় ১৯২৮ সালে অক্সফোর্ডের পক্ষে যাচাই-বাছাইয়ের খেলায় অংশ নেন। তবে, ব্লুধারী হননি। ১৯২৩ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত জ্যাক ডানিংয়ের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ওতাগোর সদস্যরূপে প্লাঙ্কেট শীল্ডের খেলায় বেশ ভালো খেলেন।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জ্যাক ডানিং। টেস্ট ক্রিকেটে খুব কম উইকেট পেয়েছেন। অফ ব্রেক বোলার হিসেবে ১৯৩৩ থেকে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চারটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ৩১ মার্চ, ১৯৩৩ তারিখে অকল্যান্ডে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৪ আগস্ট, ১৯৩৭ তারিখে ওভালে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

ইংল্যান্ড গমন, ১৯৩৭

১৯৩৭ সালে এমএল পেজের নেতৃত্বাধীন নিউজিল্যান্ডের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড সফরের অন্যান্য খেলায় কিছু উল্লেখযোগ্য সফলতা লাভ করেছিলেন। এসেক্সের বিপক্ষে ১৭০ রান খরচায় ১০ উইকেট, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে ৬৪ রান খরচায় ৯ উইকেট ও মিডলসেক্সের বিপক্ষে ৬৭ রান খরচায় ৬ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি স্টোকে অনুষ্ঠিত স্টাফোর্ডশায়ারের বিপক্ষে দুইদিনের খেলায় ৮/২৬ পান। এ সফরের তিনদিনের খেলায় ৩০.১০ গড়ে ৮৩ উইকেট দখল করেছিলেন। সতীর্থ যে-কোন বোলারের তুলনায় অধিকসংখ্যক ওভার বোলিং করেন।

অবসর

১৯৬৫ সালে নববর্ষের সম্মাননায় ওবিই পদবীপ্রাপ্ত হন।[3] ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর অস্ট্রেলিয়ায় প্রধানশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সদস্যরূপে মনোনীত হন।

২৪ জুন, ১৯৭১ তারিখে ৬৮ বছর বয়সে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে জ্যাক ডানিংয়ের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

  1. Prentis, Malcolm (২০০৮)। "Minister and Dominie: Creating an Australasian Scottish World?"International Review of Scottish Studies33। পৃষ্ঠা 26।
  2. "Rhodes Scholar: Mr. J. A. Dunning's Career"StarLV (266)। ৮ নভেম্বর ১৯২৪। পৃষ্ঠা 12।
  3. "Commonwealth Relations Honours List"Canberra Times: 4। ১ জানুয়ারি ১৯৬৫। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৭

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.