মিয়ানমারের জাতীয় পতাকা
মায়ানমারের পতাকা নির্বাচিত হয় ১৯৭৪ সালের ৩রা জানুয়ারি, সামজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র বার্মার নে উইনের এক ঘোষণায়।
নতুন পতাকার সাথে মায়ানমারের (তৎকালীন বার্মা) আগের পতাকার সাথে তেমন একটা বৈসাদৃশ্য নেই। আগের পতাকার মতোই লাল জমিনের উপর উপরের বাম কোনায় একটি চতুর্ভূজ রয়েছে। চতুর্ভূজের মাঝের প্রতীকটি পরিবর্তিত হয়ে চক্রাকার স্থানে ধানের শীষ রাখা হয়েছে। এই সমাজবাদী প্রতীক দ্বারা শ্রমিক ও কৃষকদের অবদানকে স্মরণ করে রাখা হয়েছে। এর চারপাশে ঘিরে থাকা ১৪ টি তারকা মায়ানমারের শাসনযন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করছে। সাদা রঙ বিশুদ্ধতা, নীল রঙ শান্তি ও অখণ্ডতা এবং লাল রঙ শৌর্যের প্রতীকী অর্থ বহন করে।
অনেক সময় পতাকাটির সাথে চীনের জাতীয় পতাকার সাদৃশ্য নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।
প্রস্তাবনা ২০০৬
২০০৬ সালের ১০ই নভেম্বর একটি রাজনৈতিক সম্মেলন চলাকালে নতুন পতাকার নকশা প্রস্তাব করা হয়। নতুন পতাকায় তিনটি সমান আকারের সবুজ হলুদ ও লাল রঙের অনুভূমিক ডোরার সাথে বাম দিকের উপরের সবুজ ডোরায় একটি সাদা রঙের তারকা খচিত রয়েছে। সবুজ দেশের শান্ত ও স্থিতিশীল অবস্থার প্রতীকরূপে, হলুদ দৃঢ়তার প্রতীকরূপে; এবং লাল শৌর্যের প্রতীকরূপে ব্যবহৃত হয়েছে। তারকাটি দীর্ঘদিনের অটুট ঐক্যের প্রতীকী রূপ। নিয়ং না পিন-এ (Nyaung Hna Pin) অনুষ্ঠিত জাতীয় সম্মেলনের অধীনস্থ কমিশন পতাকা পরিবর্তনের এই প্রস্তাব উত্থাপন করে। কিছুদিন পর রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয় জাতীয় সম্মেলনের অতিথিবৃন্দ পতাকা পরিবর্তনের এই ধারনাকে নাকচ করে দেন।[1]
তথ্যসূত্র
- "মায়ানমারের নিউ লাইট-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন"। ৪ মার্চ ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০০৭।