ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যেখানে পুরুষদের জাতীয় ফুটবল দলগুলোকে একত্রিত করে মূল্যায়ণের মাধ্যমে বৈশ্বিক অবস্থান নির্ধারণ করা হয়। ফিফা.কম-এ প্রকাশিত ৬ এপ্রিল, ২০২৩ তারিখের সর্বশেষ র‌্যাঙ্কিংয়ে আর্জেন্টিনা শীর্ষস্থান দখল করে আছে।[2] বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসেবে রয়েছে ফিফা। সদস্যভূক্ত দেশগুলোর অবস্থানকে উল্লেখযোগ্য ফলাফলের মাধ্যমে সর্বাপেক্ষা সফলতম দলকে শীর্ষস্থানে উপবিষ্ট করা হয়। র‌্যাঙ্কিং পদ্ধতিটি ডিসেম্বর, ১৯৯২ সালে ফিফা কর্তৃক প্রবর্তন করা হয়।ঐ র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ৮টি দল ছিল - আর্জেন্টিনা, বেলজিয়াম,ব্রাজিল, ফ্রান্স,জার্মানি ইতালি, নেদারল্যান্ডস এবং স্পেন । তন্মধ্যে ব্রাজিল সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্রথম স্থানে ছিল।

৩১ মার্চ ২০২২ অনুযায়ী শীর্ষ ২০ দল[1]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
বৃদ্ধি  ব্রাজিল১৮৩২.৬৯
হ্রাস  বেলজিয়াম১৮২৭
অপরিবর্তিত  ফ্রান্স১৭৮৯.৮৫
অপরিবর্তিত  আর্জেন্টিনা১৭৬৫.১৩
অপরিবর্তিত  ইংল্যান্ড১৭৬১.৭১
অপরিবর্তিত  ইতালি১৭২৩.৩১
অপরিবর্তিত  স্পেন১৭০৯.১৯
অপরিবর্তিত  পর্তুগাল১৬৭৪.৭৮
বৃদ্ধি  মেক্সিকো১৬৫৮.৮২
১০অপরিবর্তিত  নেদারল্যান্ডস১৬৫৮.৬৬
১১হ্রাস  ডেনমার্ক১৬৫৩.৬
১২হ্রাস  জার্মানি১৬৫০.৫৩
১৩বৃদ্ধি  উরুগুয়ে১৬৩৫.৭৩
১৪অপরিবর্তিত   সুইজারল্যান্ড১৬৩৫.৩২
১৫হ্রাস  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র১৬৩৩.৭২
১৬হ্রাস  ক্রোয়েশিয়া১৬২১.১১
১৭বৃদ্ধি  কলম্বিয়া১৬০০.৫২
১৮বৃদ্ধি  ওয়েলস১৫৮৮.০৮
১৯হ্রাস  সুইডেন১৫৮৪.৭৭
২০হ্রাস  সেনেগাল১৫৮৪.১৬
*১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ হতে পরিবর্তিত অবস্থান
ফিফায় পূর্ণ র‌্যাঙ্কিং

পয়েন্ট পদ্ধতিতে ফিফা সদস্যভূক্ত সকল দেশের মধ্যেকার পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার ফলাফলকে মূল্যায়ন করা হয়। ব্যবহৃত পদ্ধতিতে একটি দলের গত চার বছরের ফলাফলসহ সর্বশেষ ফলাফলকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে মূল্যায়ণের মাধ্যমে বর্তমানের র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রতিফলন ঘটানো হয়।

সেপ্টেম্বর ২০১৭ তে ফিফা ঘোষণা করে যে তারা র‍্যাংকিং সিস্টেম টা পর্যালোচনা করছে[3] এবং জুলাই ২০১৮ তে নতুন নিয়ম প্রবর্তনের ঘোষণা দেয়। যা ১৬ আগস্ট ২০১৮ থেকে কার্যকর হয়।

ইতিহাস

ডিসেম্বর, ১৯৯২ সালে ফিফা তার সদস্যভূক্ত দেশগুলোর দলের শক্তিমত্তা নিয়ে প্রথমবারের মতো র‌্যাঙ্কিং পদ্ধতি প্রকাশ করে। পরবর্তী বছরের আগস্ট থেকে প্রতি মাসেই এই তালিকা আরও নিখুঁতভাবে প্রকাশ করতে থাকে।[4] জানুয়ারি, ১৯৯৯ সালে র‌্যাঙ্কিং পদ্ধতির মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটে। জুলাই, ২০০৬ সালে পুনরায় পরিবর্তন ঘটানো হলে এ পদ্ধতির বিষয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়।[5] র‌্যাঙ্কিংয়ের ঐতিহাসিক রেকর্ডগুলো ফিফা.কমে লিপিবদ্ধ রয়েছে। এতে হিসাব-নিকাশগুলো ঐ সময়ে ব্যবহৃত তথ্য-উপাত্তের উপর ভিত্তি করে দাঁড় করানো আছে। জুলাই, ২০০৬ সালের পূর্বেকার র‌্যাঙ্কিংয়ে তা প্রতিফলিত হয়নি। ফিফার সদস্য সংখ্যা ১৬৭ থেকে ২০৮টি হয়েছে। কিন্তু একটি সদস্য রাষ্ট্র সাঁউ তুমি ও প্রিন্সিপির জাতীয় ফুটবল দলটি গত আট বছরের মধ্যে ফিফা স্বীকৃত কোন আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলায় অংশ নেয়নি। দলটি ২০০৩ সালের সর্বশেষ খেলায় ৮ - ০ গোলে লিবিয়ার জাতীয় ফুটবল দলের কাছে পরাজিত হয়েছিল।

১৯৯৯ সালের হালনাগাদকরণ

র‌্যাঙ্কিং পদ্ধতি প্রবর্তনের সূচনালগ্নে একটি দলকে ফিফা কর্তৃক স্বীকৃত খেলায় বিজয়ী হলে ৩ পয়েন্ট এবং ড্র করলে ১ পয়েন্ট প্রদান করা হতো। কিন্তু খুব দ্রুত ফিফা কর্তৃপক্ষ অনুধাবন করলেন যে, এ ধরনের পদ্ধতির ফলে আন্তর্জাতিক খেলাগুলোয় অনেকগুলো নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। নিরপেক্ষ এবং প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা পার্থক্যের বিবেচনায় এনে পুনরায় র‌্যাঙ্কিং পদ্ধতিকে হালনাগাদ করা হয়। ফলে, নিম্নলিখিত পরিবর্তনগুলো র‌্যাঙ্কিং পদ্ধতিতে আনা হয়:

  • পয়েন্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০কে ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়
  • পদ্ধতির গণনা কার্যক্রমে নিচের বিষয়গুলোকে আনা হয়ঃ
    • কতটি গোল হয়েছে অথবা গোল হজম করেছে
    • খেলাটি কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছে – নিজ মাঠে না-কি প্রতিপক্ষের মাঠে
    • খেলার গুরুত্ব ও উপযোগিতা কতটুকু অথবা প্রতিযোগিতামূলক কি-না
    • আঞ্চলিক শক্তিমত্তা
  • জয় কিংবা ড্রয়ের জন্য নির্দিষ্ট পয়েন্টের ব্যবস্থা রাখা হয়নি
  • পরাজিত দলও পয়েন্ট অর্জনের যোগ্যতার দাবীদার

এ পরিবর্তনের ফলে র‌্যাঙ্কিং পদ্ধতি আরও বেশি জটিলতার মুখোমুখি হয়। কিন্তু সামগ্রীকভাবে পূর্বের তুলনায় পদ্ধতিটির সঠিকতা যাচাইয়ে বেশ সহযোগিতা করেছে।

২০০৬ সালের র‌্যাঙ্কিং পদ্ধতির হালনাগাদ

ফিফা পূর্বেই ঘোষণা করেছিল যে, ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের পর র‌্যাঙ্কিং পদ্ধতিকে পুনরায় হালনাগাদ করবে। পর্যবেক্ষণের সময়সীমা আট বছর থেকে কমিয়ে চার বছরে নিয়ে আসা হবে এবং র‌্যাঙ্কিংয়ের হিসাব-নিকাশে এ ব্যবস্থার প্রয়োগ করা হবে।[6] নিজ মাঠ কিংবা প্রতিপক্ষের মাঠে গোল করার সুবিধা রাখা হয়নি। ১২ জুলাই, ২০০৬ সালে র‌্যাঙ্কিং ব্যবস্থা গুছানো হয় এবং হিসাব-নিকাশের চিন্তাধারার প্রতিফলন ঘটানো হয়। এছাড়াও, হিসাব-নিকাশের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকারের খেলাও পুনরায় মূল্যায়ন করা হয়।

র‌্যাঙ্কিং পদ্ধতির অংশবিশেষের পরিবর্তনে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হয়। অনেক ফুটবল সমালোচকই এ ব্যবস্থাকে অন্যান্য র‌্যাঙ্কিং পদ্ধতির তুলনায় অগ্রহণযোগ্য বলে জানিয়েছিলেন। এবং তা দলগত অবস্থানের সামগ্রিক অগ্রগতি-অবনতির প্রতিফলন ঘটেনি বলে মন্তব্য করেন।

র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানীয় দল

যখন এ পদ্ধতির প্রবর্তন করা হয়, জার্মানির জাতীয় ফুটবল দল শীর্ষস্থানে অভিষিক্ত হয়। দলটি তাদের পূর্ববর্তী সময়কালে একচ্ছত্র প্রাধান্য বজায় রেখেছিল। তন্মধ্যে তারা ৩টি ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে ও একটিতে জয়লাভ করে চ্যাম্পিয়ন হয়। ব্রাজিলের জাতীয় ফুটবল দলটি ১৯৯৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপ জয়ী হয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানে আসীন হয়। দলটি ৯টি খেলার মধ্যে ১টিতে পরাজিত ও বাকীগুলোতে জয়ী হয়। প্রতিপক্ষের জালে ২০টি গোল করে ও মাত্র ৪টি গোল হজম করে। ইতালির জাতীয় ফুটবল দল বিশ্বকাপের সফলতায় অল্প সময়ের জন্য শীর্ষস্থানে আসে। এরপরই পুনরায় জার্মানি শীর্ষস্থানে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে।

র‌্যাঙ্কিংয়ের ব্যবহার

র‌্যাঙ্কিং পদ্ধতিটি প্রণীত হয়েছে ফিফা কর্তৃক তার সদস্য দেশগুলোর জাতীয় ফুটবল দলের উত্তরণ এবং বর্তমান সক্ষমতাকে চিত্রিত করার জন্য। এবং ফিফা দাবী করছে যে তারা নির্ভরযোগ্য পরিমাপক হিসেবে জাতীয় পর্যায়ের প্রধান দলের তুলনা করার জন্যই এটি তৈরী করেছে।[4] তারা হিসাব-নিকাশের অংশ বিশেষ প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে বাছাই প্রতিযোগিতায় ব্যবহার করছে। ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশগ্রহণের জন্য যোগ্যতা নির্ধারণী খেলার ফলাফল র‌্যাঙ্কিংয়ে ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে কনকাকাফ, আফ্রিকান কাপ এবং ইউরোপীয়ান ফুটবল কাপে অনুষ্ঠিত খেলাগুলোর ফলাফল নভেম্বর, ২০০৭ সালের র‌্যাঙ্কিংয়ে স্থগিত রেখেছিল।

অক্টোবর, ২০০৯ সালের র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাইপর্বের খেলাগুলোর ফলাফল র‌্যাঙ্কিংয়ে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন করা হয়েছিল।[7]

মার্চ, ২০১১ সালে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০১২ সালের পুরুষদের আফ্রিকান অঞ্চলের প্রাক-অলিম্পিক টুর্ণামেন্টের উত্তরণ পর্বের ফলাফল ব্যবহার করা হয়।[8]

জয়, ড্র কিংবা পরাজয়

পূর্বের বছরগুলোয় পয়েন্ট বরাদ্দে বেশ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা, হারের ব্যবধানের ফলেও দূর্বল দলগুলোকে পয়েন্ট অর্জন করতে পারে। যদি শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে দূর্বল দল খেলার আয়োজন বা মুখোমুখি হতে সক্ষম হয়, কেবল তখনই পয়েন্ট অর্জন করা সম্ভব। নতুন পদ্ধতি অনুসৃত হওয়ায় পয়েন্ট প্রদানের পদ্ধতিকে আরও বেশি সহজতর করেছেঃ জয়ে তিন পয়েন্ট, ড্রয়ে এক পয়েন্ট এবং পরাজয়ে শূন্য পয়েন্ট বরাদ্দ রাখা হয়। এ পয়েন্ট বরাদ্দ ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী অধিকাংশ লীগ পদ্ধতিতেই প্রচলিত আছে।

কোন কারণে খেলার ফলাফল যদি পেনাল্টি শ্যুট আউটের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়, তাহলে বিজয়ী দল দুই পয়েন্ট পাবে এবং এর বিপরীতে পরাজিত দল এক পয়েন্ট অর্জন করবে।

পয়েন্ট বরাদ্দ পদ্ধতি
ফলাফল বিবরণ পয়েন্ট
জয়পেনাল্টি শ্যুট আউট ব্যতীত নিষ্পত্তি হলে
জয়পেনাল্টি শ্যুট আউটের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হলে
ড্রখেলার ফলাফল সমান হলে
পরাজয়পেনাল্টি শ্যুট আউটের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হলে
পরাজয়পেনাল্টি শ্যুট আউট ব্যতীত নিষ্পত্তি হলে

দূর্বলতম দেশ

শীর্ষ-১০ দূর্বল দেশের তালিকা (২৩ নভেম্বর, ২০১১ইং-এর র‌্যাঙ্কিং)
অবস্থান দেশের নাম ফিফা র‌্যাঙ্ক বর্তমান পয়েন্ট সাবেক অবস্থান +/− সংস্থা
স্যান ম্যারিনো২০৪২০৩হ্রাসউয়েফা
স্যামোয়া২০৪২০৩হ্রাসওএফসি
মান্তসেরাত২০৪২০৩হ্রাসকনকাকাফ
এ্যাণ্ডোরা২০৪২০৩হ্রাসউয়েফা
আমেরিকান স্যামোয়া২০৪২০৩হ্রাসওএফসি
তিমোর-ল্যাসতে২০৩২০১হ্রাসএএফসি
টোঙ্গা ২০২২০৫হ্রাসওএফসি
মৌরিতানিয়া ২০১২০০হ্রাসসিএএফ
জিবুতি ২০০১৯৫হ্রাসসিএএফ

অঞ্চলভিত্তিক র‌্যাঙ্কিং

দক্ষিণ এশিয়া (সার্কভূক্ত) অঞ্চল

শীর্ষ তালিকা
অবস্থান দেশের নাম বর্তমান পয়েন্ট (এপ্রিল, ২০১৯) ফিফা র‌্যাঙ্কিং পূর্বেকার পয়েন্ট (মার্চ, ২০১৯) র‌্যাঙ্কিংয়ে অগ্রসরতা
ভারত১২১৯১০১১২১৯+ ২
মালদ্বীপ১০৪৬১৫১১০৪৬+ ১
নেপাল৯৯৬১৬১১০০১+ ০
ভুটান৯১৭১৮৬৯১৭+ ০
বাংলাদেশ৯০৯১৮৮৯০৭+ ৪
পাকিস্তান৮৮৮২০০৮৮৮- ১
শ্রীলঙ্কা৮৮৬২০২৮৮৬- ১

এশীয় অঞ্চল (এএফসি)

শীর্ষ-১০ দেশের তালিকা
অবস্থান দেশের নাম বর্তমান পয়েন্ট (এপ্রিল, ২০১৯) ফিফা র‌্যাঙ্কিং পূর্বেকার পয়েন্ট (মার্চ, ২০১৯) র‌্যাঙ্কিংয়ে অগ্রসরতা
ইরান১৫১৬২১১৫১৬
জাপান১৪৯৪২৬১৮৯৫
দক্ষিণ কোরিয়া১৪৬২৩৭১৪৫১+ ১
অস্ট্রেলিয়া১৪৪১৪১১৪৪১+ ১
কাতার১৩৯৮৫৫১৩৯৮+ ০
সংযুক্ত আরব আমিরাত১৩৬০৬৭১৩৫৫+ ০
সৌদী আরব১৩৪২৭২১৩৪৪-২
চীন১৩২৭৭৪১৩৩৯- ২
ইরাক১৩১৯৭৬১৩১০+ ৪
১০ সিরিয়া১২৮৬৮৩১২৬৮+ ০

কনকাকাফ অঞ্চল

শীর্ষ-১০ দেশের তালিকা
অবস্থান দেশের নাম বর্তমান পয়েন্ট (জুলাই, ২০১১) ফিফা র‌্যাঙ্কিং পূর্বেকার পয়েন্ট (জুন, ২০১১) র‌্যাঙ্কিংয়ে অগ্রসরতা
মেক্সিকো৮৬৯২০১০০৭-১১
যুক্তরাষ্ট্র৭৭৮৩০৭৯৯-৬
জ্যামাইকা৬৩২৪৪৬৫৬-৬
হন্ডুরাস৫৯২৫১৬১৩-৭
কোস্টারিকা৫৩২৫৬৫৬১-১
পানামা৪৮৭৬৫৫৭৪-১৩
এল সালভেদর৪০১৭৮৪৩৪-৬
ত্রিনিদাদ ‌ও টোবাগো৩৭৯৮৮৩৭৪+২
কিউবা৩৩০৯৯৩৩০+০
১০ কানাডা৩১৪১০৫৩৮৭-২২

আফ্রিকা অঞ্চল (সিএএফ)

শীর্ষ-১০ দেশের তালিকা
অবস্থান দেশের নাম বর্তমান পয়েন্ট (আগস্ট, ২০১১) ফিফা র‌্যাঙ্কিং পূর্বেকার পয়েন্ট (জুলাই, ২০১১) র‌্যাঙ্কিংয়ে অগ্রসরতা
আইভোরি কোস্ট৯১৮১৫৯২২-১
মিশর৭৩৯৩৪৭৩৫+০
ঘানা৭২৬৩৬৬৯৬+০
নাইজেরিয়া৬৫৯৩৮৬৩৫+৫
বুর্কিনা ফাসো৬৪৬৪০৬৬১-১
আলজেরিয়া৬১২৪৬৫৭৫+৬
দক্ষিণ আফ্রিকা৬০২৪৭৫৯৭+২
সেনেগাল৫৯১৪৯৬১৯-৩
ক্যামেরুন৫৮২৫২৫৯৫-২
১০ তিউনিসিয়া৫৪৬৫৭৫৫৩-২

সর্বশেষ হালনাগাদকরণ: (২৬ আগস্ট, ২০১১ইং তারিখ পর্যন্ত)[9]

ইউরোপীয় অঞ্চল (উয়েফা)

শীর্ষ-১০ দেশের তালিকা
অবস্থান দেশের নাম বর্তমান পয়েন্ট (আগস্ট, ২০১১) ফিফা র‌্যাঙ্কিং পূর্বেকার পয়েন্ট (জুলাই, ২০১১) র‌্যাঙ্কিংয়ে অগ্রসরতা
বেলজিয়াম১৫৯৬১৫৪২+১
স্পেন১৫৬৩১৫৮৮-১
জার্মানি১৩৩০১৩০৫+০
ইংল্যান্ড১১৭৭১১৪৬+২
ইতালি১১১০১০৫৯+১
পর্তুগাল১০৬০১০৭৬-১
ক্রোয়েশিয়া১০০৯১০১০৩৩-১
নরওয়ে৯৪৩১২৯৭২+০
রাশিয়া৯৪০১৩৯১৪+৫
১০ গ্রিস৯৩৭১৪৯৫৯-১

সর্বশেষ হালনাগাদকরণ: (২৬ আগস্ট, ২০১১ইং তারিখ পর্যন্ত)[10]

র‌্যাঙ্কিংয়ের সময়সূচী

সাধারণত প্রতি মাসের বুধবার দিনকে ঘিরে র‌্যাঙ্কিং প্রকাশিত হয়ে থাকে। র‌্যাঙ্কিং প্রকাশের শেষ সময় হিসেবে এর পূর্বের বৃহস্পতিবারকে ধার্য্য করা হয়। কিন্তু ঐদিনের পরেও যদি বড় ধরনের প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলা অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে ঐ ফলাফলও যুক্ত করা হয়।[11]

র‌্যাঙ্কিং প্রকাশের তারিখ, ২০১৮ খ্রীঃ
ক্রমিক নং মাসের নাম প্রকাশের তারিখ
১।জানুয়ারি১৮ জানুয়ারি, ২০১৮
২।ফেব্রুয়ারি১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
৩।মার্চ১৫ মার্চ, ২০১৮
৪।এপ্রিল১২ এপ্রিল, ২০১৮
৫।মে১৭ মে, ২০১৮
৬।জুন৭ জুন, ২০১৮
৭।জুলাই১৯ জুলাই, ২০১৮
৮।আগস্ট১৬ আগস্ট, ২০১৮
৯।সেপ্টেম্বর২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
১০।অক্টোবর২৫ অক্টোবর, ২০১৮
১১।নভেম্বর২৯ নভেম্বর, ২০১৮
১২।ডিসেম্বর২০ ডিসেম্বর, ২০১৮

পুরস্কার

প্রতি বছর ফিফা তার সদস্যভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে দু'টি পুরস্কার প্রদান করে। র‌্যাঙ্কিংয়ে তাদের ফলাফলকে মূল্যায়ন করা হয়। সেগুলো হলো -

  • বছরের সেরা দল এবং
  • সেরা উদীয়মান দল।

বছরের সেরা দল

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে যে দল বছর শেষে শীর্ষস্থানে থাকে সে দলকে ‘বছরেরর সেরা দল’ পুরস্কার দেয়া হয়। বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন স্পেন দল ধারাবাহিকভাবে ছয় বছর যাবৎ বছরের সেরা দল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। কিন্তু ব্রাজিল দল ১৯৯৪-২০০০ পর্যন্ত একাধারে সাতবার বছরের সেরা দল হিসেবে রেকর্ড গড়েছে। এছাড়াও দলটি এখন পর্যন্ত ১২বার শীর্ষস্থান দখল করে আছে। নিচের ছকে প্রতি বছরের সেরা ৩টি দলের তালিকা দেখানো হল।[12]

বছরের সেরা দল
সাল ১ম স্থান ২য় স্থান ৩য় স্থান
১৯৯৩ জার্মানি ইতালি ব্রাজিল
১৯৯৪ ব্রাজিল স্পেন সুইডেন
১৯৯৫ ব্রাজিল জার্মানি ইতালি
১৯৯৬ ব্রাজিল জার্মানি ফ্রান্স
১৯৯৭ ব্রাজিল জার্মানি চেক প্রজাতন্ত্র
১৯৯৮ ব্রাজিল ফ্রান্স জার্মানি
১৯৯৯ ব্রাজিল চেক প্রজাতন্ত্র ফ্রান্স
২০০০ নেদারল্যান্ডস হন্ডুরাস ইতালি
২০০১ হন্ডুরাস কলম্বিয়া কোস্টা রিকা
২০০২ ব্রাজিল ফ্রান্স স্পেন
২০০৩ ব্রাজিল ফ্রান্স স্পেন
২০০৪ ব্রাজিল ফ্রান্স আর্জেন্টিনা
২০০৫ ব্রাজিল চেক প্রজাতন্ত্র নেদারল্যান্ডস
২০০৬ ব্রাজিল ইতালি আর্জেন্টিনা
২০০৭ আর্জেন্টিনা ব্রাজিল ইতালি
২০০৮ স্পেন জার্মানি নেদারল্যান্ডস
২০০৯ স্পেন ব্রাজিল নেদারল্যান্ডস
২০১০ স্পেন নেদারল্যান্ডস জার্মানি
২০১১ স্পেন নেদারল্যান্ডস জার্মানি
২০১২ স্পেন জার্মানি আর্জেন্টিনা
২০১৩ স্পেন জার্মানি আর্জেন্টিনা
২০১৪ জার্মানি আর্জেন্টিনা কলম্বিয়া
২০১৫ বেলজিয়াম আর্জেন্টিনা স্পেন
২০১৬ আর্জেন্টিনা ব্রাজিল জার্মানি
২০১৭ জার্মানি ব্রাজিল পর্তুগাল
২০১৮ বেলজিয়াম ফ্রান্স ব্রাজিল
২০১৯ বেলজিয়াম ফ্রান্স ব্রাজিল
২০২০ বেলজিয়াম ফ্রান্স ব্রাজিল


সেরা উদীয়মান দল

সালপ্রথম স্থানদ্বিতীয় স্থানতৃতীয় স্থান
১৯৯৩ কলম্বিয়া পর্তুগাল মরক্কো
১৯৯৪ ক্রোয়েশিয়া ব্রাজিল উজবেকিস্তান
১৯৯৫ জ্যামাইকা ত্রিনিদাদ ও টোবাগো চেক প্রজাতন্ত্র
১৯৯৬ দক্ষিণ আফ্রিকা প্যারাগুয়ে কানাডা
১৯৯৭ যুগোস্লাভিয়া বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা ইরান
১৯৯৮ ক্রোয়েশিয়া ফ্রান্স আর্জেন্টিনা
১৯৯৯ স্লোভেনিয়া কিউবা উজবেকিস্তান
২০০০ নাইজেরিয়া হন্ডুরাস ক্যামেরুন
২০০১ কোস্টা রিকা অস্ট্রেলিয়া হন্ডুরাস
২০০২ সেনেগাল ওয়েলস ব্রাজিল
২০০৩ বাহরাইন ওমান তুর্কমেনিস্তান
২০০৪ চীন উজবেকিস্তান কোত দিভোয়ার
২০০৫ ঘানা ইথিওপিয়া  সুইজারল্যান্ড
২০০৬ ফ্রান্স জার্মানি ইতালি
সালসেরা উত্তরণদ্বিতীয় সেরাতৃতীয় সেরা
২০০৭ মোজাম্বিক নরওয়ে নতুন ক্যালিডোনিয়া
২০০৮ স্পেন মন্টিনিগ্রো রাশিয়া
২০০৯ ব্রাজিল আলজেরিয়া স্লোভেনিয়া
২০১০ নেদারল্যান্ডস মন্টিনিগ্রো বতসোয়ানা
২০১১ ওয়েলস সিয়েরা লিওন বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা
২০১২ কলম্বিয়া ইকুয়েডর মালি
২০১৩ ইউক্রেন আর্মেনিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ৩১ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২২
  2. https://www.fifa.com/fifa-world-ranking/men Complete rankings at FIFA.com
  3. http://www.telegraph.co.uk/football/2017/09/04/fifa-review-rankings-system-friendlies-harm-englands-world-cup/
  4. "FIFA/Coca-Cola World Ranking Procedure"। ১৮ এপ্রিল ২০২০ তারিখে ফিফা র‌্যাঙ্কিং পদ্ধতির আত্মপ্রকাশ মূল |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১১
  5. "Revised FIFA/Coca-Cola World Ranking"। ৭ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে ফিফা র‌্যাঙ্কিং পদ্ধতির সমালোচনা মূল |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১১
  6. "Great expectations"FIFA.com। Fédération Internationale de Football Association। ১৭ মে ২০০৬। ১২ জুন ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০০৮
  7. "FIFA Organising Committee approves Final Draw procedure"FIFA.com। Fédération Internationale de Football Association। ২ ডিসেম্বর ২০০৯। ২৫ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১১
  8. "Olympics – updated draw procedure, with teams"CAFOnline.com। Confederation of African Football। ১২ এপ্রিল ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১১
  9. "ফিফা র‌্যাঙ্কিং : আফ্রিকা অঞ্চল, ২৪ আগস্ট, ২০১১"। ৩ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১১
  10. "ফিফা র‌্যাঙ্কিং: ইউরোপীয় অঞ্চল, ২৪ আগস্ট, ২০১১"। ৩ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১১
  11. "ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের সময়কাল"। ২৬ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১১
  12. Team of the Year Award 2010 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ জুলাই ২০১৪ তারিখে on the FIFA website

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.