ডারবান
ডারবান (জুলু ভাষায় এ-থেকোয়িনী) হল দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু নাটাল প্রদেশের বৃহত্তম, এবং দক্ষিণ আফ্রিকার তৃতীয় জনবহুল শহর (জোহানেসবার্গ ও কেপ টাউন এর পর)। এ ছাড়াও ডারবান দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম উত্পাদন কেন্দ্র (জোহানেসবার্গের পর)। এই শহরটি দক্ষিণ আফ্রিকা দেশের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত দেশের ব্যস্ততম সমুদ্রবন্দর। মনোরম জলবায়ু এবং দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত থাকার জন্য শহরটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবেও জনপ্রিয়। প্রায় ৩৪.৪ লক্ষ অধিবাসী সমন্বিত এই শহরটি আংশিকভাবে এ-থেকোয়িনী পৌরনিগমের অন্তর্ভুক্ত।[6] ২০১৫ র মে মাসে একে দোহা, হাভানা, প্রভৃতি শহরের সাথে সাথে নুতন সপ্তম আশ্চর্য নগরীর তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।[7]
ডারবান eThekwini | |
---|---|
Clockwise from top left: Durban CBD, Ushaka Marine World, Suncoast Casino and Entertainment World, Moses Mabhida Stadium, Inkosi Albert Luthuli International Convention Centre and Durban City Hall. | |
পতাকা প্রতীক | |
ডারবান ডারবান | |
স্থানাঙ্ক: ২৯°৫৩′ দক্ষিণ ৩১°০৩′ পূর্ব | |
দেশ | দক্ষিণ আফ্রিকা |
প্রদেশ | কোয়াজুলু নাটাল |
পৌরসভা | এথেকয়িনি |
প্রতিষ্ঠা | ১৮৮০[1][2] |
নামকরণের কারণ | বেঞ্জামিন ডি আরবান |
সরকার | |
• ধরন | মহানগরীয় পৌরসভা |
• মেয়র | Mxolisi Kaunda (ANC) |
আয়তন[3] | |
• শহর | ২২৫.৯১ বর্গকিমি (৮৭.২২ বর্গমাইল) |
• মহানগর | ২,২৯২ বর্গকিমি (৮৮৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[3] | |
• শহর | ৫,৯৫,০৬১ |
• জনঘনত্ব | ২,৬০০/বর্গকিমি (৬,৮০০/বর্গমাইল) |
• মহানগর[4] | ৩৪,৪২,৩৬১ |
• মহানগর জনঘনত্ব | ১,৫০০/বর্গকিমি (৩,৯০০/বর্গমাইল) |
বিশেষণ | Durbanite[5] |
বর্ণগত বিন্যাস (২০১১)[3] | |
• কৃষ্ণাঙ্গ | ৫১.১% |
• কালার্ডস | ৮.৬% |
• ভারতীয়/এশীয় | ২৪.০% |
• শ্বেতাঙ্গ | ১৫.৩% |
• অন্যান্য | ০.৯% |
ওয়েবসাইট | www |
জনসংখ্যা
মিশ্রিত বিশ্বাস এবং ঐতিহ্যের সাংস্কৃতিক ঐশ্বর্যসহ ডারবান জাতিগতভাবে বৈচিত্র্যময় শহর। জুলুস ডারবানের বৃহত্তম একক নৃগোষ্ঠী গঠন করেছে। এখানে ব্রিটিশ ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত লোকের সংখ্যা ব্যাপক রয়েছে। ডারবানে ভারতীয়দের প্রভাব লক্ষণীয়, তারা তাদের সাথে দেশীয় বিভিন্ন খাবার, সংস্কৃতি এবং ধর্ম নিয়ে এসেছে।[8]
২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ডারবান এবং উত্তর ডারবান, দক্ষিণ ডারবান এবং বেরিয়ারের মতো শহরতলিগুলোর জনসংখ্যা ১০.৯% বৃদ্ধি পেয়ে ৫৩৬,৬৪৪ থেকে ৫৯৫,০৬১ এ উন্নীত হয়েছে।[9][10] অন্যান্য বর্ণ গোষ্ঠীর লোকসংখ্যা কমে যাওয়ার সাথে সাথে কালো আফ্রিকানদের সংখ্যা তুলনামুলকভাবে বেড়েছে। কালো আফ্রিকানরা ৩৪.৯% থেকে বেড়ে ৫১.১% এ পৌঁছেছে। ভারতীয় বা এশীয়রা ২৭.৩% থেকে কমে ২৪.০% এ দাঁড়িয়েছে। শ্বেতাঙ্গরা ২৫.৫% থেকে ১৫.৩% এ নেমেছে। কালার্ডসরা ১০.২৬% থেকে কমে ৮.৫৯% এ দাঁড়িয়েছে। ২০১১ সালের আদমশুমারিতে ০.৯৩% এর মত একটি নতুন জাতিগোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। শহরের জনসংখ্যার উপাত্তগুলি ইঙ্গিত দেয় যে জনসংখ্যার ৬৮% কর্মক্ষম বয়সের এবং ডারবানের ৩৮% মানুষ ১৯ বছর বয়সের নিচের বয়সি।[11]
বছরে সর্বাধিকসংখ্যক ডলার মিলিয়নেয়ার যুক্ত হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার যে কোনও শহরে মধ্যে এটি প্রথম শহর, সেখানে ২০১৪ সালে ২০০ থেকে ২০০০ এ পৌছেছে।[12]
যোগাযোগ
বিমান পরিবহন
কিং শাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় গন্তব্যগুলিকে পরিষেবা প্রদান করে। আভ্যন্তরীণ সকল গন্তব্যের পাশাপাশি আটটি আন্তর্জাতিক গন্তব্যস্থলে পরিসেবা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক গন্তব্যগুলি হল - লন্ডন হিথ্রো, দুবাই, ইস্তাম্বুল, দোহা, মরিশাস, লুসাকা, উইন্ডহুক এবং গাবোরোন। বিমানবন্দরের অবস্থান ডারবান, জোহানেসবার্গ এবং কেপ টাউনের মধ্যে একটি স্বর্ণ ত্রিভুজ গঠন করেছে, যা দক্ষিণ আফ্রিকার এই তিনটি প্রধান শহরগুলির মধ্যে সুবিধাজনক ভ্রমণ এবং বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ২০১০ সালের মে মাসে বিমানবন্দরটি চালু করা হয়েছিল। কিং শাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ২০১৮/২০১৯ সালে ৫.৯৯ মিলিয়ন যাত্রী পরিচালনা করেছে, যা ২০১৭/২০১৮ সালের থেকে ৬.৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। কিং শাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি মধ্য ডার্বান থেকে প্রায় ৩৬ কিলোমিটার (২২ মাইল) উত্তরে লা মার্সিতে নির্মিত হয়েছিল। ২০১০ সালে ১ মে থেকে ডারবান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সমস্ত কার্যক্রম কিং শাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
রিকশা
যদিও রিকশাগুলি ১৯০০- এর দশকের গোড়ার দিক থেকেই পরিবহনের একটি মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছিল, তারা অন্যান্য ধরনের মোটরচালিত পরিবহন দ্বারা বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং এখন ২৫টি বা তার বেশি রিকশার বেশিরভাগ পর্যটকদের চলাচলের বা বিনোদন দেওয়ার জন্য সরবরাহ করা হয়।[13]
তথ্যসূত্র
- Evans, Owain। "Chronological Order of Town Establishment in South Africa"।
- "Chronological order of town establishment in South Africa based on Floyd (1960:20–26)" (পিডিএফ)। পৃষ্ঠা xlv–lii।
- "Main Place Durban"। Census 2011।
- "Ethekwini"। Statistics South Africa। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-১৭।
- Donal P. McCracken; Eileen M. McCracken। Annals of Kirstenbosch Botanic Gardens। National Botanic Gardens। পৃষ্ঠা 72।
- Statistics South Africa, Community Survey, 2007, Basic Results Municipalities (pdf file) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৫ আগস্ট ২০১৩ তারিখে. Retrieved 2008-03-23.
- Tejada, Ariel Paolo (৯ মে ২০১৫)। "Vigan declared 'Wonder City'"। Manila: The Philippine STAR। ২৮ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- Mukherji, Anahita (২৩ জুন ২০১১)। "Durban largest 'Indian' city outside India"। The Times of India। ২০১৩-০৫-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-৩০।
- "Census 2001 — Main Place "Durban""। Census2001.adrianfrith.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১২-১০।
- "Census 2011 — Main Place "Durban""। Census2011.adrianfrith.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১২-১০।
- "durban.gov.za"। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- Skade, Thandi (২০১৫-০৫-০৭)। "Durban is SA's fastest-growing 'Millionaire City' | DESTINY Magazine"। Destinyconnect.com। ২০১৫-১২-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১২-১০।
- Ethekwini Municipality Communications Department, edited by Fiona Wayman, Neville Grimmet and Angela Spencer। "Zulu Rickshaws"। Durban.gov.za। ১৯ মে ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১০।