ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬
ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৯৬, ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়। অধিকাংশ বিরোধী রাজনৈতিক দল নির্বাচনটি বর্জন করেছিল। মোট ভোট গৃহীত হয়েছিল মাত্র ২১%।[1] বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নির্বাচনে জয় লাভ করে এবং ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৭৮টি আসন লাভ করে।[2] ফ্রিডম পার্টি ১টি ও সতন্ত্র প্রার্থীরা ১০টি পায়। এছাড়া ১০টি আসনের ফলাফল অসমাপ্ত থাকে ও আদালতের রায়ে একটি আসনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে নিরপেক্ষ নির্বাচন জুনে অনুষ্ঠিত হয়। সংসদের প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন, কর্নেল (অব:) ফারুক ও চীফ হুইপ ছিলেন খন্দকার দেলোয়ার হোসেন। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন বিচারপতি এ কে এম সাদেক।
| |||||||||||||||||||||||||
জাতীয় সংসদের ২৮৯টি আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য প্রয়োজন ১৪৫টি আসন | |||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| |||||||||||||||||||||||||
|
বাংলাদেশ প্রবেশদ্বার
|
নির্বাচিত সরকারের প্রথম সংসদ অধিবেশন শুরু হয়েছিল ১৯শে মার্চ ১৯৯৬ সালে এবং অধিবেশন স্থায়ী ছিল চার কার্যদিবস ২৫শে মার্চ ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত। ৩০শে মার্চ ১৯৯৬ সালে সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। সংসদ স্থায়ী ছিল মাত্র ১২ দিন।
প্রেক্ষাপট
পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জয় লাভ করে সরকার গঠন করে। ১৯৯৩ সালে সর্বপ্রথম জামায়াত এবং তারপর আওয়ামী লীগ সংসদ সচিবালয়ে পরবর্তী নির্বাচনগুলোকে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য তত্বাবধাক সরকার বিল পেশ করে। তৎকালীন খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকার এই দাবি মেনে নেয় নি। কমনওয়েলথ ও অন্যান্য সংস্থা সরকার ও বিরোধীদলগুলোর সাথে সমঝোতার চেষ্টা করে ব্যার্থ হন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সহিংস ঘটনার মধ্যে এবং বিরোধীদলগুলোর প্রবল প্রতিবাদ ও নির্বাচন বর্জনের পরও ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ সালে ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২৪, ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিরোধী দলের আহ্বানে দেশব্যাপী অসহযোগ পালিত হয়৷ ৩ মার্চ জাতির উদ্দেশে ভাষণে খালেদা জিয়া ষষ্ঠ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল আনার ঘোষণা দেন৷
প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে ৩০ মার্চ রাষ্ট্রপতি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয় এবং খালেদা জিয়া পদত্যাগ করেন৷ রাষ্ট্রপতি সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করেন৷ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয় লাভ করে সরকার গঠন করে।
ফলাফল
দল | ভোট | % | আসন | +/– | |
---|---|---|---|---|---|
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল | ২৭৮ | +১৩৮ | |||
বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টি | ১ | ০ | |||
স্বতন্ত্র | ১০ | +৭ | |||
ফাঁকা | ১১ | – | |||
মোট | ৩০০ | ০ | |||
মোট ভোট | ১,১৭,৭৬,৪৮১ | – | |||
নিবন্ধিত ভোটার/ভোটদান | ৫,৬১,৪৯,১৮২ | ২০.৯৭ | |||
উৎস: নোহলেন et al. |
- কিছু তথ্য
- মোট ভোট কেন্দ্র - ২১,১০৬
- মোট ভোটর - ৫,৬১,৪৯,১৮২[3]
- পুরুষ - ২,৩৭,৬৫,৭৫২
- মহিলা - ২,৩২,৩৮,২০৪
তথ্যসূত্র
- Nohlen, D, Grotz, F & Hartmann, C (2001) Elections in Asia: A data handbook, Volume I, p525 ISBN 019924958
- Nohlen, D, Grotz, F & Hartmann, C (2001) Elections in Asia: A data handbook, Volume I, p537 ISBN 019924958
- "বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন"। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩।