ডাকনাম
ডাকনাম একটি বিশেষ্য এবং নাম শব্দটি থেকেই এর জন্ম। কোন নির্দিষ্ট নামের ব্যক্তি বা বস্তুকে মূল নাম ব্যতীত অন্য কোন পৃথক নামে ডাকাই হচ্ছে ডাকনাম। কোন মানুষের ক্ষেত্রে ডাকনাম দু'ভাবে দেওয়া হয়ে থাকে। প্রথম ক্ষেত্রে বাবা-মা বা কোন আত্মীয় স্বজন ডাকনাম দিয়ে থাকে, যে নামে তাকে পরিবার ও বন্ধু মহলে ডাকা হয়ে থাকে। আর কিছু ডাকনাম মানুষ নিজের কর্মগুণে অর্জন করে থাকে। এটা কখনো মূল নামের সংক্ষিপ্ত রূপও হতে পারে, আবার কখনোবা ব্যঙ্গার্থক অর্থেও ডাকনাম দেওয়া হয়।
যেমন : কারও প্রকৃত নাম যদি খন্দকার ইনামুল হক হয়, তবে সেই ক্ষেত্রে তাকে ইনামুল নামে ডাকা হয়ে থাকে । একইভাবে, কারও নাম তৌহিদুল ইসলাম হলে তাকে স্বভাবতই তৌহিদ নামে ডাকা হয়, আর এটাই হল ডাকনাম ।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামের ক্ষেত্রেও ডাকনাম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন জীবজন্তুকে ডাকার ক্ষেত্রেও ডাকনাম ব্যবহার করা হয়। বিশেষত, যেসব প্রাণী পোষা হয়ে থাকে, সেগুলোকে ডাকার সময়ও ডাকনাম ব্যবহৃত হয় ।
ক্রীড়াবিষয়ক ডাকনাম
আঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খেলাধুলায় অংশগ্রহণকারী দল ও খেলোয়াড়দের ডাকনাম থাকতে পারে। এ নামগুলোর কিছু ভক্তদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে চালু হয় এবং মিডিয়ার কল্যাণে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আবার অনেক প্রতিযোগিতায় (যেমন আমেরিকান ফুটবল বা আইপিএল) প্রত্যেক দলের নিবন্ধনকৃত ডাকনাম থাকে।