বিংশ-শতাব্দীর দর্শন

বিংশ শতাব্দীর দর্শনে যৌক্তিক ইতিবাদ, বিশ্লেষণী দর্শন, প্রপঞ্চবাদ, অস্তিত্ববাদ এবং উত্তরণির্মানবাদ ইত্যাদি নতুন দার্শনিক সম্প্রদায়ের উন্নয়ন দেখা যায়। দর্শনের যুগ অনুযায়ী, এটি সাধারণত সমকালীন দর্শনের সাথে সম্পৃক্ত (পরবর্তীতে আধুনিক দর্শন, যা দেকার্তের সময় থেকে বিংশ শতক পর্যন্ত বিস্তৃত)।

বিশ্লেষণী দর্শন

বিশ্লেষণী দর্শন ভাষাদর্শনের আওতাভুক্ত দার্শনিক আন্দোলন রূপে চিহ্নিত। দর্শনে গতানুগতিক এবং পরখবিহীন ভাষাপ্রয়োগের বিরুদ্ধে গত শতাব্দির মধ্যভাগে এ-আন্দোলনস্বভাবি দর্শনের জন্ম। এ-আন্দোলনের ছোঁয়া বাংলাদেশে তখন পড়েনি। অবশ্য বর্তমানে এর আবেগ-অনুভূতিকে নিয়ে কেউ কেউ দর্শনচর্চায় নিমগ্ন রয়েছেন।

জ্ঞানতত্ত্ব

যৌক্তিক ইতিবাদ

যৌক্তিক ইতিবাদ মূলত ভিয়েনা চক্র প্রদত্ত কতগুলো দার্শনিক চিন্তার সামগ্রিক রূপ। ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন ও বিজ্ঞানের কয়েকজন শিক্ষক এ-চিন্তাধারার বাহক ও ধারক। এ-দর্শন একদিকে যুক্তিধর্মী, অন্যদিকে বিজ্ঞানভাবাপন্ন। এ-দর্শনের দার্শনিকরা ভাষার যৌক্তিক বিশ্লেষণ ও অর্থ পরিষ্করণে আগ্রহী। তারা বিজ্ঞানের বাক্যগুলোকে বিশ্লেষণ, শ্রেণিকরণ এবং সম্পর্ক নির্ণয়নের ব্যবস্থা করেন এবং এজন্য তারা দর্শনকে বিজ্ঞানের উপর প্রতিষ্ঠিত করেন।

মহাদেশীয় দর্শন

অস্তিত্ববাদ

এটি বিংশ শতাব্দীর একটি শীর্ষ স্থানীয় মতবাদ। এই মতবাদটি মানুষের মুখে মুখে ঘুরে বেড়ায়। অস্তিত্ত্ববাদের কথা, নীতিমালা মানুষের কাছে একটা সময়ে কর্তব্য হিসেবে গৃহীত হয়েছে, বিশেষ করে সাধারণ মানুষের কাছে। যেখানে উনিশ শতকের জীবন দর্শন অভিজাত শ্রেণীর জন্যই শুধুমাত্র সীমাবদ্ধ ছিলো। এই অভিজ্ঞতাবাদ এককথায় সাধারণ মানুষের অস্তিত্বকে স্বীকার করেছে। এ মতবাদ তাত্ত্বিক বিষয়ের বিপরীতে জাগতিক বিষয় সম্বন্ধে আলোচনা করে। এ দর্শন তৈরি হবার পিছনে কিছু পূর্ব শর্তের প্রয়োজন হয়। এ পূর্বশর্তগুলো আমেরিকা ইংল্যান্ড ও মতো পুজিবাদী দেশগুলোতে তৈরি হয়নি বা ব্যবহার হয়নি।

আরও দেখুন

  • বিংশ-শতাব্দীর ফরাসি দর্শন

তথ্যসূত্র

    বহিঃসংযোগ

    This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.