২০১৭–২০ আইসিসি মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ

২০১৭–২০ আইসিসি মহিলা চ্যাম্পিয়নশীপ[1] হচ্ছে আইসিসি মহিলা চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সংস্করণ এবং একটি মহিলাদের একদিনের আন্তর্জাতিক (মহিলা ওডিআই) প্রতিযোগিতায় বর্তমানে আটটি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। যাতে ২০২১ মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার জন্য দল নির্ধারিত হবে।[2] ২০২১ বিশ্বকাপের আয়োজক নিউজিল্যান্ড ও শীর্ষ চারটি দলসহ মোট ৫টি দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।[3] বাকী তিনটি দল অগ্রসর হবে ২০২০ মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব প্রতিযোগিতায়।[4]

২০১৭-২০ আইসিসি মহিলা চ্যাম্পিয়নশীপ

তত্ত্বাবধায়ক	আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল
ক্রিকেটের ধরন	একদিনের আন্তর্জাতিক
প্রতিযোগিতার ধরন	রাউন্ড রবিন
আয়োজক	বিভিন্ন
বিজয়ী	অস্ট্রেলিয়া (২য় শিরোপা)
রানার-আপ	ইংল্যান্ড
সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী	অ্যালিসা হিলি (১০০০)
সর্বাধিক উইকেটধারী	সানা মীর (৩৫)

পূর্ববর্তী প্রতিযোগিতায়, প্রথম তিনটি মহিলা ওডিআইকে বাছাইপর্বের খেলা হিসাবে গণ্য করা হত। তবে, বর্তমান প্রতিযোগিতার জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) অনুরোধ করে যে, অতিরিক্ত খেলাগুলো হবে মহিলাদের টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক (মহিলা টি২০আই) ফরম্যাট অনুযায়ী।[2] সামঞ্জস্য রেখে আইসিসি আইনগুলো হালনাগাদ করে, প্রথমবারের মতো মহিলা ওডিআই খেলা দুটি বল ব্যবহৃত হবে।[5]

অক্টোবর ২০১৭তে যখন মূল ঘোষণা এসেছিল, তখন বলা হয়েছিল যে, আয়োজক নিউজিল্যান্ড ও সেরা তিনটি দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।[1][6] একবছর পর অক্টোবর ২০১৮তে বাছাই কাঠামোতে কিছুটা পরিবর্তন এনে আইসিসি ঘোষণা করে যে, আয়োজক ও সেরা চারটি দল ২০২১ বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাবে।[3]

সর্বপ্রথম উক্ত সূচীর খেলাটি ঘোষণা করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি), ২০১৭ অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তান খেলে নিউজিল্যান্ডের সাথে।[7] প্রথম পর্বের খেলাটি শুরু হয় ১১ অক্টোবর ২০১৭, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার মধ্য।[8] চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী সূচীর খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে পরাজিত করে।[9]

২০১৯ এর মার্চে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল শ্রীলঙ্কাকে ৩–০ তে পরাজিত করে। উক্ত পরাজয়ের সাথেই শ্রীলঙ্কা মহিলা ক্রিকেট দল ২০২১ মহিলা বিশ্বকাপে সরাসরি অংশ গ্রহণের সুযোগ হারায়, তাদের অবতীর্ণ হতে হবে ২০২০ মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব প্রতিযোগিতায়।[10] ২০১৯ এর মে মাসে আইসিসি নিশ্চিত করে যে, অস্ট্রেলিয়া হচ্ছে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনকারী প্রথম দল।[11]