২০১২ চিরিরবন্দর সহিংসতা
২০১২ চিরিরবন্দর সহিংসতা বলতে বাংলাদেশের রংপুর বিভাগে দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলায় ২০১২ সালের ৪ই আগস্ট সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ইসলামী চরমপন্থীদের দ্বারা আক্রমণকে বোঝায়।
বাঙালি হিন্দু নিপীড়ন |
---|
একটি ধারাবাহিক অংশ |
![]() |
বিভেদ |
নিপীড়ন |
|
প্রতিরোধ |
পটভূমি
চিরিরবন্দর উপজেলার অমরপুর ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্গত রাজাপুর গ্রামের বলাইবাজার এলাকায় একটি অস্থায়ী মসজিদ ছিল। জমির মালিক ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন কলেজের অধ্যাপিকা হামিদা খাতুন। তিনি মসজিদটিকে স্থায়ী করতে চেয়েছিলেন। ঘটনার এক সপ্তাহ আগে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। কিন্তু মসজিদ থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে একটি পুরনো কালী মন্দির ছিল। রাজাপুর গ্রাম একটি সম্পূর্ণ হিন্দু অধ্যুষিত গ্রাম। এলাকায় কোন মুসলমান নেই। তাই হিন্দুরা অধ্যাপিকা হামিদা খাতুনকে ৫০০ গজ দূরে মসজিদ নির্মাণের অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি অস্বীকার করেন এবং চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা আফতাব আলী মোল্লার সহায়তায় স্থানীয় মুসলমানদের উত্তেজিত করার জন্য উত্তেজক বক্তৃতা দেন।[1][2]
আক্রমণ
সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা সত্ত্বেও ২০১২ সালের ৪ আগস্ট শনিবার সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা যায়।[2][3]
পরবর্তী ঘটনা
ঘটনাটি এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।[2]
উপজেলা প্রশাসনের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের অভাব এবং বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উস্কানিতে ঘটা ঘটনাটি আওয়ামী লীগ দমন করে। বিএনপি অবশ্য ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতার দায়িত্বশীলভাবে কাজ করতে ব্যর্থতার দিকে আঙুল তুলেছে।[4][5][6]
শাহরিয়ার কবির ও সৈয়দ শামসুল হকের মতো ৫০ জনেরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবী সহিংসতার নিন্দা করেছেন।[7]
তথ্যসূত্র
- "Archived copy" জামায়াত নেতার উস্কানিতে দিনাজপুরে হিন্দুদের ওপর হামলা, বাড়িতে আগুন। Janakantha। ৫ আগস্ট ২০১২। ২১ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০২১।
- "Anatomy of instigated violence"। New Age। ৭ সেপ্টেম্বর ২০১২। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০২১।
- "Violence Unleashed Over the Hindu Community of Dinajpur, Bangladesh"। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০২১।
- "Hindus' houses looted, torched in Dinajpur"। bdnews24.com। ৪ আগস্ট ২০১২।
- "198 charge-sheeted in Dinajpur"। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। ঢাকা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০২১।
- http://northernnews24.com/english/?p=1235
- "17 arrested over temple land grab"। দ্য ডেইলি স্টার। ৭ আগস্ট ২০১২।