২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ গ্রুপ জি

২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের জি গ্রুপের খেলা অনুষ্ঠিত হয় ১৫ থেকে ২৫ জুন, ২০১০ পর্যন্ত।[1] এই গ্রুপের প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো হচ্ছে ব্রাজিল, উত্তর কোরিয়া, কোত দিভোয়ার (আইভরি কোস্ট), এবং পর্তুগাল। এই গ্রুপটি ডি গ্রুপের সাথে একইভাবে গ্রুপ অফ ডেথ বিবেচনা করা হচ্ছে॥[2]

১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপের সি গ্রুপে ব্রাজিল ও পর্তুগাল একই সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলো। সেবার পর্তুগাল ব্রাজিলকে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছিলো। এছাড়া দ্বিতীয় পর্বে জি গ্রুপ থেকে আসা উত্তর কোরিয়াকে তারা পরাজিত করে। প্রথমার্ধে ০-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও দ্বিতীয়ার্ধে ৫-৩ গোলে তারা ম্যাচ জিতে নেয়।

এই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল দ্বিতীয় পর্বে এইচ গ্রুপের রানার্স-আপ দলের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে। অপরদিকে রানার্স-আপ দল মুখোমুখি হবে এইচ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলের। এই গ্রুপের পরিসংখ্যান টেবিল নিচে উল্লেখ করা হলো।

অব দল ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো গোপা পয়েন্ট যোগ্যতা অর্জন
 ব্রাজিল +৩ নকআউট পর্বের উন্নীত
 পর্তুগাল +৭
 কোত দিভোয়ার +১
 উত্তর কোরিয়া ১২ ১১
উৎস: ফিফা
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: টাই-ভঙ্গের মানদণ্ড

খেলাসমূহ

এই গ্রুপে মোট ছয়টি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেগুলো হলো:

  • কোত দিভোয়ার বনাম পর্তুগাল
  • ব্রাজিল বনাম উত্তর কোরিয়া
  • ব্রাজিল বনাম কোত দিভোয়ার
  • পর্তুগাল বনাম উত্তর কোরিয়া
  • পর্তুগাল বনাম ব্রাজিল
  • উত্তর কোরিয়া বনাম কোত দিভোয়ার

(সকল সময় দক্ষিণ আফ্রিকার আঞ্চলিক সময় (ইউটিসি +২) অনুসারে দেওয়া হয়েছে।)

কোত দিভোয়ার বনাম পর্তুগাল


কোত দিভোয়ার ০ – ০ পর্তুগাল
(প্রতিবেদন)
নেলসন ম্যান্ডেলা বে, পোর্ট এলিজাবেথ
দর্শক সংখ্যা: ৩৭,০৩৪
রেফারি: জর্গে ল্যারিওন্ডা (উরুগুয়ে)[3]
কোত দিভোয়ার
পর্তুগাল
কোত দিভোয়ার
কোত দিভোয়ার:
GKবউবাকার ব্যারি
RB২০গি দামেলহলুদ কার্ড ২১'
CBকোলো টোরে (দ)
CBদিদিয়ের জোকরাহলুদ কার্ড '
LB১৭সিয়াকা তিয়েনে
DM১৯ইয়ায়া তুরে
CM২১এমানুয়েল এবুয়ে৮৮তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৮৮'
CMচেইক ত্রতেঁ
RW১০জারভিনিয়ো৮২তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৮২'
LWসলোমোন কালু৬৫তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৬৫'
CF১৫আরুনা দিদানে
বদলি খেলোয়াড়:
FW১১দিদিয়ের দ্রগবা৬৫তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৬৫'
MF১৮কাদের কেইতা৮২তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৮২'
MF১৩রোমানিক৮৮তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৮৮'
কোচ:
সুইডেন সভেন-গোরান এরিকসন
পর্তুগাল
পর্তুগাল:
GKএদুয়ার্ডো
RBপাউলু ফেরেইরা
CBব্রুনো আলভিস
CBরিকার্ডো কালভারহো
LB২৩ফ্যাবিও কোয়েন্ত্রাও
DMপেদ্রো মেন্ডেজ
CM১৬রাউল মেইরেলেজ৮৫তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৮৫'
CM২০দেকো৬২তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৬২'
RWক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (দ)হলুদ কার্ড ২১'
LW১০ড্যানি অ্যালভি৫৫তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৫৫'
CFলিয়েডসন
বদলি খেলোয়াড়:
FW১১সিমাও সাবরোসা৫৫তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৫৫'
MF১৯টিয়াগো৬২তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৬২'
MF১৭রুবেন অ্যামোরিন৮৫তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৮৫'
কোচ:
পর্তুগাল কার্লোস কুয়েরোজ

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ:
পর্তুগাল ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো

  • সহকারী রেফারি:

পাবলো ফানদিনো (উরুগুয়ে)[3]
মাউরিসিয়ো এসপিনোজা (উরুগুয়ে)[3]

  • চতুর্থ রেফারি:

মার্টিন ভাসকুয়েজ (উরুগুয়ে)[3]

ব্রাজিল বনাম উত্তর কোরিয়া


ব্রাজিল ২ – ১ উত্তর কোরিয়া
মাইকোন গোল ৫৫'
এলানো গোল ৭২'
(প্রতিবেদন) জি ইয়ুন-নাম গোল ৮৯'
এলিস পার্ক স্টেডিয়াম, জোহানেসবার্গ
দর্শক সংখ্যা: ৫৪,৩৩১
রেফারি: ভিক্টর কাসাই (হাঙ্গেরি)[3]
ব্রাজিল
উত্তর কোরিয়া
ব্রাজিল
ব্রাজিল:
GKহুলিও সিজার
RBমাইকোন
CBলুসিও (দ)
CBহুয়ান
LBমাইকেল বাস্তোস
DMগিলবার্তো সিলভা
CMএলানো৭৩তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৭৩'
CMফিলিপে মেলো৮৪তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৮৪'
OM১০কাকা৭৮তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৭৮'
SS১১রবিনিয়ো
CFলুইস ফ্যাবিয়ানো
বদলি খেলোয়াড়:
MF১৩আলভিস৭৩তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৭৩'
FW২১নিলমার৭৮তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৭৮'
MF১৮রামিরেজহলুদ কার্ড ৮৮'৮৪তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৮৪'
কোচ:
ব্রাজিল দুঙ্গা
উত্তর কোরিয়া
উত্তর কোরিয়া:
GKরি মিয়োং-গুক
RBচা জং-হিয়োক
CB১৩পাক চোল-জিন
CBপাক নাম-চোল
LBরি কোয়াং-চোন
DMদ্বিতীয় রি জুন
RM১১মুন ইন-গুক৮০তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৮০'
LMজি ইউন-নাম
SS১০হং ইয়োং-জো (দ)
SS১৭এহন ইয়োং-হাক
CFজং টি-সে
বদলি খেলোয়াড়:
FWদ্বিতীয় কিম কুম৮০তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৮০'
কোচ:
উত্তর কোরিয়া কিম জং-হুন

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ:
ব্রাজিল মাইকোন

  • সহকারী রেফারি:

গ্যব্রোর ইরোজ (হাঙ্গেরি)[3]
টিবোর ভামোস (হাঙ্গেরি)[3]

  • চতুর্থ রেফারি:

সাবখিদ্দিন মোহদ সালেহ (মালয়েশিয়া)[3]

ব্রাজিল বনাম কোত দিভোয়ার


ব্রাজিল ৩ – ১ কোত দিভোয়ার
লুইস ফ্যাবিয়ানো গোল ২৫', ৫০'
এলানো গোল ৬২'
(প্রতিবেদন) দ্রগবা গোল ৭৯'
সকার সিটি, জোহানেসবার্গ
দর্শক সংখ্যা: ৮৪,৪৫৫
রেফারি: স্টেফানে ল্যানয় (ফ্রান্স)
ব্রাজিল[4]
কোত দিভোয়ার
ব্রাজিল
ব্রাজিল:
GKহুলিও সিজার
RBমাইকন
CBলুসিও (দ)
CBহুয়ান
LBমাইকেল বাস্তোস
DMগিলবার্তো সিলভা
CMএলানো৬৭তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৬৭'
CMফিলিপে মেলো
OM১০কাকাহলুদ কার্ড ৮৫' হলুদ-লাল কার্ড ৮৮'
SS১১রবিনিয়ো৯০+৩তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৯০+৩'
CFলুইস ফ্যাবিয়ানো
বদলি খেলোয়াড়:
MF১৩আলভিস৬৭তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৬৭'
MF১৮রামিরেজ৯০+৩তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৯০+৩'
কোচ:
ব্রাজিল দুঙ্গা
কোত দিভোয়ার
কোত দিভোয়ার:
GKবউবাকার ব্যারি
RB২০গি দামেলহলুদ কার্ড ২১'
CBকোলো টোরে
CBদিদিয়ের জোকরাহলুদ কার্ড '
LB১৭সিয়াকা তিয়েনে
DM১৯ইয়ায়া তুরে
CM২১এমানুয়েল এবুয়ে৭২তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৭২'
CMচেইক ত্রতেঁ
RW১৫অরুনা দিনদানে৫৪তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৫৪'
LWসলোমোন কালু৬৮তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৬৮'
CF১১দিদিয়ের দ্রগবা (দ)
বদলি খেলোয়াড়:
FW১০জারভিনিয়ো৫৪তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৫৪'
MF১৮কাদের কেইতাহলুদ কার্ড ৭৫'৬৮তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৬৮'
MF১৩রোমারিক৭২তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৭২'
কোচ:
সুইডেন সভেন-গোরান এরিকসন

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ:
ব্রাজিল লুইস ফ্যাবিয়ানো (ব্রাজিল)

  • সহকারী রেফারি:

এরিক ড্যানসল্ট (ফ্রান্স)
লরেন্ট উগো (ফ্রান্স)

  • চতুর্থ রেফারি:

সাবখিদ্দিন মোহদ সালেহ (মালয়েশিয়া)

  • পঞ্চম রেফারি:

মু ইউজিন (চীন)

পর্তুগাল বনাম উত্তর কোরিয়া


পর্তুগাল বনাম ব্রাজিল


উত্তর কোরিয়া বনাম কোত দিভোয়ার


পরিশিষ্ট

  • গোলরক্ষক GK বা Goalkeeper
  • সুইপার বা লিবেরো SW বা Sweeper
  • রক্ষণভাগের খেলোয়াড় (কেন্দ্রীয়) CB বা Center Back
  • রক্ষণভাগের খেলোয়াড় (পার্শ্বীয়) FB বা Full Back
  • রক্ষণভাগের খেলোয়াড় (ডান পার্শ্বীয়) RB বা Right Back
  • রক্ষণভাগের খেলোয়াড় (বাম পার্শ্বীয়) LB বা Left Back
  • মধ্যমাঠের খেলোয়াড় MF বা Midfielder
  • মধ্যমাঠের খেলোয়াড় (রক্ষণাত্মক) DF বা Defensive Midfielder
  • আক্রমণাত্মক রক্ষণভাগের খেলোয়াড় WB বা Wing Back
  • আক্রমণাত্মক রক্ষণভাগের খেলোয়াড় (ডান পার্শ্বীয়) RWB বা Right Wing Back
  • আক্রমণাত্মক রক্ষণভাগের খেলোয়াড় (বাম পার্শ্বীয়) LWB বা Left Wing Back
  • মধ্যমাঠের খেলোয়াড় (কেন্দ্রীয়) CM বা Center Midfielder
  • মধ্যমাঠের খেলোয়াড় (ডান পার্শ্বীয়) RM বা Right Midfield
  • মধ্যমাঠের খেলোয়াড় (বাম পার্শ্বীয়) LM বা Left Midfield
  • মধ্যমাঠের খেলোয়াড় (আক্রমণাত্মক) AM বা Attacking Midfielder
  • আক্রমণভাগের খেলোয়াড় FW বা Forward বা Striker বা Winger
  • আক্রমণভাগের খেলোয়াড় (মাধ্যমিক) SS বা Secondary Striker
  • আক্রমণভাগের খেলোয়াড় (ডান পার্শ্বীয়) RW বা RS বা RF
  • আক্রমণভাগের খেলোয়াড় (কেন্দ্রীয়) CF বা Center Forward
  • আক্রমণভাগের খেলোয়াড় (বাম পার্শ্বীয়) LW বা LS বা LF

তথ্যসূত্র

  1. "Match Schedule 2010 FIFA World Cup South Africa" (পিডিএফ) (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। FIFA.com। ২০১৯-০৩-২৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-০৬
  2. Latham, Brent (৪ মে ২০১০)। "Group D is the toughest group"ESPN.com। ESPN। ২১ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১০
  3. "Referee designations for matches 1-16" (পিডিএফ)FIFA.comFédération Internationale de Football Association। ৫ জুন ২০১০। ৫ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১০
  4. "Tactical Line-up – Group G – Brazil-Cote d´Ivoire" (পিডিএফ)FIFA.com। Fédération Internationale de Football Association। ২০ জুন ২০১০। ২ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১০
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.