২০০৯ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল পূর্ব-নির্ধারিত সময়সূচী মোতাবেক ২০০৯ সালের আন্তর্জাতিক মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করে। ৩ জুলাই, ২০০৯ তারিখ থেকে ২ আগস্ট, ২০০৯ তারিখ পর্যন্ত সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের বিপক্ষে দুই টেস্ট, তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিক ও একটি টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।

২০০৯ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর
 
  ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশ
তারিখ ৩ জুলাই, ২০০৯ – ২ আগস্ট, ২০০৯
অধিনায়ক ফ্লয়েড রেইফার মাশরাফি বিন মর্তুজা
সাকিব আল হাসান
টেস্ট সিরিজ
ফলাফল ২ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ ২–০ ব্যবধানে জয়ী হয়
সর্বাধিক রান ডেভিড বার্নার্ড (১৯১) তামিম ইকবাল (১৯৭)
সর্বাধিক উইকেট কেমার রোচ (১৩) সাকিব আল হাসান (১৩)
একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজ
ফলাফল ৩ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ ৩–০ ব্যবধানে জয়ী হয়
সর্বাধিক রান ট্রাভিস ডাউলিন (১৪৮) মোহাম্মদ আশরাফুল (১৪০)
সর্বাধিক উইকেট কেমার রোচ (১০) আব্দুর রাজ্জাক (৭)
সিরিজ সেরা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)
টোয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক সিরিজ
ফলাফল ১ ম্যাচের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১–০ ব্যবধানে জয়ী হয়
সর্বাধিক রান ডেভন স্মিথ (৩৭)
ট্রাভিস ডাউলিন (৩৭)
নাঈম ইসলাম (২৭)
সর্বাধিক উইকেট নিকিতা মিলার (২)
ড্যারেন স্যামি (২)
মোহাম্মদ আশরাফুল (২)
সিরিজ সেরা খেলোয়াড় ড্যারেন স্যামি (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

এ সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলোয়াড় সমিতির মধ্যকার শ্রম অসন্তুষ্টির কারণে পুরো সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের প্রথম একাদশ মাঠে নামাতে পারেনি।[1]

বাংলাদেশ দল খুব সহজেই দূর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে কুপোকাত করে। টেস্ট সিরিজে ২-০ এবং একদিনের আন্তর্জাতিকে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের স্বাদ আস্বাদন করে। টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় জয় পায়। পাশাপাশি বিদেশ সফরে সিরিজ জয়সহ প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করে। একদিনের আন্তর্জাতিকের সিরিজেও বাংলাদেশ টেস্টভূক্ত দলের বিপক্ষে বিদেশ সফরে জয় পায় ও হোয়াইটওয়াশ করতে সক্ষম হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ কেবলমাত্র টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে সিরিজ জয় পায়।

টেস্ট সিরিজ

১ম টেস্ট

৯-১৩ জুলাই
স্কোরকার্ড
২৩৮ (৮৮.২ ওভার)
মাশরাফি বিন মর্তুজা ৩৯ (৫২)
কেমার রোচ ৩/৪৬ (২৩ ওভার)
৩০৭ (৯৫.১ ওভার)
ওমর ফিলিপস ৯৪ (১৭৭)
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৩/৫৯ (১৯.৪ ওভার)
৩৪৫ (১২০.১ ওভার)
তামিম ইকবাল ১২৮ (২৪৩)
ড্যারেন স্যামি ৫/৭০ (৩০.১ ওভার)
১৮১ (৭০.১ ওভার)
ডেভিড বার্নার্ড ৫২* (১৩৪)
মাহমুদুল্লাহ ৫/৫১ (১৫ ওভার)
  • বাংলাদেশ টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • ১ম দিনে বৃষ্টির কারণে খেলা ৩ ঘণ্টা দেরীতে শুরু হয়। ঐদিন বৃষ্টিতে বারংবার খেলা বিঘ্নিত হয়।
  • সফরকালে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট বিজয়।

দ্বিতীয় টেস্ট

১৭-২১ জুলাই
স্কোরকার্ড
২৩৭ (৭৬.১ ওভার)
ট্রাভিস ডাউলিন ৯৫ (১৬২)
সাকিব আল হাসান ৩/৫৯ (২১.১ ওভার)
২৩২ (৭৯.৫ ওভার)
মুশফিকুর রহিম ৪৮ (৫৮)
কেমার রোচ ৬/৪৮ (২৩.৫ ওভার)
২০৯ (৭০.৫ ওভার)
ডেভিড বার্নার্ড ৬৯ (৭৬)
সাকিব আল হাসান ৫/৭০ (২৪.৫ ওভার)
২১৭/৬ (৫৪.৪ ওভার)
সাকিব আল হাসান ৯৬ (৯৭)
ড্যারেন স্যামি ৫/৫৫ (১৬ ওভার)
বাংলাদেশ ৪ উইকেটে বিজয়ী
ক্রিকেট ন্যাশনাল স্টেডিয়াম, সেন্ট জর্জ'স, গ্রেনাডা
আম্পায়ার: অশোকা ডি সিলভা (শ্রীলঙ্কা) ও টনি হিল (নিউজিল্যান্ড)
ম্যাচসেরা: সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)
  • বাংলাদেশ টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • ৩য় দিনের চূড়ান্ত পর্বে বৃষ্টি খেলায় বিঘ্ন ঘটায়।
  • ৪র্থ দিন বৃষ্টির জন্য ২ ঘণ্টা বিলম্বে খেলা শুরু হয়।
  • এ বিজয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো বিদেশে সিরিজ জয় করে।

ওডিআই সিরিজ

১ম ওডিআই

২৬ জুলাই, ২০০৯
স্কোরকার্ড
বাংলাদেশ 
২৪৬/৯ (৫০ ওভার)
 ওয়েস্ট ইন্ডিজ
১৯৪ (৪৩.৪ ওভার)
মোহাম্মদ আশরাফুল ৫৭ (১৩৪)
কেমার রোচ ৫/৪৪ (১০ ওভার)
ডেভন স্মিথ ৬৫ (১১২)
আব্দুর রাজ্জাক ৪/৩৯ (৯.৪ ওভার)
বাংলাদেশ ৫২ রানে বিজয়ী
উইন্ডসর পার্ক, রোজো, ডোমিনিকা
আম্পায়ার: বিলি ডকট্রোভ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ও টনি হিল (নিউজিল্যান্ড)
ম্যাচসেরা: আব্দুর রাজ্জাক (বাংলাদেশ)
  • ওয়েস্ট ইন্ডিজ টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

২য় ওডিআই

২৮ জুলাই, ২০০৯
স্কোরকার্ড
ওয়েস্ট ইন্ডিজ 
২৭৪/৬ (৫০ ওভার)
 বাংলাদেশ
২৭৬/৭ (৪৯ ওভার)
ট্রাভিস ডাউলিন ১০০* (১১৭)
নাঈম ইসলাম ১/২৬ (৮ ওভার)
সাকিব আল হাসান ৬৫ (৬১)
ডেভন টমাস ২/১১ (১.১ ওভার)
বাংলাদেশ ৩ উইকেটে বিজয়ী
উইন্ডসর পার্ক, রোজো, ডোমিনিকা
আম্পায়ার: বিলি ডকট্রোভ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ও টনি হিল (নিউজিল্যান্ড)
ম্যাচসেরা: সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)
  • ওয়েস্ট ইন্ডিজ টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • বাংলাদেশের ইনিংস চলাকালে বৃষ্টি বিঘ্ন ঘটালেও কোন ওভারের ক্ষতি হয়নি।

৩য় ওডিআই

৩১ জুলাই, ২০০৯
স্কোরকার্ড
ওয়েস্ট ইন্ডিজ 
২৪৮ (৪৭.৪ ওভার)
 বাংলাদেশ
২৪৯/৭ (৪৮.৫ ওভার)
জুনায়েদ সিদ্দিকী ৫৫ (৭৩)
কেমার রোচ ৪/৬৩ (৯.৫ ওভার)
বাংলাদেশ ৩ উইকেটে বিজয়ী
ওয়ার্নার পার্ক, বাসেতের, সেন্ট কিটস
আম্পায়ার: ক্লাইড ডানকান (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ও টনি হিল (নিউজিল্যান্ড)
ম্যাচসেরা: মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (বাংলাদেশ)
  • ওয়েস্ট ইন্ডিজ টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

টি২০আই সিরিজ

একমাত্র টি২০আই

২ আগস্ট, ২০০৯
স্কোরকার্ড
বাংলাদেশ 
১১৮/৯ (২০ ওভার)
 ওয়েস্ট ইন্ডিজ
১১৯/৫ (১৬.৫ ওভার)
নাঈম ইসলাম ২৭ (১৮)
নিকিতা মিলার ২/২২ (৪ ওভার)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে বিজয়ী
ওয়ার্নার পার্ক, বাসেতের, সেন্ট কিটস
আম্পায়ার: ক্লাইড ডানকান (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ও নরম্যান ম্যালকম (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
ম্যাচসেরা: ড্যারেন স্যামি (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
  • বাংলাদেশ টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

প্রস্তুতিমূলক খেলা

প্রথম-শ্রেণী: ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ বনাম বাংলাদেশ একাদশ

৩-৫ জুলাই
স্কোরকার্ড
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ
১৯৫ (৬৩.৫ ওভার)
মোহাম্মদ আশরাফুল ৫০
কেমার রোচ ৫/৬২ (১৭ ওভার)
২৪৮ (৮২.৫ ওভার)
ডেভন টমাস ১০৫
সাকিব আল হাসান ৩/৭২ (২৮ ওভার)
২৩৩/৫ (৮১ ওভার)
তামিম ইকবাল ৭২
রায়ান অস্টিন ৪/৬৫ (২৭ ওভার)
খেলা ড্র
কেনসিংটন ওভাল, ব্রিজটাউন, বার্বাডোস
আম্পায়ার: ভিনসেন্ট বুলেন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ও প্যাট্রিক গ্রাজেট (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
  • বাংলাদেশ টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

লিস্ট এ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য একাদশ বনাম বাংলাদেশ একাদশ

২৪ জুলাই, ২০০৯
স্কোরকার্ড
বাংলাদেশ একাদশ 
১৬৭/৬ (২৫ ওভার)
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য একাদশ
১৫১/৮ (২৫ ওভার)
মুশফিকুর রহিম ৮২ (৫৯)
গ্যাভিন টং ২/১৮ (৫ ওভার)
ওমর ফিলিপস ৪৯ (৪১)
নাঈম ইসলাম ৩/১৯ (৫ ওভার)
বাংলাদেশ একাদশ ১৬ রানে বিজয়ী
বেঞ্জামিন’স পার্ক, পোর্টসমাউথ, ডোমিনিকা
আম্পায়ার: লিনক্স আব্রাহাম (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ও রজার লারোক (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
  • বাংলাদেশ টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • বৃষ্টির জন্য উভয় দলের ইনিংস ২৫ ওভারে নির্ধারণ করা হয়।

সম্প্রচার ব্যবস্থা

টেলিভিশন নেটওয়ার্ক

তথ্যসূত্র

  1. "Australia relief at West Indies players strike resolution"The Telegraph। ১৪ অক্টোবর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১২
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.