২০০২–০৩ বুন্দেসলিগা
২০০২–০৩ বুন্দেসলিগা জার্মানির পেশাদার ফুটবল লীগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ৪০তম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ২০০২ সালের ৯ই আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ২০০৩ সালের ২৪শে মে তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[1][2] হের্টার বেলজীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় বার্ট গোর এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[3]
মৌসুম | ২০০২–০৩ |
---|---|
তারিখ | ৯ আগস্ট ২০০২ – ২৪ মে ২০০৩ |
চ্যাম্পিয়ন | বায়ার্ন মিউনিখ ১৭তম বুন্দেসলিগা শিরোপা ১৮তম জার্মান শিরোপা |
অবনমন | আরমিনিয়া বিলেফেল্ড নুর্নবার্গ ফুটবল ক্লাব এনার্গি কটবুস |
চ্যাম্পিয়নস লীগ | বায়ার্ন মিউনিখ স্টুটগার্ট বরুসিয়া ডর্টমুন্ড |
উয়েফা কাপ | হামবুর্গার হের্টা কাইজারস্লাউটার্ন |
ইন্টারটোটো কাপ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন শালকে ভলফসবুর্গ |
মোট খেলা | ৩০৬ |
মোট গোলসংখ্যা | ৮২১ (ম্যাচ প্রতি ২.৬৮টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | জিওভানে এলবের তোমাস ক্রিস্তিয়ানসেন (২১টি গোল) |
← ২০০১–০২ ২০০৩–০৪ → |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০০১–০২ মৌসুমে ৭০ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ৩য় বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৭৫ পয়েন্ট অর্জন করে বায়ার্ন মিউনিখ ১৭তম বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ১৮তম বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। বায়ার্ন মিউনিখের ব্রাজিলীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় জিওভানে এলবের এবং বোখুমের স্পেনীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় তোমাস ক্রিস্তিয়ানসেন ২১ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
দল
২০০১–০২ মৌসুম শেষে ফ্রাইবুর্গ, কলন এবং জাংকট পাওলি মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে হানোফার, আরমিনিয়া বিলেফেল্ড এবং বোখুম বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
ক্লাব | অবস্থান | মাঠ[4] | ধারণক্ষমতা[4] |
---|---|---|---|
হের্টা | বার্লিন | বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৭৬,০০০ |
আরমিনিয়া বিলেফেল্ড | বিলেফেল্ড | আলম স্টেডিয়াম | ২৬,৬০০ |
বোখুম | বোখুম | রুর স্টেডিয়াম | ৩৬,০০০ |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৩৬,০০০ |
এনার্গি কটবুস | কটবুস | ফ্রয়ন্ডশাফট কটবুস স্টেডিয়াম | ২১,০০০ |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ডর্টমুন্ড | ভেস্টফালেন স্টেডিয়াম | ৬৮,৬০০ |
হামবুর্গার | হামবুর্গ | ফক্সপার্কস্টাডিওন | ৬২,০০০ |
হানোফার | হানোফার | নিডারজারকসেন স্টেডিয়াম | ৬০,৪০০ |
কাইজারস্লাউটার্ন | কাইজারস্লাউটার্ন | ফ্রিৎস ভাল্টার স্টেডিয়াম | ৪১,৫০০ |
বায়ার লেভারকুজেন | লেভারকুজেন | বেএরিনা | ২২,৫০০ |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | মনশেনগ্লাডবাখ | বোকেলবার্গস্টাডিওন | ৩৪,৫০০ |
১৮৬০ মিউনিখ | মিউনিখ | মিউনিখ অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৬৩,০০০ |
বায়ার্ন মিউনিখ | মিউনিখ | বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৬৩,০০০ |
নুর্নবার্গ | নুরেমবার্গ | ফ্রাঙ্কেন স্টেডিয়াম | ৪৪,৭০০ |
হান্সা রস্টক | রস্টক | অস্টসি স্টেডিয়াম | ২৫,৮৫০ |
শালকে | গেলজেনকির্খেন | আরেনা আউফশালকে | ৬১,৯৭৩ |
স্টুটগার্ট | স্টুটগার্ট | গটলিয়েব ডাইমলার স্টেডিয়াম | ৫৩,৭০০ |
ভলফসবুর্গ | ভলফসবুর্গ | ভিএফএল স্টেডিয়াম আম এলস্টারভেগ | ২১,৬০০ |
পয়েন্ট তালিকা
অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | বায়ার্ন মিউনিখ (C) | ৩৪ | ২৩ | ৬ | ৫ | ৭০ | ২৫ | +৪৫ | ৭৫ | চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | স্টুটগার্ট | ৩৪ | ১৭ | ৮ | ৯ | ৫৩ | ৩৯ | +১৪ | ৫৯ | |
৩ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৩৪ | ১৫ | ১৩ | ৬ | ৫১ | ২৭ | +২৪ | ৫৮ | চ্যাম্পিয়নস লীগের তৃতীয় বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ |
৪ | হামবুর্গার | ৩৪ | ১৫ | ১১ | ৮ | ৪৬ | ৩৬ | +১০ | ৫৬ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৫ | হের্টা | ৩৪ | ১৬ | ৬ | ১২ | ৫২ | ৪৩ | +৯ | ৫৪ | |
৬ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | ১৬ | ৪ | ১৪ | ৫১ | ৫০ | +১ | ৫২ | উয়েফা ইন্টারটোটো কাপের তৃতীয় পর্বে উত্তীর্ণ |
৭ | শালকে | ৩৪ | ১২ | ১৩ | ৯ | ৪৬ | ৪০ | +৬ | ৪৯ | |
৮ | ভলফসবুর্গ | ৩৪ | ১৩ | ৭ | ১৪ | ৩৯ | ৪২ | −৩ | ৪৬ | উয়েফা ইন্টারটোটো কাপের দ্বিতীয় পর্বে উত্তীর্ণ |
৯ | বোখুম | ৩৪ | ১২ | ৯ | ১৩ | ৫৫ | ৫৬ | −১ | ৪৫ | |
১০ | ১৮৬০ মিউনিখ | ৩৪ | ১২ | ৯ | ১৩ | ৪৪ | ৫২ | −৮ | ৪৫ | |
১১ | হানোফার | ৩৪ | ১২ | ৭ | ১৫ | ৪৭ | ৫৭ | −১০ | ৪৩ | |
১২ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩৪ | ১১ | ৯ | ১৪ | ৪৩ | ৪৫ | −২ | ৪২ | |
১৩ | হান্সা রস্টক | ৩৪ | ১১ | ৮ | ১৫ | ৩৫ | ৪১ | −৬ | ৪১ | |
১৪ | কাইজারস্লাউটার্ন | ৩৪ | ১০ | ১০ | ১৪ | ৪০ | ৪২ | −২ | ৪০ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
১৫ | বায়ার লেভারকুজেন | ৩৪ | ১১ | ৭ | ১৬ | ৪৭ | ৫৬ | −৯ | ৪০ | |
১৬ | আরমিনিয়া বিলেফেল্ড (R) | ৩৪ | ৮ | ১২ | ১৪ | ৩৫ | ৪৬ | −১১ | ৩৬ | ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত |
১৭ | নুর্নবার্গ (R) | ৩৪ | ৮ | ৬ | ২০ | ৩৩ | ৬০ | −২৭ | ৩০ | |
১৮ | এনার্গি কটবুস (R) | ৩৪ | ৭ | ৯ | ১৮ | ৩৪ | ৬৪ | −৩০ | ৩০ |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল।
(C) চ্যাম্পিয়ন; (R) অবনমিত।
ফলাফল
শীর্ষ গোলদাতা
অবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল |
---|---|---|---|
১ | জিওভানে এলবের | বায়ার্ন মিউনিখ | ২১ |
২ | তোমাস ক্রিস্তিয়ানসেন | বোখুম | |
৩ | আইতোন | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ১৬ |
৪ | কেভিন কুরানি | স্টুটগার্ট | ১৫ |
৫ | ক্লাউদিও পিসারো | বায়ার্ন মিউনিখ | |
৬ | মার্সেলিনিয়ো | হের্টা | ১৪ |
৭ | মার্কুস শ্রট | ১৮৬০ মিউনিখ | |
৮ | ফ্রেডি বোবিচ | হানোফার | |
৯ | বের্নার্দো রোমেও | হামবুর্গার | |
১০ | বেনিয়ামিন লাউট | ১৮৬০ মিউনিখ | ১৩ |
তথ্যসূত্র
- "Bundesliga 2002/2003 » Schedule"। WorldFootball.net। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২০।
- "FC Bayern eröffnet Saison gegen Wolfsburg"। Süddeutsche Zeitung (জার্মান ভাষায়)। ২৪ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০১৪।
- "Borussia Dortmund - Hertha BSC 2:2 (Bundesliga 2002/2003, 1. Round)"। worldfootball.net। ৮ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২২।
- Grüne, Hardy (২০০১)। Enzyklopädie des deutschen Ligafußballs, Band 7: Vereinslexikon (জার্মান ভাষায়)। Kassel: AGON Sportverlag। আইএসবিএন 3-89784-147-9।
বহিঃসংযোগ
- কিকার.ডিইতে ২০০২–০৩ বুন্দেসলিগা (জার্মান)