২০০১–০২ বুন্দেসলিগা
২০০১–০২ বুন্দেসলিগা জার্মানির পেশাদার ফুটবল লীগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ৩৯তম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ২০০১ সালের ২৮শে জুলাই তারিখে শুরু হয়ে ২০০২ সালের ৪ঠা মে তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[1] কাইজারস্লাউটার্নের লুক্সেমবুর্গীয় রক্ষণভাগের খেলোয়াড় ইয়েফ স্ট্রাসার এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[2]
মৌসুম | ২০০১–০২ |
---|---|
তারিখ | ২৮ জুলাই ২০০১ – ৪ মে ২০০২ |
চ্যাম্পিয়ন | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ৩য় বুন্দেসলিগা শিরোপা ৬ষ্ঠ জার্মান শিরোপা |
অবনমন | ফ্রাইবুর্গ কলন জাংকট পাওলি |
চ্যাম্পিয়নস লীগ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড বায়ার লেভারকুজেন বায়ার্ন মিউনিখ |
উয়েফা কাপ | হের্টা শালকে ভেয়ার্ডার ব্রেমেন |
ইন্টারটোটো কাপ | কাইজারস্লাউটার্ন স্টুটগার্ট ১৮৬০ মিউনিখ |
মোট খেলা | ৩০৬ |
মোট গোলসংখ্যা | ৮৯৩ (ম্যাচ প্রতি ২.৯২টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | মার্সিও আমোরোসো মার্টিন মাক্স (১৮টি গোল) |
← ২০০০–০১ ২০০২–০৩ → |
বায়ার্ন মিউনিখ বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০০০–০১ মৌসুমে ৬৩ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ১৬তম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৭০ পয়েন্ট অর্জন করে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ৩য় বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ৬ষ্ঠ বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের ব্রাজিলীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় মার্সিও আমোরোসো এবং ১৮৬০ মিউনিখের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় মার্টিন মাক্স ১৮ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিযোগিতার ধরন
প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য তিন পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী তিনটি ক্লাব ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত হয়েছিল।
দল
২০০০–০১ মৌসুম শেষে উন্টারহাখিং, ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং বোখুম মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে নুর্নবার্গ, বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ এবং জাংকট পাওলি বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
ক্লাব | অবস্থান | মাঠ[3] | ধারণক্ষমতা[3] |
---|---|---|---|
হের্টা | বার্লিন | বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৭৬,০০০ |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৩৬,০০০ |
এনার্গি কটবুস | কটবুস | ফ্রয়ন্ডশাফট কটবুস স্টেডিয়াম | ২১,০০০ |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ডর্টমুন্ড | ভেস্টফালেন স্টেডিয়াম | ৬৮,৬০০ |
ফ্রাইবুর্গ | ফ্রাইবুর্গ ইম ব্রাইসগাউ | ড্রাইসাম স্টেডিয়াম | ২৫,০০০ |
হামবুর্গার | হামবুর্গ | ফক্সপার্কস্টাডিওন | ৬২,০০০ |
কাইজারস্লাউটার্ন | কাইজারস্লাউটার্ন | ফ্রিৎস ভাল্টার স্টেডিয়াম | ৪১,৫০০ |
কলন | কোলন | মুঙ্গার্সডর্ফার স্টেডিয়াম | ৪৬,০০০ |
বায়ার লেভারকুজেন | লেভারকুজেন | বেএরিনা | ২২,৫০০ |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | মনশেনগ্লাডবাখ | বোকেলবার্গস্টাডিওন | ৩৪,৫০০ |
১৮৬০ মিউনিখ | মিউনিখ | মিউনিখ অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৬৩,০০০ |
বায়ার্ন মিউনিখ | মিউনিখ | বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৬৩,০০০ |
নুর্নবার্গ | নুরেমবার্গ | ফ্রাঙ্কেন স্টেডিয়াম | ৪৪,৭০০ |
হান্সা রস্টক | রস্টক | অস্টসি স্টেডিয়াম | ২৫,৮৫০ |
শালকে | গেলজেনকির্খেন | আরেনা আউফশালকে | ৬১,৯৭৩ |
জাংকট পাওলি | হামবুর্গ | মিলার্ন্টর স্টেডিয়াম | ২০,৫৫০ |
স্টুটগার্ট | স্টুটগার্ট | গটলিয়েব ডাইমলার স্টেডিয়াম | ৫৩,৭০০ |
ভলফসবুর্গ | ভলফসবুর্গ | ভিএফএল স্টেডিয়াম আম এলস্টারভেগ | ২১,৬০০ |
পয়েন্ট তালিকা
অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড (C) | ৩৪ | ২১ | ৭ | ৬ | ৬২ | ৩৩ | +২৯ | ৭০ | চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | বায়ার লেভারকুজেন | ৩৪ | ২১ | ৬ | ৭ | ৭৭ | ৩৮ | +৩৯ | ৬৯ | |
৩ | বায়ার্ন মিউনিখ | ৩৪ | ২০ | ৮ | ৬ | ৬৫ | ২৫ | +৪০ | ৬৮ | চ্যাম্পিয়নস লীগের তৃতীয় বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ |
৪ | হের্টা | ৩৪ | ১৮ | ৭ | ৯ | ৬১ | ৩৮ | +২৩ | ৬১ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৫ | শালকে | ৩৪ | ১৮ | ৭ | ৯ | ৫২ | ৩৬ | +১৬ | ৬১ | |
৬ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | ১৭ | ৫ | ১২ | ৫৪ | ৪৩ | +১১ | ৫৬ | |
৭ | কাইজারস্লাউটার্ন | ৩৪ | ১৭ | ৫ | ১২ | ৬২ | ৫৩ | +৯ | ৫৬ | ইন্টারটোটো কাপের তৃতীয় পর্বে উত্তীর্ণ |
৮ | স্টুটগার্ট | ৩৪ | ১৩ | ১১ | ১০ | ৪৭ | ৪৩ | +৪ | ৫০ | |
৯ | ১৮৬০ মিউনিখ | ৩৪ | ১৫ | ৫ | ১৪ | ৫৯ | ৫৯ | ০ | ৫০ | ইন্টারটোটো কাপের দ্বিতীয় পর্বে উত্তীর্ণ |
১০ | ভলফসবুর্গ | ৩৪ | ১৩ | ৭ | ১৪ | ৫৭ | ৪৯ | +৮ | ৪৬ | |
১১ | হামবুর্গার | ৩৪ | ১০ | ১০ | ১৪ | ৫১ | ৫৭ | −৬ | ৪০ | |
১২ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩৪ | ৯ | ১২ | ১৩ | ৪১ | ৫৩ | −১২ | ৩৯ | |
১৩ | এনার্গি কটবুস | ৩৪ | ৯ | ৮ | ১৭ | ৩৬ | ৬০ | −২৪ | ৩৫ | |
১৪ | হান্সা রস্টক | ৩৪ | ৯ | ৭ | ১৮ | ৩৫ | ৫৪ | −১৯ | ৩৪ | |
১৫ | নুর্নবার্গ | ৩৪ | ১০ | ৪ | ২০ | ৩৪ | ৫৭ | −২৩ | ৩৪ | |
১৬ | ফ্রাইবুর্গ (R) | ৩৪ | ৭ | ৯ | ১৮ | ৩৭ | ৬৪ | −২৭ | ৩০ | ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত |
১৭ | কলন (R) | ৩৪ | ৭ | ৮ | ১৯ | ২৬ | ৬১ | −৩৫ | ২৯ | |
১৮ | জাংকট পাওলি (R) | ৩৪ | ৪ | ১০ | ২০ | ৩৭ | ৭০ | −৩৩ | ২২ |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল।
(C) চ্যাম্পিয়ন; (R) অবনমিত।
ফলাফল
শীর্ষ গোলদাতা
অবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল |
---|---|---|---|
১ | মার্সিও আমোরোসো | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ১৮ |
২ | মার্টিন মাক্স | ১৮৬০ মিউনিখ | |
৩ | মাইকেল বালাক | বায়ার লেভারকুজেন | ১৭ |
৪ | জিওভানে এলবের | বায়ার্ন মিউনিখ | |
৫ | আইতোন | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ১৬ |
৬ | মিরোস্লাভ ক্লোসা | কাইজারস্লাউটার্ন | |
৭ | ক্লাউদিও পিসারো | বায়ার্ন মিউনিখ | ১৫ |
৮ | অলিভার নয়ভিল | বায়ার লেভারকুজেন | ১৩ |
৯ | মার্সেলিনিয়ো | হের্টা | |
১০ | আরিয়ে ভান লেন্ট | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ১২ |
তথ্যসূত্র
- "Bundesliga 2001/2002 » Schedule"। WorldFootball.net। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২০।
- "TSV 1860 München - 1. FC Kaiserslautern 0:4 (Bundesliga 2001/2002, 1. Round)"। worldfootball.net। ৮ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২২।
- Grüne, Hardy (২০০১)। Enzyklopädie des deutschen Ligafußballs, Band 7: Vereinslexikon (German ভাষায়)। Kassel: AGON Sportverlag। আইএসবিএন 3-89784-147-9।
বহিঃসংযোগ
- কিকার.ডিইতে ২০০১–০২ বুন্দেসলিগা (জার্মান)