১৯৯৯–২০০০ বুন্দেসলিগা

১৯৯৯–২০০০ বুন্দেসলিগা জার্মানির পেশাদার ফুটবল লীগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ৩৭তম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ১৯৯৯ সালের ১৩ই আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ২০০০ সালের ২০শে মে তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[1][2] ১৮৬০ মিউনিখের ডেনীয় রক্ষণভাগের খেলোয়াড় ক্লাউস থমসন এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[3]

বুন্দেসলিগা
মৌসুম১৯৯৯–২০০০
তারিখ১৩ আগস্ট ১৯৯৯ – ২০ মে ২০০০
চ্যাম্পিয়নবায়ার্ন মিউনিখ
১৫তম বুন্দেসলিগা শিরোপা
১৬তম জার্মান শিরোপা
উন্নীতআরমিনিয়া বিলেফেল্ড
উন্টারহাখিং
উলম
অবনমনউলম
আরমিনিয়া বিলেফেল্ড
ডুসবুর্গ
চ্যাম্পিয়নস লীগবায়ার্ন মিউনিখ
বায়ার লেভারকুজেন
হামবুর্গার
১৮৬০ মিউনিখ
উয়েফা কাপকাইজারস্লাউটার্ন
হের্টা
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন
ইন্টারটোটো কাপভলফসবুর্গ
স্টুটগার্ট
মোট খেলা৩০৬
মোট গোলসংখ্যা৮৮৫ (ম্যাচ প্রতি ২.৮৯টি)
শীর্ষ গোলদাতাজার্মানি মার্টিন মাক্স (১৯টি গোল)
সবচেয়ে বড় হোম জয়৭ ম্যাচ
সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ে জয়উলম ১–৯ লেভারকুজেন (১৮ মার্চ ২০০০)
সর্বোচ্চ স্কোরিংউলম ১–৯ লেভারকুজেন (১৮ মার্চ ২০০০)

বায়ার্ন মিউনিখ বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ১৯৯৮–৯৯ মৌসুমে ৭৮ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ১৪তম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।

এই মৌসুমে ৭৩ পয়েন্ট অর্জন করে বায়ার্ন মিউনিখ ১৫তম বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ১৬তম বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। ১৮৬০ মিউনিখের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় মার্টিন মাক্স ১৯ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।

প্রতিযোগিতার ধরন

প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য তিন পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী তিনটি ক্লাব ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত হয়েছিল।

দল

১৯৯৮–৯৯ মৌসুম শেষে নুর্নবার্গ, বোখুম এবং বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে আরমিনিয়া বিলেফেল্ড, উন্টারহাখিং এবং উলম বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।

১৯৯৯–২০০০ বুন্দেসলিগায় অংশগ্রহণকারী ক্লাবের অবস্থান
ক্লাব মাঠ[4] ধারণক্ষমতা[4]
হের্টা বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম ৭৬,০০০
আরমিনিয়া বিলেফেল্ড আলম স্টেডিয়াম ২৬,৬০০
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন ভেজার স্টেডিয়াম ৩৬,০০০
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ভেস্টফালেন স্টেডিয়াম ৬৮,৬০০
ডুসবুর্গ ভেডাউস্টাডিওন ৩০,১২৮
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট ভাল্ডস্টাডিওন ৬২,০০০
ফ্রাইবুর্গ ড্রাইসাম স্টেডিয়াম ২৫,০০০
হামবুর্গার ফক্সপার্কস্টাডিওন ৬২,০০০
কাইজারস্লাউটার্ন ফ্রিৎস ভাল্টার স্টেডিয়াম ৪১,৫০০
বায়ার লেভারকুজেন বেএরিনা ২২,৫০০
১৮৬০ মিউনিখ মিউনিখ অলিম্পিক স্টেডিয়াম ৬৩,০০০
বায়ার্ন মিউনিখ বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম ৬৩,০০০
হান্সা রস্টক অস্টসি স্টেডিয়াম ২৫,৮৫০
শালকে পার্ক স্টেডিয়াম ৭০,০০০
স্টুটগার্ট গটলিয়েব ডাইমলার স্টেডিয়াম ৫৩,৭০০
উলম ডোনাউ স্টেডিয়াম ২৩,৫০০
উন্টারহাখিং স্পোর্টপার্ক উন্টারহাখিং ১১,৩০০
ভলফসবুর্গ ভিএফএল স্টেডিয়াম আম এলস্টারভেগ ২১,৬০০

পয়েন্ট তালিকা

অব দল ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো গোপা পয়েন্ট যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন
বায়ার্ন মিউনিখ (C) ৩৪ ২২ ৭৩ ২৮ +৪৫ ৭৩ চ্যাম্পিয়নস লীগের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ
বায়ার লেভারকুজেন ৩৪ ২১ ১০ ৭৪ ৩৬ +৩৮ ৭৩
হামবুর্গার ৩৪ ১৬ ১১ ৬৩ ৩৯ +২৪ ৫৯ চ্যাম্পিয়নস লীগের তৃতীয় বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ
১৮৬০ মিউনিখ ৩৪ ১৪ ১১ ৫৫ ৪৮ +৭ ৫৩
কাইজারস্লাউটার্ন ৩৪ ১৫ ১৪ ৫৪ ৫৯ ৫০ উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ
হের্টা ৩৪ ১৩ ১১ ১০ ৩৯ ৪৬ ৫০
ভলফসবুর্গ ৩৪ ১২ ১৩ ৫১ ৫৮ ৪৯ ইন্টারটোটো কাপের তৃতীয় পর্বে উত্তীর্ণ
স্টুটগার্ট ৩৪ ১৪ ১৪ ৪৪ ৪৭ ৪৮ ইন্টারটোটো কাপের দ্বিতীয় পর্বে উত্তীর্ণ
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন ৩৪ ১৩ ১৩ ৬৫ ৫২ +১৩ ৪৭ উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ[lower-alpha 1]
১০ উন্টারহাখিং ৩৪ ১২ ১৪ ৪০ ৪২ ৪৪
১১ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ৩৪ ১৩ ১২ ৪১ ৩৮ +৩ ৪০
১২ ফ্রাইবুর্গ ৩৪ ১০ ১০ ১৪ ৪৫ ৫০ ৪০
১৩ শালকে ৩৪ ১৫ ১১ ৪২ ৪৪ ৩৯[lower-alpha 2]
১৪ আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট[lower-alpha 3] ৩৪ ১২ ১৭ ৪২ ৪৪ ৩৯[lower-alpha 2]
১৫ হান্সা রস্টক ৩৪ ১৪ ১২ ৪৪ ৬০ ১৬ ৩৮
১৬ উলম (R) ৩৪ ১৭ ৩৬ ৬২ ২৬ ৩৫ ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত
১৭ আরমিনিয়া বিলেফেল্ড (R) ৩৪ ১৮ ৪০ ৬১ ২১ ৩০
১৮ ডুসবুর্গ (R) ৩৪ ১০ ২০ ৩৭ ৭১ ৩৪ ২২
উৎস: জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল।
(C) চ্যাম্পিয়ন; (R) অবনমিত।
টীকা:
  1. ১৯৯৯–২০০০ ডিএফবি-পোকালের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগে উত্তীর্ণ হওয়ায় উয়েফা কাপে তাদের বরাদ্দকৃত স্থানটি ভেয়ার্ডার ব্রেমেনকে প্রদান করা হয়েছিল।
  2. শালকে এবং আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের মধ্যকার সমতা ভঙ্গের জন্য হেড-টু-হেড তথ্য ব্যবহার করা হয়েছিল।
  3. অনুমতিপত্রের অনিয়মের কারণে আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের দুই পয়েন্ট কর্তন করা হয়েছিল।

ফলাফল

স্বাগতিক \ সফরকারী BSC DSC SVW BVB DUI SGE SCF HSV FCK B04 M60 FCB ROS S04 VFB ULM UNT WOB
হের্টা ২–০ ১–১ ০–৩ ২–১ ১–০ ০–০ ২–১ ০–১ ০–০ ১–১ ১–১ ৫–২ ২–১ ১–১ ৩–০ ২–১ ০–০
আরমিনিয়া বিলেফেল্ড ১–১ ২–২ ০–২ ০–১ ১–১ ২–১ ৩–০ ১–২ ১–২ ২–২ ০–৩ ২–২ ১–২ ১–২ ৪–১ ১–০ ০–০
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন ৪–১ ৩–১ ৩–২ ৪–০ ৩–১ ৫–২ ২–১ ৫–০ ১–৩ ১–৩ ০–২ ২–১ ০–১ ২–১ ২–২ ২–২ ২–২
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ৪–০ ১–৩ ১–৩ ২–২ ১–০ ১–১ ০–১ ০–১ ১–১ ১–১ ০–১ ৩–০ ১–১ ১–১ ১–১ ১–৩ ২–১
ডুসবুর্গ ০–০ ০–৩ ০–১ ২–২ ২–৩ ১–২ ১–১ ২–২ ০–০ ৩–০ ১–২ ২–২ ১–১ ১–৩ ০–০ ২–০ ২–৩
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট ৪–০ ২–১ ১–০ ১–১ ২–২ ২–০ ৩–০ ০–১ ১–২ ৩–১ ১–২ ০–০ ০–২ ০–১ ২–১ ৩–০ ৪–০
ফ্রাইবুর্গ ০–১ ১–১ ২–১ ১–১ ৩–০ ২–৩ ০–২ ২–১ ০–০ ৩–০ ১–২ ৫–০ ২–১ ০–২ ২–০ ৪–৩ ১–১
হামবুর্গার ৫–১ ৫–০ ০–০ ১–১ ৬–১ ১–০ ২–০ ২–১ ০–২ ২–০ ০–০ ১–০ ৩–১ ৩–০ ১–২ ৩–০ ২–২
কাইজারস্লাউটার্ন ১–২ ০–২ ৪–৩ ১–০ ৩–২ ১–০ ০–২ ২–০ ১–৩ ১–১ ০–২ ২–২ ২–১ ১–২ ৬–২ ৪–২ ২–২
বায়ার লেভারকুজেন ৩–১ ৪–১ ৩–২ ৩–১ ৩–০ ৪–১ ১–১ ২–২ ৩–১ ১–১ ২–০ ১–১ ৩–২ ১–০ ৪–১ ২–১ ৪–১
১৮৬০ মিউনিখ ২–১ ৫–০ ১–০ ০–৩ ৪–১ ২–০ ৩–১ ০–০ ২–১ ১–২ ১–০ ৪–৩ ৩–৩ ১–১ ৪–১ ২–১ ১–২
বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ ২–১ ৩–১ ১–১ ৪–১ ৪–১ ৬–১ ২–২ ২–২ ৪–১ ১–২ ৪–১ ৪–১ ০–১ ৪–০ ১–০ ৫–০
হান্সা রস্টক ০–১ ২–১ ১–১ ১–০ ৩–১ ৩–১ ১–১ ৩–৩ ৪–২ ১–১ ০–০ ০–৩ ১–০ ১–৪ ২–১ ১–১ ১–১
শালকে ১–১ ১–১ ৩–১ ০–০ ৩–০ ০–০ ২–২ ১–৩ ১–২ ১–১ ২–২ ১–১ ০–২ ৩–০ ০–০ ১–০ ১–১
স্টুটগার্ট ১–০ ৩–৩ ০–০ ১–২ ৪–২ ০–২ ১–০ ১–৩ ০–১ ১–২ ১–৩ ২–০ ৩–১ ০–২ ২–০ ০–২ ২–৫
উলম ০–১ ২–০ ২–১ ০–১ ০–৩ ৩–০ ১–১ ১–২ ৩–১ ১–৯ ৩–০ ০–১ ১–১ ১–১ ১–১ ১–০ ২–০
উন্টারহাখিং ১–১ ২–০ ১–০ ১–০ ২–০ ১–০ ১–০ ১–১ ১–২ ২–০ ১–১ ০–২ ১–১ ৩–১ ২–০ ১–০ ১–১
ভলফসবুর্গ ২–৩ ২–০ ২–৭ ১–০ ১–০ ১–০ ২–১ ৪–৪ ৩–২ ৩–১ ২–১ ১–১ ২–০ ০–০ ০–২ ১–২ ২–২
উৎস: জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
রং: নীল = স্বাগতিক দল বিজয়ী; হলুদ = ড্র; লাল = সফরকারী দল বিজয়ী।

শীর্ষ গোলদাতা

অবস্থানখেলোয়াড়ক্লাবগোল
জার্মানি মার্টিন মাক্স১৮৬০ মিউনিখ১৯
জার্মানি উলফ কির্স্টেনবায়ার লেভারকুজেন১৭
ব্রাজিল জিওভানে এলবেরবায়ার্ন মিউনিখ১৪
ডেনমার্ক এবে সান্দশালকে
জার্মানি মার্কো বোডেভেয়ার্ডার ব্রেমেন১৩
ব্রাজিল পাউলো সের্জিওবায়ার্ন মিউনিখ
ব্রাজিল আইতোনভেয়ার্ডার ব্রেমেন১২
নাইজেরিয়া জনাথন আকপোবোরিভলফসবুর্গ
জার্মানি মাইকেল প্রিৎসহের্টা
১০তিউনিসিয়া আদিল সালিমিফ্রাইবুর্গ১১

তথ্যসূত্র

  1. "Schedule Round 1"। DFB। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
  2. "Archive 1999/2000 Round 34"। DFB। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
  3. "VfL Wolfsburg - TSV 1860 München 2:1 (Bundesliga 1999/2000, 1. Round)"worldfootball.net। ৮ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২২
  4. Grüne, Hardy (২০০১)। Enzyklopädie des deutschen Ligafußballs, Band 7: Vereinslexikon (জার্মান ভাষায়)। Kassel: AGON Sportverlag। আইএসবিএন 3-89784-147-9।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.