১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি

কারর্লসবার্গ ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ১৯৯৭ সালে মার্চ/এপ্রিল এ মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত হয়।এটি ছিল ১৯৯৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। এতে কেনিয়া এবং প্রথমবারের মত বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ড বিশ্বকাপে খেলার জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছিলো।

১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি
তত্ত্বাবধায়কআন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল
ক্রিকেটের ধরনসীমিত ওভারের ক্রিকেট
প্রতিযোগিতার ধরনরাউন্ড-রবিননক-আউট
আয়োজক মালয়েশিয়া
বিজয়ী বাংলাদেশ (১ম শিরোপা)
অংশগ্রহণকারী দলসংখ্যা১২
প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়কেনিয়া মরিস ওদুম্বে
সর্বাধিক রান সংগ্রহকারীকেনিয়া মরিস ওদুম্বে (৪৯৩)
সর্বাধিক উইকেটধারীকেনিয়া আসিফ করিম (১৯)
নেদারল্যান্ডস অসিম খান (১৯)

প্রথম রাউন্ড

প্রথম রাউন্ড ছিল গ্রুপ পর্বের, যেখানে ৬টি দল করে ২টি গ্রুপ এবং ৫টি দল করে ২টি গ্রুপ মোট ৮টি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। প্রথম রাউন্ড শেষে প্রতি গ্রুপের শীর্ষ ২টি দল দ্বিতীয় রাউন্ডে যায় এবং বাকি ১৪টি দল যায় প্লেঅফ এ চূড়ান্ত স্ট্যান্ডিং এর জন্য।

দ্বিতীয় রাউন্ড

প্রথম রাউন্ডের মত দ্বিতীয় রাউন্ডও ছিল গ্রুপ পর্বের, যেখানে ৪টি করে দল ২টি গ্রুপে খেলে। দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে দুই গ্রুপের শীর্ষ ২টি দল সেমি ফাইনালে জায়গা করে নেয়। দুই গ্রুপের ৩য় হওয়া ২টি দল যায় পঞ্চম স্থান নির্ধারনী পর্বে বাকি দুইটি দল যায় সপ্তম স্থান নির্ধারনী পর্বে।

সেমি ফাইনাল

প্রথম সেমি ফাইনাল

প্রথম সেমি ফাইনালটি হয়, আয়ারল্যান্ড এবং কেনিয়ার মধ্যে। যেখানে কেনিয়া, আয়ারল্যান্ডকে ৭ রানে পরাজিত করে।

দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল

দ্বিতীয় সেমি ফাইনালটি হয়, বাংলাদেশ এবং স্কটল্যান্ডের মধ্যে। যেখানে বাংলাদেশ, স্কটল্যান্ডকে ৭২ রানে পরাজিত করে। ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হন খালেদ মাসুদ তার ৭০ রান এবং ২টি স্ট্যাম্পিং করার জন্য।

তৃতীয় স্থান নির্ধারনী ম্যাচ

তৃতীয় স্থান নির্ধারনী ম্যাচে স্কটল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে এবং ৪৫ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৭ রান করে বৃষ্টির কারণে ৫ ওভার কমানো হয়। স্কটল্যান্ডের পক্ষে মাইক স্মিথ সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে আয়ারল্যান্ডের জন্য ১৯২ রানের লক্ষ্য নির্ধারন করা হয়। জবাবে আয়ারল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে ১৪১ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ফলে স্কটল্যান্ড ৫১ রানের জয় পায় এবং ১৯৯৯ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।

ফাইনাল

ফাইনালটি বাংলাদেশ এবং কেনিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। কেনিয়া প্রথমে ব্যাটিং করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে করে ২৪১ রান। স্টিভ টিকোলো করেন ১৪৭ রান। বৃষ্টি বিগ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের টার্গেট হয় ২৫ ওভারে ১৬৬ রান।শেষ ১ বলে দরকার পড়ে বাংলাদেশের ১ রান। ক্রিজে ছিলেন উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান খালেদ মাসুদ পাইলট আর অপর প্রান্তে পেসার হাসিবুল হোসেন শান্ত। হাসিবুল হোসেনের এক রানের সুবাদে আইসিসি ট্রফির চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। যার ফলে প্রথমবারের মত ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলার জন্য যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ।

১২,১৩ এপ্রিল
(স্কোরকার্ড)
কেনিয়া 
২৪১/৭ ৫০ ওভার
 বাংলাদেশ
১৬৬/৮ ২৫ ওভার
স্টিভ টিকোলো ১৪৭ (১৫২)
মোহাম্মদ রফিক ৩/৪০ (৬ ওভার)
আমিনুল ইসলাম ৩৭ (৩৭)
আসিফ করিম ৩/৩১ (৪ ওভার)
 বাংলাদেশ ২ উইকেটে জয়ী
তেনাগা ন্যাশনাল স্পোর্টস কমপ্লেক্স, কুয়ালামপুর
আম্পায়ার: ডিবি হেয়ার এবং এস ভেঙ্কাটারাঘবন
ম্যাচসেরা: স্টিভ টিকোলো (কেনিয়া)

চূড়ান্ত অবস্থান

টুর্নামেন্ট শেষে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর অবস্থান ছিল:

  1.  বাংলাদেশ
  2.  কেনিয়া
  3.  স্কটল্যান্ড
  4.  আয়ারল্যান্ড
  5.  ডেনমার্ক
  6.  নেদারল্যান্ডস
  7.  কানাডা
  8.  হংকং
  9.  বারমুডা
  10.  সংযুক্ত আরব আমিরাত
  11.  ফিজি
  12.  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
  13.  পাপুয়া নিউগিনি
  14.  সিঙ্গাপুর
  15.  নামিবিয়া
  16.  মালয়েশিয়া
  17.  পূর্ব ও মধ্য আফ্রিকা
  18.  পশ্চিম আফ্রিকা
  19.  জিব্রাল্টার
  20.  আর্জেন্টিনা
  21.  ইসরায়েল/ ইতালি

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

    ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি

    This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.