১৯৯১–৯২ বুন্দেসলিগা
১৯৯১–৯২ বুন্দেসলিগা জার্মানির পেশাদার ফুটবল লীগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ২৯তম মৌসুম ছিল। ১৯৯০ সালের ৩রা অক্টোবর তারিখে জার্মান পুনঃএকত্রীকরণের পর এটি পূর্ব জার্মানির ক্লাবগুলো অংশগ্রহণে বুন্দেসলিগার প্রথম মৌসুম ছিল।[1] এই মৌসুমটি ১৯৯১ সালের ২রা আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ১৯৯২ সালের ১৬ই মে তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[2][3] ডুসবুর্গের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় মাইকেল টোনিস এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[4]
মৌসুম | ১৯৯১–৯২ |
---|---|
তারিখ | ২ আগস্ট ১৯৯১ – ১৬ মে ১৯৯২ |
চ্যাম্পিয়ন | স্টুটগার্ট ২য় বুন্দেসলিগা শিরোপা ৪র্থ জার্মান শিরোপা |
অবনমন | স্টুটগার্টার কিকার্স হান্সা রস্টক ডুসবুর্গ ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ |
চ্যাম্পিয়নস লীগ | স্টুটগার্ট |
উয়েফা কাপ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট কলন কাইজারস্লাউটার্ন |
মোট খেলা | ৩০৬ |
মোট গোলসংখ্যা | ৯৬৮ (ম্যাচ প্রতি ৩.১৬টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | ফ্রিৎস ভাল্টার (২২টি গোল) |
সবচেয়ে বড় হোম জয় | ৫টি ম্যাচ) |
সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ে জয় | বোখুম ০–৫ বায়ার্ন মিউনিখ (২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২) |
সর্বোচ্চ স্কোরিং | ডুসবুর্গ ৩–৬ ফ্রাঙ্কফুর্ট (১ নভেম্বর ১৯৯১) |
← ১৯৯০–৯১ ১৯৯২–৯৩ → |
কাইজারস্লাউটার্ন বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ১৯৯০–৯১ মৌসুমে ৪৮ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ১ম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৫২ পয়েন্ট অর্জন করে স্টুটগার্ট ২য় বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ৪র্থ বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। স্টুটগার্টের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় ফ্রিৎস ভাল্টার ২২ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিযোগিতার ধরন
প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য দুই পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী চারটি ক্লাব ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত হয়েছিল।
দল
১৯৯০–৯১ মৌসুম শেষে বায়ার ০৫ উরডিঙ্গেন এবং হের্টা মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে শালকে এবং ডুসবুর্গ বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাব হিসেবে জাংকট পাওলি ২. বুন্দেসলিগায় তৃতীয় স্থান অধিকারী ক্লাব স্টুটগার্টার কিকার্সের বিরুদ্ধে দুই লেগের অবনমন/উন্নয়ন প্লে-অফে অংশগ্রহণ করেছিল, উক্ত প্লে-অফে জয়লাভ করে স্টুটগার্টার কিকার্স বুন্দেসলিগার এই মৌসুমে অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের বিপরীতে এই মৌসুমে জার্মান পুনঃএকত্রীকরণের ফলে পূর্ব জার্মানির ওবারলিগার ২টি ক্লাব (হান্সা রস্টক এবং ডিনামো ড্রেসডেন) সংযুক্ত করার কারণে এই প্রতিযোগিতাটি ২০ ক্লাবে সম্প্রসারণ করা হয়েছিল।
ক্লাব | অবস্থান | মাঠ[5] | ধারণক্ষমতা[5] |
---|---|---|---|
বোখুম | বোখুম | রুর স্টেডিয়াম | ৪০,০০০ |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৩২,০০০ |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ডর্টমুন্ড | ভেস্টফালেন স্টেডিয়াম | ৫২,৬১৬ |
ডিনামো ড্রেসডেন | ড্রেসডেন | রুডলফ হার্বিগ স্টেডিয়াম | ৩০,০০০ |
ডুসবুর্গ | ডুসবুর্গ | ভেডাউস্টাডিওন | ৩১,৫০০ |
ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ | ডুসেলডর্ফ | রাইন স্টেডিয়াম | ৫৯,৬০০ |
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ফ্রাঙ্কফুর্ট | ভাল্ডস্টাডিওন | ৬২,০০০ |
হামবুর্গার | হামবুর্গ | ফক্সপার্কস্টাডিওন | ৬২,০০০ |
কাইজারস্লাউটার্ন | কাইজারস্লাউটার্ন | ফ্রিৎস ভাল্টার স্টেডিয়াম | ৩৮,৫০০ |
কার্লস্রুহার | কার্লস্রুহে | ভিল্ডপার্কস্টাডিওন | ৫০,০০০ |
কলন | কোলন | মুঙ্গার্সডর্ফার স্টেডিয়াম | ৫৫,০০০ |
বায়ার লেভারকুজেন | লেভারকুজেন | উলরিখ হাবারলান্ড স্টেডিয়াম | ২৭,৮০০ |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | মনশেনগ্লাডবাখ | বোকেলবার্গস্টাডিওন | ৩৪,৫০০ |
বায়ার্ন মিউনিখ | মিউনিখ | মিউনিখ অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৭০,০০০ |
নুর্নবার্গ | নুরেমবার্গ | ফ্রাঙ্কেন স্টেডিয়াম | ৫৫,০০০ |
হান্সা রস্টক | রস্টক | অস্টসি স্টেডিয়াম | ২৫,০০০ |
শালকে | গেলজেনকির্খেন | পার্ক স্টেডিয়াম | ৭০,০০০ |
স্টুটগার্টার কিকার্স | স্টুটগার্ট | নেকার স্টেডিয়াম | ৬৮,০০০ |
স্টুটগার্ট | স্টুটগার্ট | নেকার স্টেডিয়াম | ৬৮,০০০ |
ভাটেনশাইড | ভাটেনশাইড | লোরহাইডে স্টেডিয়াম | ১৫,০০০ |
পয়েন্ট তালিকা
অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | স্টুটগার্ট (C) | ৩৮ | ২১ | ১০ | ৭ | ৬২ | ৩২ | +৩০ | ৫২ | চ্যাম্পিয়নস লীগের প্রথম পর্বের উত্তীর্ণ |
২ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৩৮ | ২০ | ১২ | ৬ | ৬৬ | ৪৭ | +১৯ | ৫২ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৩ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ৩৮ | ১৮ | ১৪ | ৬ | ৭৬ | ৪১ | +৩৫ | ৫০ | |
৪ | কলন | ৩৮ | ১৩ | ১৮ | ৭ | ৫৮ | ৪১ | +১৭ | ৪৪ | |
৫ | কাইজারস্লাউটার্ন | ৩৮ | ১৭ | ১০ | ১১ | ৫৮ | ৪২ | +১৬ | ৪৪ | |
৬ | বায়ার লেভারকুজেন | ৩৮ | ১৫ | ১৩ | ১০ | ৫৩ | ৩৯ | +১৪ | ৪৩ | |
৭ | নুর্নবার্গ | ৩৮ | ১৮ | ৭ | ১৩ | ৫৪ | ৫১ | +৩ | ৪৩ | |
৮ | কার্লস্রুহার | ৩৮ | ১৬ | ৯ | ১৩ | ৪৮ | ৫০ | −২ | ৪১ | |
৯ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৮ | ১১ | ১৬ | ১১ | ৪৪ | ৪৫ | −১ | ৩৮ | কাপ উইনার্স কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
১০ | বায়ার্ন মিউনিখ | ৩৮ | ১৩ | ১০ | ১৫ | ৫৯ | ৬১ | −২ | ৩৬ | |
১১ | শালকে | ৩৮ | ১১ | ১২ | ১৫ | ৪৫ | ৪৫ | ০ | ৩৪ | |
১২ | হামবুর্গার | ৩৮ | ৯ | ১৬ | ১৩ | ৩২ | ৪৩ | −১১ | ৩৪ | |
১৩ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩৮ | ১০ | ১৪ | ১৪ | ৩৭ | ৪৯ | −১২ | ৩৪ | |
১৪ | ডিনামো ড্রেসডেন | ৩৮ | ১২ | ১০ | ১৬ | ৩৪ | ৫০ | −১৬ | ৩৪ | |
১৫ | বোখুম | ৩৮ | ১০ | ১৩ | ১৫ | ৩৮ | ৫৫ | −১৭ | ৩৩ | |
১৬ | ভাটেনশাইড | ৩৮ | ৯ | ১৪ | ১৫ | ৫০ | ৬০ | −১০ | ৩২ | |
১৭ | স্টুটগার্টার কিকার্স (R) | ৩৮ | ১০ | ১১ | ১৭ | ৫৩ | ৬৪ | −১১ | ৩১ | ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত |
১৮ | হান্সা রস্টক (R) | ৩৮ | ১০ | ১১ | ১৭ | ৪৩ | ৫৫ | −১২ | ৩১ | |
১৯ | ডুসবুর্গ (R) | ৩৮ | ৭ | ১৬ | ১৫ | ৪৩ | ৫৫ | −১২ | ৩০ | |
২০ | ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ (R) | ৩৮ | ৬ | ১২ | ২০ | ৪১ | ৬৯ | −২৮ | ২৪ |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল।
১৯৯২–৯৩ মৌসুমে এই প্রতিযোগিতাটি পুনরায় ১৮টি ক্লাবের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হয়েছিল।
(C) চ্যাম্পিয়ন; (R) অবনমিত।
ফলাফল
শীর্ষ গোলদাতা
অবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল |
---|---|---|---|
১ | ফ্রিৎস ভাল্টার | স্টুটগার্ট | ২২ |
২ | স্তেফান শাপুইজা | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ২০ |
৩ | রোলান্ড ভলফার্ট | বায়ার্ন মিউনিখ | ১৭ |
৪ | অঁতোনি ইয়েবোয়া | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ১৫ |
৫ | লটার সিপেল | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ১৪ |
৬ | মার্কুস মারিন | স্টুটগার্টার কিকার্স | ১৩ |
৭ | মাইকেল স্পিস | হান্সা রস্টক | |
৮ | মাইকেল টোনিস | ডুসবুর্গ | |
৯ | আন্ড্রেয়াস মোলার | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ১২ |
১০ | দিমিত্রিওস মুতাস | স্টুটগার্টার কিকার্স |
তথ্যসূত্র
- "The 1990s: Unity restored, television and Dortmund in the ascendant"। bundesliga.de। ২ জুন ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১১।
- "Schedule Round 1"। DFB। ৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "Archive 1991/1992 Round 38"। DFB। ৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "MSV Duisburg - VfB Stuttgart 1:0 (Bundesliga 1991/1992, 1. Round)"। worldfootball.net। ৭ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০২২।
- Grüne, Hardy (২০০১)। Enzyklopädie des deutschen Ligafußballs, Band 7: Vereinslexikon (জার্মান ভাষায়)। Kassel: AGON Sportverlag। আইএসবিএন 3-89784-147-9।
বহিঃসংযোগ
- ডিএফবি আর্কাইভে ১৯৯১–৯২ বুন্দেসলিগা (জার্মান)