১৯৭৮–৭৯ বুন্দেসলিগা
১৯৭৮–৭৯ বুন্দেসলিগা পশ্চিম জার্মানির পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ১৬তম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ১৯৭৮ সালের ১১ই আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ১৯৭৯ সালের ৯ই জুন তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[1][2] ডুসবুর্গের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় রোনাল্ড ভর্ম এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[3]
| মৌসুম | ১৯৭৮–৭৯ |
|---|---|
| তারিখ | ১১ আগস্ট ১৯৭৮ – ৯ জুন ১৯৭৯ |
| চ্যাম্পিয়ন | হামবুর্গার ১ম বুন্দেসলিগা শিরোপা ৪র্থ জার্মান শিরোপা |
| অবনমন | আরমিনিয়া বিলেফেল্ড নুর্নবার্গ ডার্মস্টাট |
| ইউরোপীয় কাপ | হামবুর্গার |
| কাপ উইনার্স কাপ | ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ |
| উয়েফা কাপ | স্টুটগার্ট কাইজারস্লাউটার্ন বায়ার্ন মিউনিখ আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ (চ্যাম্পিয়ন) |
| মোট খেলা | ৩০৬ |
| মোট গোলসংখ্যা | ৯৪৬ (ম্যাচ প্রতি ৩.০৯টি) |
| শীর্ষ গোলদাতা |  ক্লাউস আলোফস (২২টি গোল) |
| সবচেয়ে বড় হোম জয় | ডুসেলডর্ফ ৭–১ বায়ার্ন মিউনিখ (৯ ডিসেম্বর ১৯৭৮) |
| সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ে জয় | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ১–৭ বায়ার্ন মিউনিখ (২৪ মার্চ ১৯৭৯) ডার্মস্টাট ১–৭ স্টুটগার্ট (৯ জুন ১৯৭৯) |
| সর্বোচ্চ স্কোরিং | ৭ ম্যাচে ৮টি গোল করে |
← ১৯৭৭–৭৮ ১৯৭৯–৮০ → | |
কলন বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ১৯৭৭–৭৮ মৌসুমে ৪৮ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ২য় বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৪৯ পয়েন্ট অর্জন করে হামবুর্গার ১ম বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ৪র্থ বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। ফর্টুনা ডুসেলডর্ফের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় ক্লাউস আলোফস ২২ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিযোগিতার ধরন
প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য দুই পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী তিনটি ক্লাব ২. বুন্দেসলিগার বিভিন্ন বিভাগে অবনমিত হয়েছিল।
দল
১৯৭৭–৭৮ মৌসুম শেষে ১৮৬০ মিউনিখ, জারব্রুকেন এবং জাংকট পাওলি মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে আরমিনিয়া বিলেফেল্ড, ডার্মস্টাট এবং নুর্নবার্গ বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
| ক্লাব | মাঠ[4] | ধারণক্ষমতা[4] |
|---|---|---|
| হের্টা | বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ১,০০,০০০ |
| আরমিনিয়া বিলেফেল্ড | আলম স্টেডিয়াম | ৩৫,০০০ |
| বোখুম | রুর স্টেডিয়াম | ৪০,০০০ |
| আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ | আইন্ট্রাখট স্টেডিয়াম | ৩৮,০০০ |
| ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৩২,০০০ |
| ডার্মস্টাট | বোলেনফাল্টর স্টেডিয়াম | ৩০,০০০ |
| বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ভেস্টফালেন স্টেডিয়াম | ৫৪,০০০ |
| ডুসবুর্গ | ভেডাউস্টাডিওন | ৩৮,৫০০ |
| ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ | রাইন স্টেডিয়াম | ৫৯,৬০০ |
| আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ভাল্ডস্টাডিওন | ৬২,০০০ |
| হামবুর্গার | ফক্সপার্কস্টাডিওন | ৮০,০০০ |
| কাইজারস্লাউটার্ন | বেৎসেনবার্গ স্টেডিয়াম | ৪২,০০০ |
| কলন | মুঙ্গার্সডর্ফার স্টেডিয়াম | ৬১,০০০ |
| বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | বোকেলবার্গস্টাডিওন | ৩৪,৫০০ |
| বায়ার্ন মিউনিখ | মিউনিখ অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৮০,০০০ |
| নুর্নবার্গ | স্টাটিশেস স্টেডিয়াম | ৬৪,২৩৮ |
| শালকে | পার্ক স্টেডিয়াম | ৭০,০০০ |
| স্টুটগার্ট | নেকার স্টেডিয়াম | ৭২,০০০ |
পয়েন্ট তালিকা
| অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| ১ | হামবুর্গার (C) | ৩৪ | ২১ | ৭ | ৬ | ৭৮ | ৩২ | +৪৬ | ৪৯ | ইউরোপীয় কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
| ২ | স্টুটগার্ট | ৩৪ | ২০ | ৮ | ৬ | ৭৩ | ৩৪ | +৩৯ | ৪৮ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ[lower-alpha 1] |
| ৩ | কাইজারস্লাউটার্ন | ৩৪ | ১৬ | ১১ | ৭ | ৬২ | ৪৭ | +১৫ | ৪৩ | |
| ৪ | বায়ার্ন মিউনিখ | ৩৪ | ১৬ | ৮ | ১০ | ৬৯ | ৪৬ | +২৩ | ৪০ | |
| ৫ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ৩৪ | ১৬ | ৭ | ১১ | ৫০ | ৪৯ | +১ | ৩৯ | |
| ৬ | কলন | ৩৪ | ১৩ | ১২ | ৯ | ৫৫ | ৪৭ | +৮ | ৩৮ | |
| ৭ | ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ | ৩৪ | ১৩ | ১১ | ১০ | ৭০ | ৫৯ | +১১ | ৩৭ | কাপ উইনার্স কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
| ৮ | বোখুম | ৩৪ | ১০ | ১৩ | ১১ | ৪৭ | ৪৬ | +১ | ৩৩ | |
| ৯ | আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ | ৩৪ | ১০ | ১৩ | ১১ | ৫০ | ৫৫ | −৫ | ৩৩ | |
| ১০ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩৪ | ১২ | ৮ | ১৪ | ৫০ | ৫৩ | −৩ | ৩২ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ[lower-alpha 1] |
| ১১ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | ১০ | ১১ | ১৩ | ৪৮ | ৬০ | −১২ | ৩১ | |
| ১২ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৩৪ | ১০ | ১১ | ১৩ | ৫৪ | ৭০ | −১৬ | ৩১ | |
| ১৩ | ডুসবুর্গ | ৩৪ | ১২ | ৬ | ১৬ | ৪৩ | ৫৬ | −১৩ | ৩০ | |
| ১৪ | হের্টা | ৩৪ | ৯ | ১১ | ১৪ | ৪০ | ৫০ | −১০ | ২৯ | |
| ১৫ | শালকে | ৩৪ | ৯ | ১০ | ১৫ | ৫৫ | ৬১ | −৬ | ২৮ | |
| ১৬ | আরমিনিয়া বিলেফেল্ড (R) | ৩৪ | ৯ | ৮ | ১৭ | ৪৩ | ৫৬ | −১৩ | ২৬ | ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত |
| ১৭ | নুর্নবার্গ (R) | ৩৪ | ৮ | ৮ | ১৮ | ৩৬ | ৬৭ | −৩১ | ২৪ | |
| ১৮ | ডার্মস্টাট (R) | ৩৪ | ৭ | ৭ | ২০ | ৪০ | ৭৫ | −৩৫ | ২১ |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল।
(C) চ্যাম্পিয়ন; (R) অবনমিত।
টীকা:
- বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ১৯৭৮–৭৯ উয়েফা কাপ জয়লাভ করায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে উত্তীর্ণ হয়েছিল।
ফলাফল
শীর্ষ গোলদাতা
| অবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল |
|---|---|---|---|
| ১ | ক্লাউস আলোফস | ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ | ২২ |
| ২ | ক্লাউস ফিশার | শালকে | ২১ |
| ৩ | রুডিগার আব্রামচিক | শালকে | ১৮ |
| ৪ |  কেভিন কিগান | হামবুর্গার | ১৭ |
| ৫ | ক্লাউস টপমোলার | কাইজারস্লাউটার্ন | |
| ৬ | ডিটার হোনেস | স্টুটগার্ট | ১৭ |
| ৭ | হারাল্ড নিকেল | আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ | |
| ৮ | মানফ্রেড বুর্গসমুলার | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ১৫ |
| ৯ | কার্ল-হাইন্ৎস রুমেনিগে | বায়ার্ন মিউনিখ | ১৪ |
| ১০ | গেওর্গ ভোলকার্ট | স্টুটগার্ট |
তথ্যসূত্র
- "Schedule Round 1"। DFB।
- "Archive 1978/1979 Round 34"। DFB।
- "MSV Duisburg - Arminia Bielefeld 1:1 (Bundesliga 1978/1979, 1. Round)"। worldfootball.net। ৬ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০২২।
- Grüne, Hardy (২০০১)। Enzyklopädie des deutschen Ligafußballs, Band 7: Vereinslexikon (German ভাষায়)। Kassel: AGON Sportverlag। আইএসবিএন 3-89784-147-9।
বহিঃসংযোগ
- ডিএফবি আর্কাইভে ১৯৭৮–৭৯ বুন্দেসলিগা (জার্মান)
| ২০২২–২৩ মৌসুম | |
|---|---|
| সাবেক ক্লাব |
|
| ইতিহাস |
|
| প্রতিযোগিতা |
|
| পরিসংখ্যান ও তালিকা |
|
| মৌসুম |
|
| |
