১৯৭৩–৭৪ বুন্দেসলিগা
১৯৭৩–৭৪ বুন্দেসলিগা পশ্চিম জার্মানির পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ১১তম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ১৯৭৩ সালের ১১ই আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ১৯৭৪ সালের ১৮ই মে তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[1][2] বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হর্স্ট কোপেল এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[3]
মৌসুম | ১৯৭৩–৭৪ |
---|---|
তারিখ | ১১ আগস্ট ১৯৭৩ – ১৮ মে ১৯৭৪ |
চ্যাম্পিয়ন | বায়ার্ন মিউনিখ ৪র্থ বুন্দেসলিগা শিরোপা ৫ম জার্মান শিরোপা |
অবনমন | ফর্টুনা কলন হানোফার ৯৬ |
ইউরোপীয় কাপ | বায়ার্ন মিউনিখ |
কাপ উইনার্স কাপ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট |
উয়েফা কাপ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ কলন হামবুর্গার |
মোট খেলা | ৩০৬ |
মোট গোলসংখ্যা | ১০৬৯ (ম্যাচ প্রতি ৩.৪৯টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | ইয়ুপ হাইনকেস গের্ড মুলার (৩০টি গোল) |
সবচেয়ে বড় হোম জয় | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ৭–১ ভুপারটাল (২৬ জানুয়ারি ১৯৭৪) বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ৬–০ শালকে (১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩) ফ্রাঙ্কফুর্ট ৬–০ এসেন (৩০ মার্চ ১৯৭৪) |
সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ে জয় | হামবুর্গার ০–৫ বায়ার্ন মিউনিখ (৪ মে ১৯৭৪) |
সর্বোচ্চ স্কোরিং | কাইজারস্লাউটার্ন ৭–৪ বায়ার্ন মিউনিখ (২০ অক্টোবর ১৯৭৩) |
← ১৯৭২–৭৩ ১৯৭৪–৭৫ → |
বায়ার্ন মিউনিখ বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ১৯৭২–৭৩ মৌসুমে ৫৪ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ৩য় বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৪৯ পয়েন্ট অর্জন করে বায়ার্ন মিউনিখ টানা তৃতীয়, সর্বমোট ৪র্থ বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ৫ম বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় ইয়ুপ হাইনকেস এবং বায়ার্ন মিউনিখের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় গের্ড মুলার ৩০ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিযোগিতার ধরন
প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য দুই পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী দুটি ক্লাব ২. বুন্দেসলিগার বিভিন্ন বিভাগে অবনমিত হয়েছিল।
দল
১৯৭২–৭৩ মৌসুম শেষে আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ এবং রট-ভাইস ওবারহাউজেন মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে ফর্টুনা কলন এবং রট-ভাইস এসেন বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
ক্লাব | মাঠ[4] | ধারণক্ষমতা[4] |
---|---|---|
হের্টা | বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ১,০০,০০০ |
বোখুম | রুর স্টেডিয়াম | ৪০,০০০ |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৩২,০০০ |
ডুসবুর্গ | ভেডাউস্টাডিওন | ৩৮,৫০০ |
ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ | রাইন স্টেডিয়াম | ৫৯,৬০০ |
রট-ভাইস এসেন | গেওর্গ মেলশেস স্টেডিয়াম | ৪০,০০০ |
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ভাল্ডস্টাডিওন | ৮৭,০০০ |
হামবুর্গার | ফক্সপার্কস্টাডিওন | ৮০,০০০ |
হানোফার ৯৬ | নিডারজারকসেন স্টেডিয়াম | ৮৬,০০০ |
কাইজারস্লাউটার্ন | বেৎসেনবার্গ স্টেডিয়াম | ৪২,০০০ |
কলন | রাডরেনবান মুঙ্গার্সডর্ফ | ২৯,০০০ |
ফর্টুনা কলন | রাডরেনবান মুঙ্গার্সডর্ফ | ২৯,০০০ |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | বোকেলবার্গস্টাডিওন | ৩৪,৫০০ |
বায়ার্ন মিউনিখ | মিউনিখ অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৭০,০০০ |
কিকার্স অফেনবাখ | বিবারার বার্গ স্টেডিয়াম | ৩০,০০০ |
শালকে | পার্ক স্টেডিয়াম | ৭০,০০০ |
স্টুটগার্ট | নেকার স্টেডিয়াম | ৫৩,০০০ |
ভুপারটাল | স্টাডিওন আম জু | ২৮,০০০ |
পয়েন্ট তালিকা
অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | বায়ার্ন মিউনিখ (C) | ৩৪ | ২০ | ৯ | ৫ | ৯৫ | ৫৩ | +৪২ | ৪৯ | ইউরোপীয় কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩৪ | ২১ | ৬ | ৭ | ৯৩ | ৫২ | +৪১ | ৪৮ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৩ | ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ | ৩৪ | ১৬ | ৯ | ৯ | ৬১ | ৪৭ | +১৪ | ৪১ | |
৪ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ৩৪ | ১৫ | ১১ | ৮ | ৬৩ | ৫০ | +১৩ | ৪১ | কাপ উইনার্স কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৫ | কলন | ৩৪ | ১৬ | ৭ | ১১ | ৬৯ | ৫৬ | +১৩ | ৩৯ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৬ | কাইজারস্লাউটার্ন | ৩৪ | ১৫ | ৮ | ১১ | ৮০ | ৬৯ | +১১ | ৩৮ | |
৭ | শালকে | ৩৪ | ১৬ | ৫ | ১৩ | ৭২ | ৬৮ | +৪ | ৩৭ | |
৮ | হের্টা | ৩৪ | ১১ | ১১ | ১২ | ৫৬ | ৬০ | −৪ | ৩৩ | |
৯ | স্টুটগার্ট | ৩৪ | ১২ | ৭ | ১৫ | ৫৮ | ৫৭ | +১ | ৩১ | |
১০ | কিকার্স অফেনবাখ | ৩৪ | ১১ | ৯ | ১৪ | ৫৬ | ৬২ | −৬ | ৩১ | |
১১ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | ৯ | ১৩ | ১২ | ৪৮ | ৫৬ | −৮ | ৩১ | |
১২ | হামবুর্গার | ৩৪ | ১৩ | ৫ | ১৬ | ৫৩ | ৬২ | −৯ | ৩১ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ[lower-alpha 1] |
১৩ | রট-ভাইস এসেন | ৩৪ | ১০ | ১১ | ১৩ | ৫৬ | ৭০ | −১৪ | ৩১ | |
১৪ | বোখুম | ৩৪ | ৯ | ১২ | ১৩ | ৪৫ | ৫৭ | −১২ | ৩০ | |
১৫ | ডুসবুর্গ | ৩৪ | ১১ | ৭ | ১৬ | ৪২ | ৫৬ | −১৪ | ২৯ | |
১৬ | ভুপারটাল | ৩৪ | ৮ | ৯ | ১৭ | ৪২ | ৬৫ | −২৩ | ২৫ | |
১৭ | ফর্টুনা কলন (R) | ৩৪ | ৮ | ৯ | ১৭ | ৪৬ | ৭৯ | −৩৩ | ২৫ | ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত |
১৮ | হানোফার ৯৬ (R) | ৩৪ | ৬ | ১০ | ১৮ | ৫০ | ৬৬ | −১৬ | ২২ |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল।
(C) চ্যাম্পিয়ন; (R) অবনমিত।
টীকা:
- আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট কাপ উইনার্স কাপের জন্য উত্তীর্ণ হওয়ায় উয়েফা কাপে তাদের বরাদ্দকৃত স্থানটি ১৯৭৩–৭৪ ডিএফবি-পোকালের রানার-আপ হামবুর্গারকে প্রদান করা হয়েছিল।
ফলাফল
শীর্ষ গোলদাতা
অবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল |
---|---|---|---|
১ | ইয়ুপ হাইনকেস | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩০ |
২ | গের্ড মুলার | বায়ার্ন মিউনিখ | |
৩ | ক্লাউস ফিশার | শালকে | ২১ |
৪ | ক্লাউস টপমোলার | কাইজারস্লাউটার্ন | |
৫ | রোলান্দ সান্দবার্গ | কাইজারস্লাউটার্ন | ১৯ |
৬ | উলি হোনেস | বায়ার্ন মিউনিখ | ১৮ |
৭ | হারমান ওলিখার | স্টুটগার্ট | ১৭ |
৮ | ডিটার মুলার | কলন | |
৯ | ইয়োহানেস লোহর | কলন | ১৬ |
১০ | গুন্টার প্রোপার | ভুপারটাল |
তথ্যসূত্র
- "Schedule Round 1"। DFB। ৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "Archive 1972/1973 Round 34"। DFB। ৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "Fortuna Köln 3:1 (Bundesliga 1973/1974, 1. Round)"। worldfootball.net। ৫ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০২২।
- Grüne, Hardy (২০০১)। Enzyklopädie des deutschen Ligafußballs, Band 7: Vereinslexikon (জার্মান ভাষায়)। Kassel: AGON Sportverlag। আইএসবিএন 3-89784-147-9।
বহিঃসংযোগ
- ডিএফবি আর্কাইভে ১৯৭৩–৭৪ বুন্দেসলিগা (জার্মান)