১৯৪৮ অ্যাশেজ সিরিজ

১৯৪৮ অ্যাশেজ সিরিজ (ইংরেজি: 1948 Ashes series) দীর্ঘদিনের ক্রিকেটীয় প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডঅস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১০ জুন, ১৯৪৮ তারিখ থেকে শুরু হওয়া টেস্ট সিরিজে উভয় দল পাঁচ টেস্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে কোন টেস্টেই অস্ট্রেলিয়া পরাজিত হয়নি ও দৃশ্যতঃ শক্তিশালী দল ছিল। দলটির অধিনায়ক ডন ব্র্যাডম্যান প্রকাশ্যে এ সফরেও তাদের অপরাজিত থাকার কথা ঘোষণা করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ১২টি গুরুত্বপূর্ণ খেলার ১০টিতে জয় পায়। তন্মধ্যে, আটটিতেই ইনিংসের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল। অধিকন্তু, ইংল্যান্ড দলে লেন হাটন, ডেনিস কম্পটনঅ্যালেক বেডসারের ন্যায় বেশ কয়েকজন প্রতিভাধর খেলোয়াড়ের উপস্থিতি ছিল। তাস্বত্ত্বেও সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ৪-০ ব্যবধানে জয় পায়, তৃতীয় টেস্টটি ড্রয়ে পরিণত হয়। ফলশ্রুতিতে তারা অ্যাশেজ নিজেদের অনুকূলে রাখে। পুরো সফরেই অস্ট্রেলীয়রা অপরাজিত অবস্থায় থাকে ও অপরাজিত বা অজেয় দলরূপে আখ্যায়িত হয়।

১৯৪৮ অ্যাশেজ সিরিজ
১৯৪৮ অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের ইংল্যান্ড সফর-এর অংশ
অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান
তারিখ১০ জুন, ১৯৪৮ - ১৮ আগস্ট, ১৯৪৮
অবস্থানইংল্যান্ড
ফলাফলঅস্ট্রেলিয়া ৫-টেস্টের সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে বিজয়ী
দলসমূহ
ইংল্যান্ড ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়া
অধিনায়কবৃন্দ
এনডব্লিউ ইয়ার্ডলি ডিজি ব্র্যাডম্যান
সর্বাধিক রান
ডিসিএস কম্পটন ৫৬২ এআর মরিস ৬৯৬
ডিজি ব্র্যাডম্যান ৫০৮
সর্বাধিক উইকেট
এভি বেডসার ১৮ আরআর লিন্ডওয়াল ২৭
ডব্লিউএ জনস্টন ২৭

প্রথম টেস্টেই সিরিজে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের অস্ট্রেলীয় পেস বোলারদের বিপক্ষে সংঘাতময় অবস্থার কথা জানান দেয় এবং লেগ তত্ত্বের বিপক্ষে অস্ট্রেলীয়দের দুঃশ্চিন্তা ও পরবর্তীকালে তা পরাজিত করার প্রচেষ্টার সূত্রপাত ঘটে। অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানেরা বিশেষ করে ব্র্যাডম্যান স্বয়ং ইংরেজ বোলারদেরকে চেপে ধরেন। তাস্বত্ত্বেও মাঝে-মধ্যে তাদের ব্যাটসম্যানেরাও দূর্দশার কবলে পড়েছেন বিশেষ করে বৃষ্টিবিঘ্নিত তৃতীয় টেস্টে ড্রয়ের দিকে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। এ সিরিজে একগুচ্ছ উল্লেখযোগ্য ক্রিকেটীয় অর্জন হয়েছে। তন্মধ্যে, ব্র্যাডম্যান-আর্থার মরিসের মধ্যকার ৩০১ রানের জুটি, চতুর্থ টেস্টে অনেকগুলো ক্যাচ ধরতে না পারা ও স্ট্যাম্পিং করতে না পারা, পঞ্চম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরাট ব্যবধানে জয় ও ইংল্যান্ডের অর্ধেক দিনেই ৫২ রানে অল-আউট হওয়া অন্যতম ঘটনা ছিল। অস্ট্রেলিয়া ৩৮৯ রান তুললেও ব্র্যাডম্যান তার চূড়ান্ত ইনিংসে শূন্য রানে বিদায় নিয়ে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেন। তারপর ইংল্যান্ড দল ১৮৮ রানে আউট হলে তিনদিনেরও কম সময়ের মধ্যে ইনিংস ও ১৪৯ রানের ব্যবধানে পরাজিত হয়।

দলীয় সদস্য

 ইংল্যান্ড  অস্ট্রেলিয়া

খেলার বিবরণ

প্রথম টেস্ট, ১০-১৫ জুন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে অস্ট্রেলিয়া ১১ টেস্টে অংশ নেয় ও সবগুলোক্ষেত্রেই অপরাজিত অবস্থায় থাকে। ১৯৪৬ সালের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ইনিংসে ব্যবধানে পরাজিত করে। পরবর্তীতে ১৯৪৬-৪৭ মৌসুমে পাঁচ-টেস্টে গড়া সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ এবং এরপরের মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে ৪-০ ব্যবধানে জয় পায়।[1] ইংল্যান্ড সফরের পূর্বেই অস্ট্রেলিয়া দলকে সত্যিকার অর্থেই শক্তিশালী দলরূপে বিবেচনা করা হচ্ছিল। ব্র্যাডম্যান পাঁচ-মাসের সফরে তার অসম্ভব অর্জন হিসেবে অপরাজিত থাকার কথা জনসমক্ষে ঘোষণা করেন।[2] প্রথম টেস্টের পূর্বে অস্ট্রেলিয়া দল ১২টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে দশটিতে জয় পায় ও দুইটিতে ড্র করে।[3] জয়ী হওয়া আটটি খেলায় তারা ইনিংস ব্যবধানে ও অপর একটিতে আট উইকেটে বিজয়ী হয়।[3] ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে ড্র হওয়া একটি খেলার প্রথম-দিনের পুরো সময়ই বৃষ্টির কবলে পড়ে। [4]

শুরুতে ধারণা করা হয়েছিল যে, ব্র্যাডম্যান রিংকে খেলাবেন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে প্রথম টেস্টের প্রথম সকালে তিনি মন পরিবর্তন করেন। তার পরিবর্তে জনস্টনকে ভেজা উইকেটে নামানো হয়।[5] ইয়ার্ডলি টসে জয় পেয়ে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন।[6][7] কটিবাতে আক্রান্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে খেলা শুরুর পূর্বেই ইংল্যান্ড দল তাদের লেগ স্পিনার রাইটকে হারায়। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই সিরিজের ধরন কি হতে পারে তার পূর্বাভাষ জানান দেয় ও ইংল্যান্ডের শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানদেরকে অস্ট্রেলীয়দের পেস আক্রমণে হিমসিম খেতে দেখা যায়। বিরূপ আবহাওয়ার প্রেক্ষিতে মধ্যাহ্নবিরতির পূর্বে কেবলমাত্র বিশ মিনিট খেলা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু এতেই মিলার তার দ্রুততম বল ছুঁড়ে হাটনকে বোল্ড করে দিতে সক্ষম হন।[7] বিরতিতে প্রচণ্ড বৃষ্টি পড়ে। বিরতির পর লিন্ডওয়ালের বলে হুক মারার চেষ্টা চালালে ব্রাউনের হাতে ফাইন লেগে ধরা পড়েন ওয়াশব্রুক।[6][7] ১৫/২ থাকাবস্থায় কম্পটন ক্রিজে আসেন। এডরিচের সাথে জুটি গড়ে ৪৬-এ নিয়ে যান। কিন্তু এডরিচ বামহাতি পেসবোলার জনস্টনের শিকারে পরিণত হন বোল্ড হয়ে। দুই বল পর জনস্টন হার্ডস্টাফকে কোন রান না দিয়েই স্লিপে মিলারের কট নেয়ার মাধ্যমে বিদায় করেন। মিলারের প্রচেষ্টাকে উইজডেন বিদ্যুৎ গতিরূপে আখ্যায়িত করে।[6][7] দুই রান পর লেগের দিকে সুইপের চেষ্টা চালাতে ব্যর্থ হয়ে কম্পটন মিলারের বলে বোল্ড হন। ইংরেজ দলের বাদ-বাকী অর্ধেক খেলোয়াড়ই স্কোরবোর্ডে মাত্র ৪৮ রান তুলতে সক্ষম হন।[6][7] ইনিংসের মাঝামাঝি সময়ে লিন্ডওয়ালকে আঘাতের কারণে জোরপূর্বক মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়।[8] এরপর খেলায় তিনি আর বোলিং করতে আসেননি। জনস্টন আট রানে বার্নেটকে এবং ৭৪ রানের সময় ইভান্স ও ইয়ার্ডলি উভয়েই আউট হন।[6] ইংল্যান্ড তখন ট্রেন্ট ব্রিজে গড়া তাদের পূর্বেকার ১১২ রানের সর্বনিম্ন রান সংগ্রহের দিকে এগুচ্ছিল।[7] সারের খেলোয়াড় লেকার ও বেডসার - উভয়েই ইংল্যান্ডের সর্বমোট সংগ্রহের অর্ধেক রান তুলেন মাত্র ৭৩ মিনিটে ৮৯ রান তুলে। হুকের মারে গড়া লেকারের ইনিংসটি সবিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিল। অন্যদিকে, বেডসার প্রতিরক্ষাব্যূহ গড়ে তুলে উইকেটের সামনের দিক দিয়ে রান তুলতে থাকেন।[7] বেডসার জনস্টনের হাতে ও দুই রান পর মিলার লেকারকে কট-আউটে বিদায় করলে ইংল্যান্ডের ইনিংস ১৬৫ রানে থেমে যায়।[6] লেকার ১০১ মিনিটে ছয় বাউন্ডারির সহায়তায় ৬৩ রান তুলে ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তুলেন।[6] জনস্টন ৫/৩৬ পান। এ সময় তিনি বলকে পেস ও সুইং সহযোগে নিখুঁত ও বৈচিত্র্যতার নান্দনিক দর্শন যুক্ত করেন।[7] মিলার ৩/৩৮-সহ একটি ক্যাচ নেন।[9]

নির্ধারিত দিনের খেলা শেষ হবার ১৫ মিনিট পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া খেলার সুযোগ পায়। ইনিংসের প্রথম বল ডেলিভারির পর বার্নস মন্দ আলোকের জন্য খেলা শেষ করার আবেদন জানালেও তা অসফল হয়। ঐ বলটি এডরিচ কর্তৃক ওয়াইডে পরিণত হয়।[7] মরিস ও বার্নস আলোচনা করে নতুন বল মাঠে নামানো হলেও এডরিচ ও বেডসার ১৭ রান তুলে স্ট্যাম্প অক্ষত রেখে নির্বিঘ্নে দিন পার করে দেন।[6] ব্যাটিং উপযোগী আদর্শ পীচ ও পরিষ্কার আবহাওয়ার কারণে দ্বিতীয় দিন খেলোয়াড়েরা মনোযোগী হন। এ জুটি ৭৩ রান তুললে মরিস লেকারের অফ স্পিনে বোল্ড হন। ব্র্যাডম্যান মাঠে নামেন ও রানের চাকা সচল করে ১২১-এ নিয়ে যান। কিন্তু বার্নস লেকার বলকে কাট করতে চাইলে উইকেট-রক্ষক ইভান্সের উরুতে লেগে শূন্যে উঠে। বলটিকে একহাতে লুফে নেন তিনি। এরফলে, বার্নসকে ৬২ রানে বিদায় নিতে হয়। মিলার মাঠে নামলেও অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহের সাথে কোন রান যুক্ত না করেই শূন্য রানে বিদায় নেন। লেকারের লাফিয়ে উঠা আর্ম বল মোকাবেলায় ব্যর্থ হন তিনি ও সোজা এগিয়ে আসা বলটি ব্যাটের বাইরের প্রান্ত স্পর্শ করে স্লিপ অঞ্চলে অবস্থানরত এডরিচের তালুবন্দি হয়।[6][7][9]

এ পর্যায়ে লেকার এগিয়ে আসেন। ১২.৪ ওভারে ৩/২২ লাভ করেন তিনি। সর্বোপরি, অস্ট্রেলিয়া দলে ধীরগতিতে রান তুলতে থাকে ও দিন পার করে। ইয়ার্ডলিও রক্ষ্মণাত্মক ভঙ্গীমায় ফিল্ডিং সাজান। লেগ তত্ত্বে ধাবিত হয়ে রান সংগ্রহকে ধীর পর্যায়ে নিয়ে যায়। ব্রাউন পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন। কিন্তু, তিনি তার খেলোয়াড়ী জীবনের প্রায় সবক্ষেত্রেই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামতেন। ইয়ার্ডলি লেকারকে বোলিং আক্রমণে নিয়ে আসেন ও দ্বিতীয় নতুন বল হাতে তুলে দেন। ৮০ মিনিটেরও অধিক সময় পার করে ব্র্যাডম্যান তার প্রথম বাউন্ডারি হাঁকান। তাস্বত্ত্বেও রান রেট নিচের দিকেই রয়ে যায়। ইয়ার্ডলি স্বয়ং বোলিংয়ে আসার পূর্বেই অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডের মোট রানকে অতিক্রম করে। নিজের প্রথম ওভারেই ব্রাউনকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন।[7] ১৮৫/৪ থাকাবস্থায় হ্যাসেট মাঠে নামেন ও আর কোন উইকেট না হারিয়ে দ্বিতীয় দিন পার করেন ও দলকে ২৯/৪ নিয়ে যান ও অস্ট্রেলিয়া দল ১২৮ রানে এগিয়ে যায়।[6] ২১০ মিনিটের অধিক সময় পার করে ব্র্যাডম্যান তার ২৮তম টেস্ট সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এটি তার অন্যতম ধীরলয়ের ইনিংস ছিল যা ইয়ার্ডলি লক্ষ্য করেন ও উইকেট নেয়ার চেয়ে রান থামাতেই বেশি মনোযোগী হন।[7]

Two men in cricket uniforms walk along a paved path, wearing white shirts, trousers and shoes. The man on the left has his sleeves rolled up, while his taller colleague is wearing a woolly sweater. Both have dark hair. Manicured grass is to their left and a pavilion is behind them.
১৯৩০-এর দশকে বামপাশের চিত্রে হ্যাসেট। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ১৩৭ রান তুলেন।

তৃতীয় দিন সকালে ব্র্যাডম্যান ১৩০ রান নিয়ে খেলা শুরু করেন।[6] ১৩২ রানে পদার্পণের পূর্বেই প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ইংরেজ মৌসুমে সহস্রাধিক রান তুলেন।[7] তবে, অল্প সময় পরই ১৩৮ রানে লেগ গ্ল্যান্সড করতে গিয়ে তার ইনিংস থেমে যায়। বেডসারের ইনসুইঙ্গার মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে হাটনের হাতে শর্ট ফাইন লেগ অঞ্চলে ধরা পড়েন তিনি। ব্র্যাডম্যান ২৯০ মিনিট ব্যাটিং করেন ও অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৩০৫/৫ থাকাবস্থায় জনসন তার স্থলাভিষিক্ত হন। লেকারের বলে বোল্ড হবার পূর্বে জনসন তুলেন ২১ রান এবং টলন ৩৯ মিনিটের ১০ রান তুলে ইয়ংয়ের বামহাতি অর্থোডক্স স্পিনে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরৎ যান।[6] ইয়ংয়ের বোলিং চলাকালে খেলার রান সংগ্রহ আরও স্তিমিত হয়ে পড়ে। একাধারে তার ১১ ওভার মেইডেন হয় ও ২৬-ওভারের বোলিং পরিক্রমায় তিনি মাত্র ১৪ রান দিয়েছিলেন।[7] দলের রান সংখ্যা ৩৬৫/৭ থাকাবস্থায় কোন রানারের সাহায্য ছাড়াই লিন্ডওয়াল মাঠে আসেন। অষ্টম উইকেটে হ্যাসেটের সাথে জুটি গড়েন। হ্যাসেট তার সেঞ্চুরি পূরণ করেন ও প্রায় ছয় ঘণ্টা ব্যাটিং চালিয়ে ১৩৭ রানে থামেন। তার ইনিংসে ২০ চার ও এক ছক্কার মার ছিল। হ্যাসেটের অফ স্ট্যাম্প গুঁড়িয়ে বেডসার এ জুটি ভাঙ্গেন। চার রান পরই লেগ সাইডে ইভান্সের কটে পরিণত হন লিন্ডওয়াল।[7] কিন্তু শেষ উইকেটে জনস্টন ও তোশ্যাক জুটি মাত্র ১৮ মিনিটে আরও ৩৩ রান তুললে বেডসার তোশ্যাককে এলবিডব্লিউর শিকারে পরিণত করলে ৫০৯ রানে ইনিংসটি শেষ হয়। এরফলে সফরকারী দল ৩৪৪ রানে এগিয়ে যায়।[6] অস্ট্রেলিয়া ২১৬.২ ওভার ব্যাটিং করে যা ওভারের দিক দিয়ে ও সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ এ সিরিজে করে।[6][10] ইয়ার্ডলি অধিকাংশ বোলিংই ইয়ং (১/৭৯) ও লেকারের (৪/১৩৮) কাঁধে ছুড়ে দেন। তারা যথাক্রমে ৬০ ও ৫৫ ওভার বোলিং করেন। বেডসার ৪৪.২ ওভার বোলিং করে ৩/১১৩ লাভ করেন।[6][8]

ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে মিলার ওয়াশব্রুককে ব্যাটের শীর্ষে স্পর্শ করে হুক মারতে গিয়ে বিদায় করেন। তারপর এডরিচ জনসনের অফ স্পিনে কাট করার চেষ্টা চালালে কটে পরিণত হন ও ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৯/২।[6][7] ইংল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় ব্যাটসম্যান হাটন ও কম্পটন আরও ১২১ রান তুলে নির্বিঘ্নে তৃতীয় দিন অতিবাহিত করেন।[6] মিলার হাটনের সাথে যুদ্ধে মেতে উঠেন ও কম্পটন পুরো বিকেলে মুখোমুখি হন যাতে দিনের শেষ ওভারটিতে পাঁচটি বাউন্সার পান।[9] তন্মধ্যে, একটি বাউন্সার বামহাতের উঁচুতে আঘাত হানে। ব্যাটসম্যান রক্ষা পেলেও দর্শকদের কাছ থেকে বিদ্রুপাত্মক ধ্বনি শুনতে হয় মিলারকে।[7][9] তবে, শেষ বিকেলে ইংরেজরা সুন্দর সময় অতিক্রম করে। তারা ৭০ মিনিটে ৮২ রান তুলে। তন্মধ্যে মিলারের বলে হাটন উপর্যুপরি বাউন্ডারির মার মারেন।[7] তৃতীয় দিনের পর রবিবার বিশ্রাম নেয়ার পর সোমবার চতুর্থ দিন সকালে খেলা শুরু হয়।[6] নটিংহ্যামশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের সম্পাদক এইচ. এ. ব্রাউন তৃতীয় দিনে মিলারকে উদ্দেশ্য করে দর্শকদের ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া থেকে দূরে সরে আসার জন্য গণমাধ্যমে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়।[7]

হাটন ৬৩ রানে ছিলেন। তিনি ও কম্পটন মন্দ আলোকে খেলা বন্ধ হবার পূর্ব-পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। আলোর বিষয়ে আবেদন অসফল হলেও অল্প কিছুক্ষণ পরপরই বজ্রঝড়ে রূপান্তরিত হয়। স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসার পর অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থায়[7] মিলার হাটনকে অফ কাটারে ফেরত পাঠালে ১১১ রানের জুটি ভেঙ্গে যায় ও দলের সংগ্রহ ১৫০/৩ হয়।[6] এরপর মন্দ আলোকের জন্য ইনিংসটি বাঁধাগ্রস্ত হয় ও অন্ধকারাচ্ছন্ন হওয়ায় দ্বিতীয়বারের মতো খেলায় বিরতি দেয়ার প্রাক্কালে কম্পটন ৯৭ রানে ক্রিজে অবস্থান করছিলেন। ৫৫ মিনিট পর আম্পায়ারদ্বয় পুনরায় খেলা শুরু করেন। উইজডেন মন্তব্য করে যে, খুব কম টেস্টই এদিনের ন্যায় পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।[7] তোশ্যাকের হাতে ধরা পড়ার পূর্বে হার্ডস্টাফ কম্পটনের সাথে ৯৩ রানের জুটি গড়েন। জনস্টন বার্নেটকে ছয় রানে বিদায় করেন ও আরও ১৭ রান যুক্ত করে দলীয় সংগ্রহকে ২৬৪/৫-এ নিয়ে যান।[6] ট্রেন্ট ব্রিজে কম্পটন উপর্যুপরী তৃতীয় শতরান করেন। দলীয় অধিনায়কের সাথে ৫৭ রানের জুটি গড়েন। জনস্টন ইয়ার্ডলির ফিরতি ক্যাচে ২২ রানে বিদায় করেন।[6][7] দিনশেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৪৫/৬ যা অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে মাত্র এক রানে এগিয়েছিল। কম্পটন ১৫৪ ও ইভান্স ১০ রানে অপরাজিত থাকেন।[6]

চূড়ান্ত দিনের সকালে কম্পটন ও ইভান্স অস্ট্রেলীয় আক্রমণকে রুখে দাঁড়াতে সচেষ্ট হন। এরই মধ্যে অল্প সময়ের জন্য দুইবার বৃষ্টি আঘাত হানে। মিলার ফাস্ট বাউন্সারে কম্পটনকে বিদায় করেন। হুকরত অবস্থায় দাঁড়ানো কম্পটন মন পরিবর্তন করলে বল ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা চালান। কিন্তু ভারসাম্য রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় হিট উইকেটে ১৮৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান তিনি।[7] তিনি ৪১৩ মিনিট ব্যাটিং করেন ও ১৯ বাউন্ডারি হাঁকান।[6] উইজডেন মন্তব্য করে যে, দলের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে কম্পটন অতি উচ্চমানের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছেন যার কোন তুলনা চলে না ও প্রথম-শ্রেণীর বোলিং আক্রমণ মোকাবেলায় সচেষ্ট ছিলেন।[7] কম্পটন চলে যাবার সময় দলের সংগ্রহ ছিল ৪০৫/৭। এরপর বোলাররা খুব দ্রুত আধা ঘণ্টার মধ্যে ইনিংস গুঁড়িয়ে দেন। মিলার লেকারকে বোল্ড করেন, ইভান্স ৫০ রানে পৌঁছার পর জনস্টনের কটে পরিণত হন। ইয়ংকেও একইভাবে বিদায় করেন। ১৮৩ ওভার খেলার পর ইংল্যান্ডের ইনিংস গুঁটিয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৯৮।[6] লিন্ডওয়ালের অনুপস্থিতির কারণে বাদ-বাকী চার শীর্ষসারির বোলারদের প্রত্যেককে আরও ৩২ ওভার বেশি বোলিং করতে হয়েছে। জনস্টন ৫৯ ওভার বোলিং করে ৪/১৪৭, মিলার করেন ৪৪ ওভারে ৪/১২৫।[6] অস্ট্রেলিয়া ধীরেসুস্থে খেলায় অগ্রসর হয়। দলীয় ৩৮ রান সংগ্রহকালে বেডসার মরিসকে নয়রানে ও তারপর ব্র্যাডম্যানকে শূন্যরানে শর্ট ফাইন লেগে হাটনের কটে বিদায় করেন।[7] এ সময় অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৮/২। হ্যাসেট বার্নসের সাথে যোগ দেন ও আর কোন অঘটন না ঘটিয়ে জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছিয়ে দেন। ১১ বাউন্ডারি সহযোগে বার্ন ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন। স্কয়ার কাটে দর্শনীয় রান তুলেন তিনি। বার্নস একটিমাত্র বাউন্ডারি হাঁকান। খেলা শেষ হয়েছে ভেবে স্মারকসূচক স্ট্যাম্প তুলে নিতে দৌঁড়ে আসেন। কিন্তু দর্শকদের প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করে তার ভুল বুঝতে পারেন। হ্যাসেট জয়সূচক রান করেন।[6][7]


দ্বিতীয় টেস্ট, ২৪-২৯ জুন

২৪-২৯ জুন
স্কোরকার্ড
 অস্ট্রেলিয়া ৪০৯ রানে বিজয়ী
লর্ড’স, ইংল্যান্ড
আম্পায়ার: সিএন ওলি (ইংল্যান্ড) ও ডি ডেভিস (ইংল্যান্ড)

ট্রেন্ট ব্রিজের প্রথম টেস্টের ন্যায় অস্ট্রেলীয়রা একই একাদশ নিয়ে মাঠে নামে। অন্যদিকে, ইংল্যান্ড তিনটি পরিবর্তন ঘটায়; লেগ স্পিনার রাইট সুস্থ হয়ে উঠেন ও বামহাতি অর্থোডক্স ইয়ংয়ের স্থলাভিষিক্ত হন, বার্নেটের পরিবর্তে অল-রাউন্ডার কক্সনের টেস্ট অভিষেক ঘটে এবং ৫নং ব্যাটসম্যান হিসেবে ডলারি হার্ডস্টাফের স্থলাভিষিক্ত হন।[6][10][11] প্রথম টেস্টে হার্ডস্টাফ শূন্য ও ৪৩ রান তুলেছিলেন। অন্যদিকে, বার্নেট কেবলমাত্র আট ও ছয় রান সংগ্রহ করেছিলেন।[6] পূর্বেকার টেস্টে লিন্ডওয়াল আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় প্রথম দিন সকালে তাকে শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হয়। ব্র্যাডম্যান লিন্ডওয়ালের সুস্থতার বিষয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তবে, বোলারদের আপত্তির মুখে অধিনায়ক তার অন্তর্ভূক্তিতে ঝুঁকি নিতে বাধ্য হন।[12] অস্ট্রেলিয়া টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ে নামে।[10] এরফলে লিন্ডওয়ালকে বোলিং করার জন্য আরও সময় দেয়া হয়।[13] মিলার খেললেও বোলিং করার অবস্থায় ছিলেন না।[14]

অভিষিক্ত কক্সন বেডসারের সাথে বোলিং উদ্বোধনে নামেন ও নিজস্ব দ্বিতীয় ওভারে বার্নসকে শূন্য রানে বিদায় করেন। শর্ট ডেলিভারির বলে শর্ট ফাইন লেগে হাটনের কটে বিদায় নিলে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩/১। মরিস ও ব্র্যাডম্যান ইনিংস পুণঃগঠনে এগিয়ে আসেন। দলীয় সংগ্রহ ৮৭ রানে থাকাবস্থায় ব্র্যাডম্যান বেডসারের বলে লেগ ট্র্যাপে হাটনের হাতে উপর্যুপরী তৃতীয়বার কটে পরিণত হন। একই অবস্থানে থেকে হাটন অস্ট্রেলীয় দলনেতা ব্র্যাডম্যানকে ১৩ রানে ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলেন।[10][11] এ সময় মরিস শুরুতে ধীরলয়ে ব্যাটিং শুরু করলেও দলের ১৬৬ রানের মধ্যে একাই করেন ১০৫ রান। তার ইনিংসটিতে এক ছক্কা ও ১৪ চারের মার ছিল। তার দর্শনীয় ইনিংসটিতে জোড়ালো, স্থান করে নিয়ে কভার ড্রাইভের দিকে বল নিয়ে যান।[11] কক্সনকে মারতে গিয়ে গালিতে হাটনের শিকারে পরিণত হলে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১৬৬/৩ হয়।[10] মিলার মাঠে নামেন ও বেডসার উপর্যুপরী তিনবার তাকে লক্ষ্য করে আউটসুইঙ্গার মারেন। চতুর্থ বলটি অন্যদিকে যায়। মিলার শট মারেননি। চার রানে তিনি লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন।[15] মরিস ও মিলারের দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর ১৭৩/৪ থাকাবস্থায় ব্রাউন মাঠে নামেন ও হ্যাসেটকে ইনিংস পুণঃগঠনে সহায়তায় এগিয়ে আসেন। উভয়েই অত্যন্ত ধীরগতিতে রান তুলতে থাকেন। প্রতি রানের জন্য তারা সাড়ে তিন মিনিটের অধিক সময় নিতে থাকেন।[10][11] হ্যাসেট তিনবার আউট হওয়া থেকে রক্ষা পাবার পর ইয়ার্ডলি তাকে বোল্ড করেন ও নয় রানের ব্যবধানে ব্রাউনকে এলবিডব্লিউর শিকারে পরিণত করলে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২২৫/৬। এডরিচ জনসনকে চার রানে কট বিহাইন্ডে পরিণত করলে দিনশেষে ইংল্যান্ড বেশ ভালো অবস্থানে থাকে। ২৫৮/৭ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া দিন পার করে।[11]

তৃতীয় টেস্ট, ৮-১৩ জুলাই

চতুর্থ টেস্ট, ২২-২৭ জুলাই

২২-২৭ জুলাই
স্কোরকার্ড
 অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে বিজয়ী
হেডিংলি, ইংল্যান্ড
আম্পায়ার: এফ চেস্টার (ইংল্যান্ড) ও এইচজি বল্ডউইন (ইংল্যান্ড)

পঞ্চম টেস্ট, ১৪-১৮ আগস্ট

১৪-১৮ আগস্ট
স্কোরকার্ড
 অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ও ১৪৯ রানে বিজয়ী
দি ওভাল, ইংল্যান্ড
আম্পায়ার: ডি ডেভিস (ইংল্যান্ড) ও এইচজি বল্ডউইন (ইংল্যান্ড)

পরিসংখ্যান

সর্বাধিক রান

খেলোয়াড়দলখেলাইনিংসরানগড়সর্বোচ্চ রান১০০৫০
আর্থার মরিস[16][17] অস্ট্রেলিয়া৬৯৬৮৭.০০১৯৬
ডেনিস কম্পটন ইংল্যান্ড১০৫৬২৬২.৪৪১৮৪
ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান অস্ট্রেলিয়া৫০৮৭২.৫৭১৭৩*
সিরিল ওয়াশব্রুক ইংল্যান্ড৩৫৬৫০.৮৫১৪৩
লেন হাটন ইংল্যান্ড৩৪২৪২.৭৫৮১
সিড বার্নস অস্ট্রেলিয়া৩২৯৮২.২৫১৪১
বিল এডরিচ ইংল্যান্ড১০৩৪২৩১.৯০১১১
লিন্ডসে হ্যাসেট অস্ট্রেলিয়া৩১০৪৪.২৮১৩৭

সেরা ব্যাটিং গড়

কমপক্ষে ১০০ রান ও তিন ইনিংস

খেলোয়াড়দলখেলাইনিংসরানগড়সর্বোচ্চ রান১০০৫০
আর্থার মরিস[16][17] অস্ট্রেলিয়া৬৯৬৮৭.০০১৯৬
সিড বার্নস অস্ট্রেলিয়া৩২৯৮২.২৫১৪১
ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান অস্ট্রেলিয়া৫০৮৭২.৫৭১৭৩*
নীল হার্ভে অস্ট্রেলিয়া১৩৩৬৬.৫০১১২
ডেনিস কম্পটন ইংল্যান্ড১০৫৬২৬২.৪৪১৮৪
সিরিল ওয়াশব্রুক ইংল্যান্ড৩৫৬৫০.৮৫১৪৩
স্যাম লক্সটন অস্ট্রেলিয়া১৪৪৪৮.০০৯৩
লিন্ডসে হ্যাসেট অস্ট্রেলিয়া৩১০৪৪.২৮১৩৭
লেন হাটন ইংল্যান্ড৩৪২৪২.৭৫৮১

সর্বাধিক উইকেট

খেলোয়াড়দলখেলাউইকেটগড়সেরা বোলিং
রে লিন্ডওয়াল[16][17] অস্ট্রেলিয়া২৭১৯.৬২৫/২০
বিল জনস্টন অস্ট্রেলিয়া২৭২৩.৩৩৫/৩৬
অ্যালেক বেডসার ইংল্যান্ড১৮৩৮.২২৪/৮১
কিথ মিলার অস্ট্রেলিয়া১৩২৩.১৫৪/১২৫
আর্নি তোশ্যাক অস্ট্রেলিয়া১১৩৩.০৯৫/৪০
নরম্যান ইয়ার্ডলি ইংল্যান্ড২২.৬৬২/৩২
জিম লেকার ইংল্যান্ড৫২.৪৪৪/১৩৮

সেরা বোলিং গড়

কমপক্ষে নয় উইকেট

খেলোয়াড়দলখেলাউইকেটগড়সেরা বোলিং
রে লিন্ডওয়াল[16][17] অস্ট্রেলিয়া২৭১৯.৬২৬/২০
নরম্যান ইয়ার্ডলি ইংল্যান্ড২২.৬৬২/৩২
কিথ মিলার অস্ট্রেলিয়া১৩২৩.১৫৪/১২৫
বিল জনস্টন অস্ট্রেলিয়া২৭২৩.৩৩৫/৩৬
আর্নি তোশ্যাক অস্ট্রেলিয়া১১৩৩.০৯৫/৪০
অ্যালেক বেডসার ইংল্যান্ড১৮৩৮.২২৪/৮১
জিম লেকার ইংল্যান্ড৫২.৪৪৪/১৩৮

তথ্যসূত্র

  1. "Statsguru - Australia - Tests - Results list"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-২১
  2. Perry (2000), pp. 221225.
  3. "Matches, Australia tour of England, April–September 1948"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৭-১৬
  4. "Lancashire v Australians"CricketArchive। ৮ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-১৮
  5. Haigh, Gideon (২৬ মে ২০০৭)। "Gentrifying the game"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-০১
  6. "1st Test England v Australia at Nottingham June 1015 1948"Cricinfo। ২০০৮-০১-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-১২
  7. "First Test Match England v Australia"Wisden Cricketers' AlmanackWisden। ১৯৪৯। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৭-০২
  8. Pollard (1990), p. 9.
  9. Perry (2000), p. 235.
  10. "2nd Test England v Australia at Lord's June 24–29 1948"ক্রিকইনফো। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-১২
  11. "Second Test Match England v Australia"Wisden Cricketers' AlmanackWisden। ১৯৪৯। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৭-০২
  12. Perry (2001), p. 223.
  13. Perry (2001), p. 233.
  14. Perry (2000), p. 239.
  15. Perry (2000), p. 240.
  16. "Batting and bowling averages The Ashes, 1948 - Australia"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-১০
  17. "Batting and bowling averages The Ashes, 1948 - England"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-১০

আরও দেখুন

গ্রন্থপঞ্জি

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.