হেমচন্দ্র বরুয়া
হেমচন্দ্র বরুয়া (ইংরেজি: Hemchandra Barua) (১৮৩৫-১৮৯৬) অসমীয়া ভাষা-সাহিত্যর একজন একনিষ্ঠ সেবক৷[1] অসমীয়া ভাষার পণ্ডিত নামে সম্বোধিত হেমচন্দ্র বরুয়া , হেমকোষ অভিধানের প্রণেতা৷ তার মৃত্যুর পর ১৯০০ সালে হেমকোষ প্রকাশিত হয়৷[2]
হেমচন্দ্র বরুয়া | |
---|---|
জন্ম | ১৮৩৫ সালের ডিসেম্বর মাসে যোরহাট |
মৃত্যু | ১৮৯৬ সালে |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
জন্ম
১৮৩৫ সালের ১০ ডিসেম্বরে (১৭৫৭ শকর ২৪ আঘোন) আসামের যোরহাট জেলার রাজা-বাহর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল মুক্তারাম বরুয়া এবং মাতার নাম ছিল রূপহী দেবী ৷ মুক্তারাম বরুয়ার তিনজন পুত্ৰ এবং একজন কন্যা সন্তান ছিল৷ হেমচন্দ্র বরুয়া মুক্তারাম বরুয়ার জ্যেষ্ঠ সন্তান ছিলেন৷[3]
শিক্ষাজীবন
হেমচন্দ্র বরুয়া শিক্ষাজীবন শুরু হয় ৯ বছর বয়সে৷ ঐসময় তাকে বৰ্ণমালা ও শব্দের ব্যবহারের সাথে ব্যাকরণও শিক্ষা দেয়া হয়। ব্যাকরণ শিক্ষার সন্ধিকালে তার শিক্ষাজীবনে বাটা পড়ে, কারণ সেইসময়ে তাদের গ্রামে কলেরা রোগ মহামারী রূপ ধারণ করলে তার পিতাকে গ্রামের রোগীদের চিকিৎসা দিতে ব্যস্ত থাকতেন শেষে তিনি নিজেই সেই রোগে আক্ৰান্ত হয়ে ইহলীলা ত্যাগ করেন৷[4] ফলে তাকে শিবসাগর লক্ষ্মীরাম বরুয়ার বাড়িতে গিয়ে থাকতে হয়৷ কিছুদিন পরে লক্ষ্মীরাম বরুয়া তাকে শিবসাগর কাছারীতে দিয়ে আসেন। সেখানে তিনি মাসিক চার টাকা বেতন পাইতেন।তখন তিনি ক্যাপ্টেন ব্ৰডীর সংস্প্রশে আসেন,যিনি সেই সময়কার শিবসাগরের ডেপুটী কমিশনার ছিলেন ক্যাপ্টেন ব্ৰডী এবং খ্ৰীষ্টান মিশনারীদের সহায়তায় তিনি ইংরেজি ভাষা এবং সংস্কৃতির জ্ঞান অর্জন করেন ।
নানান প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তিনি সংস্কৃত, হিন্দী এবং ইংরেজি ভাষার জ্ঞান লাভ করেন৷
বিবাহ
১৮৫২ সালে তিনি বিয়ে করেন। একবছর পরে তিনি কণ্যা সন্তান জন্ম লাভ করেন৷ কণ্যা সন্তানের নাম পদ্মাবতী রেখেছিলেন৷ বিয়ের মাত্র দুবছর পর তার স্ত্রীর অকাল মৃত্যু হয়৷[3]
কৰ্ম জীবন
- গোলাঘাটের রাজস্ব বিভাগে ৬মাসের মতো ছিলেন৷
- শিবসাগর ইংরেজি স্কুলে কিছুদিন শিক্ষা প্ৰদান৷
- পুনরায় রাজস্ব বিভাগের চাকরিতে যোগদান। (১৮৬২ সাল পর্যন্ত)
- গুয়াহাটিতে ন্যায়িক আদালতের ভাষা অনুবাদক হিসাবে যোগদান৷
- অধীক্ষক (সুপারিণ্টেডেণ্ট) পদে পদোন্নতি লাভ৷
- কামরূপের উপায়ুক্ত কাৰ্যালয়ে একবছর অনুবাদক পদে যোগদান৷
- ন্যায়িক আয়ুক্ত কাৰ্যালয়ে পুনরায় যোগদান৷
- কিছুকাল 'আসাম নিউজ' পত্রিকার সম্পাদক৷
এসব ছাড়াও তিনি মিশনারীদের দ্বারা প্ৰকাশিত অরুণোদই এর সাথে জড়িত ছিলেন৷ ১৮৯৬ সালে তার মৃত্যু হয়৷
অসমীয়া সাহিত্য | |
---|---|
| |
অসমীয়া সাহিত্য (বিষয়শ্রেণী: সাহিত্য) অসমীয়া ভাষা | |
সাহিত্যের ইতিহাস | |
অসমীয়া সাহিত্যের ইতিহাস | |
অসমীয়া সাহিত্যিকদের তালিকা | |
কালানুক্ৰমিক তালিকা – বৰ্ণানুক্ৰমিক তালিকা | |
অসমীয়া সাহিত্যিক | |
ঔপন্যাসিক – গল্পকার – নাট্যকার – কবি – প্রবন্ধকার | |
সাহিত্যধারা | |
প্ৰাচীন এবং মধ্যযুগীয় চর্যাপদ – প্রাক-শঙ্করী যুগের সাহিত্য – বৈষ্ণব যুগের সাহিত্য – অরুণোদয় যুগ – অনুবাদ সাহিত্য -মুসলিম সাহিত্য – লোকসাহিত্য আধুনিক যুগের সাহিত্য উপন্যাস – কবিতা – নাটক – প্ৰবন্ধ – শিশুসাহিত্য – কল্পবিজ্ঞান – অভিধান | |
প্ৰতিষ্ঠান এবং পুরস্কার | |
ভাষা শিক্ষায়ন সাহিত্য পুরস্কার | |
সম্পর্কীয় প্রবেশদ্বার সাহিত্য প্রবেশদ্বার অসম প্রবেশদ্বার | |
প্ৰকাশিত গ্রন্থাবলী
- অসমীয়া ব্যাকরণ, ১৮৫৯ সালে প্ৰকাশ পায়৷[3]
- অসমীয়া শিশুদের ব্যাকরণ
- তুলনামূলক ব্যাকরণ
- অসমীয়া শিশুদের আদিপাঠ
- পাঠ-মালা, এই বইটি ১৮৮২ সালে রচনা করেছিলেন৷[3]
- স্বাস্থ্য রক্ষা বা গা ভাল রাখিবার উপায়,
- কানীয়ার কীৰ্ত্তন
- বাহিরে রংচং ভিতরে কোয়াভাতুরী
- Assamese Marriage System
- অসমীয়া হেমকোষ, এই অভিধানটি ১৯০০ সালে প্ৰকাশ পায়৷[3]
তথ্য সূত্র
- http://onlinesivasagar.com/literature/hemchandra-barua.html অনলাইন শিৱসাগৰ ৱেবছাইটত উল্লেখিত তথ্য
- নবীন চন্দ্ৰ লহকৰ (২০১২)। অসমীয়া ভাষাৰ ওজা হেমচন্দ্ৰ বৰুৱা। অকণিৰ সাহিত্য সভা। পৃষ্ঠা ৩।
- গগণ চন্দ্ৰ অধিকাৰী (১০ ডিচেম্বৰ, ২০১১ (শণিবাৰ))। ভাষাৰ ওজা হেমচন্দ্ৰ বৰুৱা। পৃষ্ঠা ৪। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - http://www.iitg.ernet.in/rcilts/phaseI/hem_b.html ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে RCILTS, IIT, Guwahati ত হেমচন্দ্ৰ বৰুৱাৰ বিষয়ে থকা তথ্য
বহিঃসংযোগ
- কানীয়াৰ কীৰ্ত্তন, wikisource-ত থকা লিখনি।
- indiaheritage.org