হুমায়ূন কবির (রাজনীতিবিদ)
হুমায়ূন কবির (জন্ম ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ - ২৭ অক্টোবর ২০১৯) ছিলেন একজন বাংলাদেশী আইনজীবী, সাবেক সাংসদ ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে জাতীয় পার্টি থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[1][2][3][4]
অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবির | |
---|---|
স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৭ – ১৯৮৮ | |
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৭ মে ১৯৮৬ – ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | [1] পৈরতলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পূর্ব পাকিস্তান। (বর্তমান বাংলাদেশ) | ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২
মৃত্যু | ২৭ অক্টোবর ২০১৯ ৬৭)[1] ব্রাহ্মণবাড়িয়া | (বয়স
রাজনৈতিক দল | জাতীয় পার্টি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
দাম্পত্য সঙ্গী | নায়ার কবির |
পিতামাতা | বজলুর রহমান (পিতা) উকিলুন্নেচ্ছা (মাতা) |
প্রারম্ভিক জীবন
হুমায়ূন কবির ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।[1][5] তার পিতার নাম বজলুর রহমান ও মায়ের নাম উকিলুন্নেচ্ছা। বাবা মার ৮ ছেলে ৪ মেয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান।
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন
হুমায়ূন কবির আইনজীবী ও মুক্তিযুদ্ধা। ১৯৭০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে ছাত্র সংসদে ভিপি ছিলেন। তৎকালীন মহকুমা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার যুদ্ধে ১৯৭১ সালে সম্মুখযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন তিনি। ৬ মে ১৯৭৪ সালে প্রথম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। এর পর ১৯৭৭-১৯৮২ ও ১৯৮৪ সালে পৌর মোট তিন মেয়াদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবির।[6] তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসন থেকে জাতীয় পার্টি থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[3][4] ১৯৮৭ সালে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।[5] ১৯৮৮ তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদের রাজনৈতিক সচিবের দায়িত্ব পান।
২০০১ সালে যোগ দেন আওয়ামী লীগে এবং ২০০৩ সাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। যদিও ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে ও ২০০১ সালের নির্বাচনের আওয়ামী লীগ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছিলেন।[7][8]
অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রকাশিক দৈনিক দিনদর্পনের প্রকাশক ও সম্পাদক ছিলেন। [9]
পারিবারিক জীবন
হুমায়ূন কবিরের সধর্মিণী নায়ার কবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রথম নারী মেয়র। তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ে এলিন কবির যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী।[6]
মৃত্যু
হুমায়ূন কবির ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর মারা যান।[1]
তথ্যসূত্র
- করেসপন্ডেন্ট, ডিস্ট্রিক্ট (ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯)। "সাবেক উপমন্ত্রী হুমায়ুন কবির আর নেই"। banglanews24। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- "সাবেক উপমন্ত্রী হুমায়ুন কবির মারা গেছেন"। thedailystar.net। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- "৪র্থ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- "সাবেক উপমন্ত্রী হুমায়ূন কবির আর নেই"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-৩০।
- "ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতিহাসে প্রথম নারী মেয়র নায়ার কবির"। brahmanbaria24.com। ২২ মার্চ ২০১৬। ২০১৯-০৯-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- "হুমায়ুন কবির"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-০৯।
- "শহরে ভোট কম, গ্রামে বেশি"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-৩০।
- "সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবির আর নেই"। The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-৩০।