হিয়োগো প্রশাসনিক অঞ্চল

হিয়োগো প্রশাসনিক অঞ্চল (兵庫県? হিয়োগো কেন্‌) হল জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর কান্‌সাই অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল[1] এর রাজধানী কোওবে নগর।[2]

হিয়োগো প্রশাসনিক অঞ্চল
兵庫県
প্রশাসনিক অঞ্চল
জাপানি প্রতিলিপি
  জাপানি兵庫県
  রোমাজিHyōgo-ken
হিয়োগো প্রশাসনিক অঞ্চল পতাকা
পতাকা
হিয়োগো প্রশাসনিক অঞ্চল অফিসিয়াল লোগো
হিয়োগো প্রশাসনিক অঞ্চলের প্রতীক
হিয়োগো প্রশাসনিক অঞ্চল অবস্থান
দেশজাপান
অঞ্চলকান্‌সাই
দ্বীপহোনশু
রাজধানীকোওবে
আয়তন
  মোট৮,৩৯৬.১৩ বর্গকিমি (৩,২৪১.৭৬ বর্গমাইল)
এলাকার ক্রম১২শ
জনসংখ্যা (১লা নভেম্বর ২০১১)
  মোট৫৫,৮২,৯৭৮
  ক্রম৭ম
  জনঘনত্ব৬৬০/বর্গকিমি (১,৭০০/বর্গমাইল)
আইএসও ৩১৬৬ কোডJP-28
জেলা
পৌরসভা৪১
ফুলনোজিগিকু (ক্রিস্যান্থিমাম জাপোনেন্স)
গাছকর্পূর গাছ (সিনামোমাম ক্যাম্ফোরা)
পাখিপ্রাচ্য সাদা সারস (সিকোনিয়া বয়সিয়ানা)
ওয়েবসাইটweb.pref.hyogo.lg.jp/fl/english/

ইতিহাস

বর্তমান হিয়োগো প্রশাসনিক অঞ্চলটি পূর্বে হারিমা, তাজিমা ও আওয়াজি প্রদেশের সম্পূর্ণ অংশ এবং তাম্বা ও সেৎৎসু প্রদেশের কিয়দংশে বিভক্ত ছিল।[3]

১১৮০ খ্রিঃ হেইয়ান যুগের শেষ দিকে সম্রাট আন্তোকু, তাইরা নো কিয়োমোরি এবং সম্রাটের রাজসভা সাময়িকভাবে ফুকুহারা নগরে বাসভবন স্থানান্তর করেন। এই নগরেরই বর্তমান নাম কোওবে। উক্ত সময়ে পাঁচ মাস এখানে জাপানের রাজধানী ছিল।

অন্যতম ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিমেজি দুর্গ হিমেজি নগরে অবস্থিত।

১৯৯৫ খ্রিঃ ৬.৯ মাত্রার হান্‌শিন মহাভূকম্পে হিয়োগো প্রশাসনিক অঞ্চলের দক্ষিণাংশ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়। কোওবে ও আওয়াজির অধিকাংশ এবং তাকারাযুকা ও পার্শ্ববর্তী ওসাকা প্রশাসনিক অঞ্চলের অংশবিশেষ ধ্বংস হয়ে যায়। এই বিপর্যয়ে প্রায় ৬,৫০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

ভূগোল

কুসুবে উপত্যকা, হিয়োনোসেন-উশিরোয়্যামা-নাগিসান।

হিয়োগোর উত্তরে জাপান সাগর এবং দক্ষিণে সেতো অন্তর্দেশীয় সাগরের উপকূল অবস্থিত। আওয়াজি দ্বীপের দক্ষিণে কিই প্রণালী সন্নিহিত অঞ্চলে প্রশান্ত মহাসাগরের সীমানা। উত্তর হিয়োগোয় জনবসতি অপেক্ষাকৃত অল্প; কেবল তোয়োকা নগরে ঘনবসতি দেখা যায়। মধ্যভাগের উচ্চভূমিতে কেবল ইতস্তত কিছু গ্রামের অস্তিত্ব আছে। হিয়োগো প্রশাসনিক অঞ্চলের জনসংখ্যার অধিকাংশ বাস করে দক্ষিণ উপকূলের আশেপাশে। এই অঞ্চল ওসাকা-কোওবে-কিয়োতো মহানগরের অন্তর্ভুক্ত। আওয়াজি দ্বীপ সেতো অন্তর্দেশীয় সাগর ও ওসাকা উপসাগরকে পৃথক করে। এই দ্বীপের অবস্থান হোনশুশিকোকুর মাঝে।

হিয়োগোয় গ্রীষ্মকাল উষ্ণ ও আর্দ্র। শীতকালে উত্তরাঞ্চলে নিয়মিত তুষারপাত হলেও দক্ষিণে অল্পস্বল্প বরফ পড়ে।

স্থলসীমার মধ্যে হিয়োগোর পূর্বে অবস্থিত ওসাকাকিয়োতো প্রশাসনিক অঞ্চল এবং পশ্চিমে তোত্তোরিওকায়ামা প্রশাসনিক অঞ্চল

২০০৮ এর মার্চ মাসের হিসেব অনুযায়ী হিয়োগো প্রশাসনিক অঞ্চলের ২০ শতাংশ এলাকা সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে সানিন কাইগান ও সেতোনাইকাই জাতীয় উদ্যান, হিয়োনোসেন-উশিরোয়্যামা-নাগিসান উপ-জাতীয় উদ্যান এবং এগারোটি প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[4]

অর্থনীতি

কিনোসাকি, ১৯১০।

হিয়োগো প্রশাসনিক অঞ্চলে নানা রকম ভারী শিল্প গড়ে উঠেছে। এগুলির মধ্যে ধাতব শিল্প ও ওষুধ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। কোওবে বন্দর জাপানের অন্যতম বৃহত্তম বন্দর।

হিয়োগো হল হান্‌শিন শিল্পাঞ্চলের অংশ। জাপানের জাতীয় বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থা রিকেনের অধীনস্থ দুটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান কোওবে ও হারিমায় অবস্থিত।

পর্যটন ও সংস্কৃতি

তাকারাযুকা কাগেকিদান নাট্যদলের এক জনপ্রিয় বাহিনী তাকারাযুকায় অনুষ্ঠান করে।

উত্তর হিয়োগোয় জনপ্রিয় গন্তব্যের মধ্যে আছে কিনোসাকি উষ্ণ প্রস্রবণ, ইযুশি ও য়ুমুরা উষ্ণ প্রস্রবণ। মাৎসুবা কাঁকড়া ও তাজিমা বীফ সমগ্র জাপানে বিখ্যাত খাদ্য।[5]

তথ্যসূত্র

  1. Nussbaum, Louis-Frédéric. (2005). "Hyōgo prefecture" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, pp. 363-365, পৃ. 363,; "Kansai" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 477, পৃ. 477,.
  2. Nussbaum, "Kobe" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 537, পৃ. 537,.
  3. Nussbaum, "Provinces and prefectures" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 780, পৃ. 780,.
  4. "General overview of area figures for Natural Parks by prefecture" (পিডিএফ)Ministry of the Environment। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২
  5. "JAL Guide to Japan - Matsuba Crab"। ৫ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৬
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.