হিমঝুরি
হিমঝুরি বা কর্ক গাছ (ইংরেজি: Millingtonia[1]; বৈজ্ঞানিক নাম:Millingtonia hortensis) গণের একমাত্র প্রজাতি। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের স্থানীয় গাছ। হিন্দিতে এটি আকাশনিম বা আকাশমল্লি নামেও পরিচিত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বাংলা নাম দেন হিমঝুরি। [2]
Millingtonia | |
---|---|
স্থান হায়দ্রাবাদ, ভারত. | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | Angiosperms |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Asterids |
বর্গ: | Lamiales |
পরিবার: | Bignoniaceae |
গণ: | Millingtonia L.f. |
প্রজাতি: | M. hortensis |
দ্বিপদী নাম | |
Millingtonia hortensis L.f. | |
প্রতিশব্দ | |
Bignonia suberosa Roxb. |
বর্ণনা
হিমঝুরি সুউচ্চ চিরসবুজ বৃক্ষ। খাড়া ডালপালায় নোয়ানো আগা, ছোটখাটো ডালের মতো সরু পত্রিকাবহুল পক্ষাকার যৌগপত্র। ফুল মধুগন্ধী, ফোটে রাতে, ভোরের আগেই ঝরে পড়ে, শাখান্তের বড়সড় যৌগিক মঞ্জরিতে, ছাড়াছাড়া ভাবে। ফুলগুলো সাদা ও নলাকার। নলমুখে বসানো থাকে পাঁচটি খুদে পাপড়ির একটি তারা। ফাঁকে ফাঁকে আছে পাঁচটি পরাগধনী, যেন সযত্নে বসানো রত্নপাথর, সাদা বা হলুদ; গর্ভকেশরযুক্ত। ফলগুলো সরু, লম্বা, আগা ও গোড়া ছুঁচালো, সরু সরু পক্ষল বীজে ভরাট, এক ফুট বা ততোধিক দীর্ঘ। বীজগুলো ঈষৎ স্বচ্ছ পাখনাঘেরা এবং সে কারণেই উড়ুক্কু ও দূরগামী। এই গাছ ছায়াঘন নয় এবং শিকড় অগভীর হওয়ায় ঝড়ে উপড়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই পথতরুর অনুপযোগী। বীজ ছাড়াও গাছের শিকড় থেকে গজানো চারা থেকেই বংশবিস্তার।
ব্যবহার
হিমঝুরির কাঠ নরম, হালকা, হলুদ, মসৃণ এবং আসবাব ও সজ্জাকার্যের উপযোগী।[3] ইন্দোনেশিয়ায় বাকলের তেতো রস থেকে জ্বরের ওষুধ বানানো হয়।
আলোকচিত্র
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- Lindley, John (১৮৬৬)। The Treasury of Botany। Longmans, Green & Co। পৃষ্ঠা 1260। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১১। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - হেমন্তের নিশিপুষ্প হিমঝুরি, মোকারম হোসেন, তারিখ:১৮-১১-২০১১
- Sharma, O.P. (১৯৯৩)। Plant Taxonomy। Tata Mcgraw-Hill। পৃষ্ঠা 353। আইএসবিএন 9780074603734। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৩০, ২০১১।