হিফজুর রহমান সিওহারভি
হিফজুর রহমান সিওহারভি (১৯০০ - ২ আগস্ট ১৯৬২) একজন ভারতীয় সুন্নি ইসলামি পণ্ডিত এবং ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের কর্মী ছিলেন। তিনি ২৫ বছর (১৯২২-১৯৪৭) ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন এবং আট বছর জেলখানায় কাটিয়েছিলেন।[1] একজন রাজনীতিবিদ হিসাবে, তিনি ভারত বিভাগের বিরোধিতা করেছিলেন,[2] এবং ১৯৫২ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত আমরোহা (লোকসভা কেন্দ্র) থেকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের হয়ে ভারতীয় সংসদ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[3][4]
মুজাহিদে মিল্লাত হিফজুর রহমান সিওহারভি | |
---|---|
কাজের মেয়াদ ১৯৫২ – ১৯৬২ | |
সংসদীয় এলাকা | আমরোহা লোকসভা কেন্দ্র |
প্রথম লোকসভার সাংসদ | |
দ্বিতীয় লোকসভার সাংসদ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯০০ সেওহারা, বিজনোর জেলা |
মৃত্যু | ২ আগস্ট ১৯৬২ ৬১–৬২) | (বয়স
সমাধিস্থল | মুনহাদিয়ান, নতুন দিল্লি |
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | মাদ্রাসা শাহী, দারুল উলুম দেওবন্দ |
দেওবন্দি আন্দোলন |
---|
সিরিজের অংশ |
|
প্রাথমিক ও শিক্ষাজীবন
হিফজুর রহমান সিওহারভি ১৯০০ সালে (১৩১৮ হিঃ) ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বিজনোর জেলার শহর সিওহারের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[5] তার বাবা হাজী শামসুদ্দিন ভোপাল রাজ্যে এবং তার পরে বিকানের রাজ্যে সহকারী প্রকৌশলী ছিলেন। সেওহরভি প্রথমে স্কুলে এবং পরে মাদরাসা শাহী মুরাদাবাদে ভর্তি হন। তিনি সেওহারের মাদ্রাসায়ে ফয়েজ-এ-আমে তার দারস-ই-নিজামী পাঠ্যক্রমটি সম্পন্ন করেছেন।[5] তিনি সেখানে আবদুল গাফুর সিওহারভি, আহমদ চিশতী এবং সাইয়্যেদ আফতাব আলীর অধীনে পড়াশোনা করেছিলেন। পরে ১৯২২ সালে তিনি দারুল উলূম দেওবন্দে চলে আসেন এবং আনোয়ার শাহ কাশ্মীরির অধীনে হাদিস সমূহে বিশেষ জ্ঞান লাভ করেন এবং ১৯২৩ সালে (১৩৪২ হিজরি) স্নাতক হন।[5]
সাহিত্যে অবদান
- তেহরিকে পাকিস্তান পার এক নজর [6]
- আখলাক আওর ফালসাফায়ে আখলাক
- আজাদী: বুনিয়াদী ইনসানী হক
- বালাগ-ই-মুবীন
- হুকুমাত কা দ্বীনী তাসাউউর
- ফার্দ আওর ইজতিইয়াত
- ইসলাম কা ইকতেসাদি নিযাম
- কাসাসুল কুরআন
- কুরআনী উসূল কে মাআশিয়াত
- সীরাতে রাসুলে করিম
- সিরাতে নববী কা জরুরত আওর আহামিয়ত
- ওয়াক্ত কী কদর ও কীমত
মৃত্যু
তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৬২ সালের ২রা আগস্ট মারা যান। দারুল উলূম দেওবন্দের অধ্যক্ষ ক্বারী মুহাম্মদ তাইয়েব তার জানাজার নামাজ পড়েছিলেন।[7] ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু, ভারতীয় সংসদের কয়েকজন অন্যান্য সদস্যের কাছ থেকে। তার জানাজার নামাজে দুই লক্ষ লোকের অংশ গ্রহণ করে।[7] তার কবরটি নয়াদিল্লির মুনহাদিয়ানে অবস্থিত, যেখানে শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভীকেও সমাহিত করা হয়েছে।[5] তার স্মরণে জেদ্দায় হিফজুর রহমান একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়।[8][9]
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
- "Maulana Hifzur Rahman and his Qasas-ul-Qur'an"। Arab News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-০২-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৭।
- Raghavan, G. N. S. (১৯৯৯)। Aruna Asaf Ali: A Compassionate Radical (English ভাষায়)। National Book Trust, India। পৃষ্ঠা 91। আইএসবিএন 978-81-237-2762-2।
Three nationalist Muslims were among those who opposed the resolution: Ansar Harwani, Maulana Hifzur Rahman and Dr. Saifuddin Kitchlew. “This is a surrender”, Kitchlew said.
- Sharma, Pankul; Apr 16, Harveer Dabas | TNN |; 2019; Ist, 06:58। "Can BJP reverse the trend in slippery Amroha? - Times of India"। The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৭।
- "Maulana Mohammad Hifzur Rahman MP biodata Amroha | ENTRANCEINDIA" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৬-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৭।
- "Syed Mehboob Rizwi"। Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৯-১৩।
- বিশেষ সংখ্যা (৬ অক্টোবর ২০২০)। "জয়ন্তী সংখ্যা : মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানির মতো পণ্ডিতরা আজ কেন গুরুত্বপূর্ণ?"। শাকসি সমাচার (হিন্দি ভাষায়)। ২৮ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০২১।
- Abu Muhammad Maulana Sana'ullah Saad Shuja'abadi। "Mujahid-e-Millat Mawlana Hifzur Rahman Seoharwi"। Ulama-e-Deoband Ke Aakhri Lamhaat [Ending moments of Deobandi scholars] (Urdu ভাষায়)। Maktaba Rasheediya, Saharanpur। পৃষ্ঠা 120–125।
- report, Saudi Gazette (২০১৪-০৯-১৬)। "Hifzur Rahman Academy gives souvenirs to pilgrims"। Saudigazette (English ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৮।
- "Hifzur Rehman Academy honors new Muslims in Jeddah"। Arab News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-১১-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৮।