হিন্দি বলয়

হিন্দি বলয় বা গো-বলয় (হিন্দি: हिन्दी पट्टी, প্রতিবর্ণী. হিন্দী পাট্টী, উর্দু: ہندی پٹی) হল একটি ভাষাগত অঞ্চল যা উত্তর, মধ্য, পূর্ব এবং পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলকে ঘিরে রয়েছে যেখানে হিন্দি (এবং এর সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ইন্দো-আর্য ভাষাগুলি) ব্যাপকভাবে কথিত হয়। [2][3] কখনও কখনও হিন্দি বলয় বলতে নয়টি ভারতীয় রাজ্যকেও বোঝাতে ব্যবহার করা হয় যার সরকারী ভাষা হিন্দি এবং রাজ্য হিন্দিভাষী সংখ্যাগরিষ্ঠ। রাজ্যগুলো যথা বিহার, ছত্তিসগড়, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড,মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং ইউনিয়ন চণ্ডীগড় অঞ্চল এবং দিল্লির জাতীয় রাজধানী অঞ্চল।[4][5][6][7] এটিকে কিছু লেখক হিন্দি-উর্দু বলয় হিসাবেও উল্লেখ করেছেন।[8]

হিন্দি বলয়
হিন্দি: हिन्दी पट्टी
উর্দু: ہندی پٹی

গো-বলয়
ভারতের অঞ্চল
লাল রঙে প্রদর্শিত হিন্দি বলয়
লাল রঙে প্রদর্শিত হিন্দি বলয়
মহাদেশএশিয়া
দেশ ভারত
রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল
আয়তন
  মোট১৩,০০,০০০ বর্গকিমি (৫,০০,০০০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (2011)
  মোট৬০,০০,০০,০০০
  জনঘনত্ব৪৬০/বর্গকিমি (১,২০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলসসস+৫:৩০ (ভারত মান সময়)
ভাষাহিন্দি, উর্দু
সবচেয়ে বেশি কথিত প্রথম ভাষা দ্বারা ভারতের রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহ।[1][lower-alpha 1]

হিন্দি উপভাষা

হিন্দি বলয়ের বেশিরভাগ ইন্দো-আর্য ভাষা হিন্দির উপভাষা হিসাবে পরিচিত, যদিও । হিন্দি হল ইন্দো-আর্য ঔপভাষিক ধারাবাহিকতার একটি অংশ যা ভারতের উত্তরের সমভূমিতে সাংস্কৃতিক হিন্দি বলয়ের মধ্যে অবস্থিত। এই বিস্তৃত অর্থে হিন্দি একটি জাতিগত ধারণার চেয়ে ভাষাগত ধারণা।

অবধি

অবধি ভাষা (দেবনাগরী:अवधी) মূলত উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের অবধ অঞ্চল এবং নেপালের তরাই অঞ্চলের একটি ইন্দো-আর্য ভাষা। অবধি ভাষা জর্জ অব্রাহাম গ্রিয়ারসন দ্বারা পূর্ব হিন্দি হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ ছিল, যিনি ভারতের ভাষাতত্ত্ব জরিপ পরিচালনা করেন। [9]

ব্রজ ভাষা

ব্রজ ভাষা' (দেবনাগরী: ब्रज भाषा) বা (গুরমুখী: ਬ੍ਰਜ ਭਾਸ਼ਾ), বা (बृज भाषा, ਬ੍ਰਿਜ ਭਾਸ਼ਾ), ব্রজ বাখা (ब्रज भाखा, ਬ੍ਰਜ ਭਾਖਾ), অথবা দেহাতি জবান (देहाती ज़बान, ਦੇਹਾਤੀ ਜ਼ਬਾਨ), ,() , হল একটি পশ্চিমা হিন্দুস্থানি ভাষা যা হিন্দি ভাষার সাথে গভীর সম্পর্কযুক্ত। এই ভাষাকে সরাসরি হিন্দি ভাষাই বলা যায়। ১৯ শতকে হিন্দুস্থানের খারিবলিতে এই ভাষার ব্যাপক প্রচলন হয় ।

ভোজপুরি

ভোজপুরি বা ভোজপুরী ভাষা (দেবনাগরী: 𑂦𑂷𑂔𑂣𑂳𑂩𑂲 ) হল ইন্দো-আর্য ভাষা পরিবারের পূর্বাঞ্চলীয় ভাষা। ভোজপুরি সাধারণত বিহারের পশ্চিমাংশ ও উত্তর প্রদেশের পূর্বাংশে প্রচলিত। তবে মধ্য প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও নেপালের কিছু অংশেও ভোজপুরি ভাষাভাষীর লোক বাস করে। বর্তমানে ভোজপুরি ভাষা বিহারের দুটি রাজ্য ভাষার অন্যতম একটি। ভোজপুরি ভাষারূপ উৎপত্তি কেউ মনে করেন সরাসরি সংস্কৃত ভাষা থেকে আবার কেউ মৈথিলী ভাষা থেকে।

মৈথিলি

মৈথিলী (মৈথিলী ভাষায়: मैथिली/মৈথিনী, 𑒧𑒻𑒟𑒱𑒪𑒲) একটি ইন্দো-আর্য ভাষা। এটি মূলত ভারতের বিহার রাজ্য ও নেপালের পূর্বাঞ্চলীয় তেরাই এলাকায় প্রচলিত। ভাষাবিজ্ঞানীরা মৈথিলীকে একটি পূর্ব ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহ এর একটি হিসেবে গণ্য করেন, তাই এটি কেন্দ্রীয় ইন্দো-আর্য ভাষা যেমন হিন্দি ভাষার চেয়ে আলাদা, এবং বাংলা, অসমীয়াওড়িয়ার সাথে এর সম্পর্ক বেশি।

জনসংখ্যা

২০১১ সালের আদমশুমারি থেকে জনসংখ্যার তথ্য নিম্নরূপ:

আরো দেখুন

গ্রন্থ

  • জর্জ আব্রাহাম গ্রিয়ারসন Linguistic Survey of India Vol I-XI, Calcutta, 1928, আইএসবিএন ৮১-৮৫৩৯৫-২৭-৬
  • Masica, Colin (1991), The Indo-Aryan Languages, Cambridge: Cambridge University Press, ISBN 978-0-521-29944-2.
  • Shapiro, Michael C. (2003), "Hindi", in Cardona, George; Jain, Dhanesh (eds.), The Indo-Aryan Languages, Routledge, pp. 250–285, ISBN 978-0-415-77294-5.

মন্তব্য

  1. Some languages may be over- or underrepresented as the census data used is at the state-level. For example, while Urdu has 52 million speakers (2001), in no state is it a majority as the language itself is primarily limited to Indian Muslims.

তথ্যসূত্র

  1. "Report of the Commissioner for linguistic minorities: 50th report (July 2012 to June 2013)" (পিডিএফ)। Commissioner for Linguistic Minorities, Ministry of Minority Affairs, Government of India। ৮ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬
  2. "Battle for the Hindi heartland: Will it favour the BJP again?"www.orfonline.org
  3. "Congress' revival in Hindi patti"www.nationalheraldindia.com
  4. "How languages intersect in India"। Hindustan Times। ২২ নভেম্বর ২০১৮।
  5. "How many Indians can you talk to?"www.hindustantimes.com। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৯
  6. "Hindi and the North-South divide"। ৯ অক্টোবর ২০১৮।
  7. Pillalamarri, Akhilesh। "India's Evolving Linguistic Landscape"thediplomat.com। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৯
  8. Khan, Abdul Jamil (২০০৬)। Urdu/Hindi: An Artificial Divide: African Heritage, Mesopotamian Roots, Indian Culture & Britiah Colonialism (ইংরেজি ভাষায়)। Algora Publishing। আইএসবিএন 9780875864389।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.