হিউ টয়
কর্নেল ক্লড হিউ টয়, এমবিই (ইংরেজি: Hugh Toye; জন্ম: ২৯ মার্চ, ১৯১৭ - মৃত্যু: ১৫ এপ্রিল, ২০১২) প্রথিতযশা ব্রিটিশ সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ছিলেন।[1] এছাড়াও, সামরিক কূটনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন তিনি ভারত ও বার্মায় কর্মরত ছিলেন। সম্মিলিত গোয়েন্দা সেবা অধিদপ্তরে কাজ করেন হিউ টয়।
হিউ টয় | |
---|---|
জন্ম | ২৯ মার্চ ১৯১৭ |
মৃত্যু | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ৯৫) | (বয়স
নাগরিকত্ব | ইংল্যান্ড |
পেশা | সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা |
দাম্পত্য সঙ্গী | বেটি |
পুরস্কার | এমবিই |
কর্মজীবন
জাপানি সেনাবাহিনী ও আজাদ হিন্দ ফৌজের যুদ্ধবন্দী সৈনিকদের জিজ্ঞাসাবাদের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রধান নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুকে অনুসরণে নিয়োজিত ছিলেন। টয়ের কর্মকাণ্ডগুলো আইএনএ’র ইতিহাসে লিপিবদ্ধ রয়েছে। বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নিয়োজিত ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে কাজ করেন। ১৯৪৭ সালে মেজর পদবী নিয়ে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। একই বছর তিনি এমবিই পদবীতে ভূষিত হন। বিভিন্ন পদে অবস্থান করে বার্মা, লাওস, হংকং ও ব্যাংককে ছিলেন। এ সময়ে অবশ্য সংক্ষিপ্ত সময়কালের জন্য ইউরোপে অবস্থান করেন। ১৯৬০-এর দশকের শেষদিকে অক্সফোর্ডের ন্যুফিল্ড কলেজ থেকে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।
অবসর
১৯৫৯ সালে দ্য স্প্রিঙ্গিং টাইগার শীর্ষক গ্রন্থ প্রকাশ করেন। এ গ্রন্থটি প্রথম প্রামাণিক দলিলরূপে যে-কোন পশ্চিমা সেনা কর্মকর্তা কর্তৃক লিখিত। ১৯৬৮ সালে লাওস: বাফার স্টেট অর ব্যাটলগ্রাউন্ড গ্রন্থ রচনা করেন। ১৯৭২ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি।
১৯৯৯ সালে তার স্ত্রী বেটি’র দেহাবসান ঘটে। নবজাতক অবস্থায় তার সন্তান মৃত্যুবরণ করেছিল। ১৫ এপ্রিল, ২০১২ তারিখে ৯৫ বছর বয়সে টয়ের দেহাবসান ঘটে।