হাসান জান

হাসান জান মাদানী (উর্দু: مولانا حسن جان مدنی) ছিলেন একজন পাকিস্তানি ইসলামী পণ্ডিত, যিনি ১৯৩৮ সালের ৬ জানুয়ারি চরসাদ্দার প্রাং-এ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পেশোয়ারের দরবেশ মসজিদের শাইখুল হাদিস এবং খতিব ছিলেন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (জামিয়াত) বৃহত্তম বোর্ড বেফাকুল মাদারিসের সহ-সভাপতি ছিলেন।

মাওলানা,
শাইখুল হাদিস

হাসান জান
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার সহ-সভাপতি
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম৬ জানুয়ারী ১৯৩৮
প্রাং, চরসাদ্দা
মৃত্যু১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭(2007-09-17) (বয়স ৬৯)
মৃত্যুর কারণহত্যাকাণ্ড
ধর্মইসলাম
আখ্যাসুন্নি
যেখানের শিক্ষার্থীজামিয়া আশরাফিয়া, লাহোর
মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
দারুল উলুম হাক্কানিয়া
পেশাওয়ার বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষকমুহাম্মদ ইদ্রিস কান্ধলভি
মুহাম্মদ রসুল খান হাজারভি
মুসলিম নেতা
পুরস্কারসিতারায়ে শুজাআত (বীরত্বের নক্ষত্র)
স্বর্ণপদক (এমএ ইসলামিয়াত)

শিক্ষা

ক্যালিগ্রাফিতে হাসান জানের নাম

হাসান জান তিন মাসের মধ্যে মসজিদে নববীতে কুরআন মুখস্থ করেন। তিনি তার চাচার কাছ থেকে মৌলিক গণিত এবং আরবি ব্যাকরণ অধ্যয়ন করেন। পরে তিনি আঞ্জুমান তালিমুল-কুরআনে ভর্তি হন। সেখানে তিনি মৌলিক উর্দু ও ইসলামিয়াত শিখেন। এরপর তিনি দারুল উলুম উৎমানজাইতে চলে যান। সেখানে তিনি দরসে নিজামী সম্পন্ন করেন। তারপর তিনি জামিয়া আশরাফিয়া লাহোরে চলে যান। সেখানে তিনি মুহাম্মদ ইদ্রিস কান্ধলভি এবং মাওলানা মুহাম্মদ রসুল খান হাজারভির কাছ থেকে হাদিস বিষয়ক বই অধ্যয়ন করেন। তিনি দারুল উলুম হাক্কানিয়া থেকে ফাজেলে দীনিয়াত ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬২ সালের ১১ জুন তিনি মদিনা মুনাওয়ারাহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো গবেষণার জন্য মদিনায় চলে যান। তিনি তার মেধার জন্য পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএ ইসলামিয়াতে স্বর্ণপদক লাভ করেন।[1]

রাজনীতি

হাসান জান রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তবে তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সমর্থক ছিলেন। তিনি ছিলেন ফজলুর রহমানের শিক্ষক। তিনি ১৯৯০ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং তৎকালীন আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির নেতা আব্দুল ওয়াল খানকে তার শক্ত অবস্থান থাকা সত্ত্বেও তাকে পরাজিত করেছিলেন। তিনি কিছু দিন এমএনএ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[1]

মৃত্যু

২০০৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ইফতারির সময় কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তি এসে তাকে বিয়ে পড়াতে যাওয়ার অনুরোধ করে। পেশোয়ার শহরের জানাযাগাহ (জানাযার পড়ার স্থান) -এর পেছনে উজিরবাগে তাকে হত্যা করা হয়।[2] ধারণা করা হয় যে, তার মধ্যমপন্থি দৃষ্টিভঙ্গির কারনেই তাকে সেই অপরিচিত ব্যক্তিরা হত্যা করে। যার মধ্যে আত্মঘাতী বোমা বিষ্ফোরণের বিরুদ্ধে ফতওয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। [3][4]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "Maulana Hassan Jan shot dead in Peshawar"www.thenews.com.pk (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১০-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২২
  2. Ground Report September 16, 2007 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত মার্চ ১০, ২০১১ তারিখে
  3. Nishapuri, Abdul (July 28, 2012) Maulana Hassan Jan, a moderate Deobandi cleric killed by unknown persons lubpak.com
  4. Murshed, Mushfiq (2009-05-03) Uniting against militant ideology dawn.com
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.