হালীমা শরফুদ্দীন বিজ্ঞান পুরস্কার
হালীমা শরফুদ্দীন বিজ্ঞান পুরস্কার হল বাংলা একাডেমি প্রদত্ত একটি পুরস্কার। বাংলা ভাষায় জনপ্রিয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক গ্রন্থকারদের বিশিষ্ট অবদান ও তাঁদের সৃষ্টিশীল প্রতিভার স্বীকৃতি দিতে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো লেখকের একটি গ্রন্থকে নির্বাচন করা হয় যেটি গত দুই বছরের মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।[1]
ইতিহাস
অধ্যক্ষ শইখ শরফুদ্দীন ও হালীমা বেগমের স্মৃতি রক্ষার্থে তাঁদের পুত্র ড. আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দীনের প্রদত্ত অর্থে বাংলা একাডেমি দ্বি-বার্ষিক এ পুরস্কার প্রদান করে। পুরস্কারের অর্থমূল্য ৩০,০০০.০০ (ত্রিশ হাজার) টাকা। বাংলা একাডেমির বার্ষিক সাধারণ সভায় পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখককে ত্রিশ হাজার টাকার চেক, সম্মাননাপত্র ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এ পুরস্কার প্রথম প্রদান করা হয় ১৩৯৯ বঙ্গাব্দে, ১৩৯৭-৯৮ দ্বি-বর্ষের জন্য। এ পর্যন্ত ১৩৯৯-১৪০০, ১৪০৩-০৪, ১৪১৩-১৪ এবং ১৪১৭ বঙ্গাব্দ ব্যতীত প্রতি দুই বাংলা সালের জন্য এ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।[1]
পুরস্কার প্রাপ্তগণ
- মোঃ লুৎফর রহমান ও মোঃ আলমগীর হোসেন (১৩৯৭-৯৮ এর জন্য ১৩৯৯ বঙ্গাব্দে প্রদত্ত, গ্রন্থ : কম্পিউটার বিজ্ঞান)[2]
- অতুল কুমার পাল ও শহীদুল্লাহ মৃধা (১৪০১-০২ এর জন্য ১৪০৩ বঙ্গাব্দে প্রদত্ত, গ্রন্থ : যথাক্রমে বাংলাদেশের রপ্তানীযোগ্য মৎস সম্পদ ও বঙ্গোপসাগর : জীবসমুদ্র বিজ্ঞান ও সমুদ্র সম্পদ)[2]
- ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী (১৪০৫-০৬ এর জন্য ১৪০৭ বঙ্গাব্দে প্রদত্ত, গ্রন্থ : জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান পরিচিতি)[2]
- হাফিজউদ্দীন আহমদ (১৪০৭-০৮ এর জন্য ১৪১১ বঙ্গাব্দে প্রদত্ত, গ্রন্থ : মরণব্যাধি সার্স)[2]
- বাসুদেব কুমার দাস (১৪০৯-১০ এর জন্য ১৪১২ বঙ্গাব্দে প্রদত্ত, গ্রন্থ : পরিবেশ : রাসায়নিক গঠন ও দূষণ)[2]
- ফেরদৌসী বেগম (১৪১১-১২ এর জন্য ১৪১৩ বঙ্গাব্দে প্রদত্ত, গ্রন্থ : আমি কেন বাবা মায়ের মতো)[2]
- জে. বি. এম. জাফর সাদেক (১৪১৫-১৬ এর জন্য ১৪১৭ বঙ্গাব্দে প্রদত্ত, গ্রন্থ : ক্লিনিক্যাল চর্ম, কুষ্ঠ, যৌন রোগ ও তার চিকিৎসা)[2]
- দ্বিজেন শর্মা (১৪১৮-১৯ এর জন্য ১৪২০ বঙ্গাব্দে প্রদত্ত, গ্রন্থ : গাছের কথা ফুলের কথা)[2]
- আসিফ (১৪২০-২১ এর জন্য ১৪২২ বঙ্গাব্দে প্রদত্ত, গ্রন্থ : বিবর্তনের পথে ইতিহাসের বাঁকে)[2]
- জায়েদ ফরিদ (১৪২২-২৩ এর জন্য ১৪২৪ বঙ্গাব্দে প্রদত্ত, গ্রন্থ : উদ্ভিদ স্বভাব - ১ম ও ২য় খণ্ড)[2]
- মোকারম হোসেন (১৪২৪-২৫ এর জন্য ১৪২৬ বঙ্গাব্দে প্রদত্ত, গ্রন্থ : নিসর্গ আখ্যান)[2]
- সৌমিত্র চক্রবর্তী (১৪২৬-২৭ এর জন্য ১৪২৮ বঙ্গাব্দে প্রদত্ত, গ্রন্থ : করোনা বৃত্তান্ত)[3]
তথ্যসূত্র
- "বাংলা একাডেমি প্রদত্ত অন্যান্য পুরস্কার ও সম্মানসূচক ফেলোশিপপ্রাপ্ত বিশিষ্টজনের তালিকা"। বাংলা একাডেমি। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-০৩।
- "বাংলা একাডেমি প্রদত্ত অন্যান্য পুরস্কার ও সম্মানসূচক ফেলোশিপপ্রাপ্ত বিশিষ্টজনের তালিকা"। banglaacademy.portal.gov.bd।
- "বাংলা একাডেমির সাধারণ পরিষদের ৪৪তম বার্ষিক সভা ২০২১"। বাংলা একাডেমি। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-০৩।