হামিদ মীর
হামিদ মীর (উর্দু: حامد مير) (জন্ম: জুলাই ২৩, ১৯৬৬)[2] একজন পাকিস্তানি সাংবাদিক, কলাম লেখক এবং লেখক। তিনি সাংবাদিক পরিবারে লাহোরে জন্মগ্রহণ করেন, মীর প্রথম থেকেই পাকিস্তানি পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। তিনি বর্তমানে জিও নিউজের রাজনৈতিক বিষয়ক টকশো ক্যাপিটাল টক উপস্থাপনা করছেন। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উর্দু এবং ইংরেজি উভয়ই সংবাদপত্রের জন্য কলাম লিখে থাকেন।
হামিদ মীর حامد مير | |
---|---|
জন্ম | [1] | ২৩ জুলাই ১৯৬৬
জাতীয়তা | পাকিস্তানি |
শিক্ষা | গণ যোগাযোগ বিভাগে মাস্টার্স |
মাতৃশিক্ষায়তন | পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় গভর্নমেন্ট কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গভর্নমেন্ট কলেজ অব সায়েন্স |
পেশা | সাংবাদিকতা |
কর্মজীবন | ১৯৮৭-বর্তমান |
নিয়োগকারী | জিও নিউজ |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | ওসামা বিন লাদেন তিনবার সাক্ষাৎকার গ্রহণ। |
সন্তান | ১ছেলে, ১ মেয়ে |
পিতা-মাতা |
|
আত্মীয় | আমীর মীর (ভাই) |
পুরস্কার | হিলাল-ই-ইমতিয়াজ |
১১ই সেপ্টেম্বরের হামলার পরে মীর ওসামা বিন লাদেনের সাক্ষাৎকার নেন। মীর তার কর্মজীবনে বিভিন্ন বিশ্ব নেতাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, তাদের মধ্যে জন কেরি, হিলারি ক্লিনটন, টনি ব্লেয়ার, কলিন পাওয়েল, নেলসন ম্যান্ডেলা এবং শিমোন পেরেজর মতো বিশ্ব নেতারাও রয়েছেন। তিনি শাহরুখ খানের মতো তারকাদেরও সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।[3]
তিনি তার কাজের জন্য বেসামরিক পুরস্কার হিলাল-ই-ইমতিয়াজে ভূষিত হন।[4] তিনি ২০১৬ সালে "সবচেয়ে প্রানবন্ত সাংবাদিক পুরস্কার" বিভাগে ফ্রি প্রেস অ্যাওয়ার্ড এ ভূষিত।[5][6] ২০১৭ সালে তিনি তার কাজের জন্য সাংবাদিক উপস্থাপক হিসেবে জাফরুল্লাহ খান জামালীর দ্বারা আজীবন সম্মাননা পুরস্কার অর্জন করেন।[7][8]
ব্যক্তিগত জীবন
পটভূমি
হামিদ মীর ১৯৬২ সালের জুলাইয়ে পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সরকারি সেন্ট্রাল মডেল স্কুল, লাহোর থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। তিনি গভর্নমেন্ট কলেজ অব সায়েন্স থেকে তার মাধ্যমিক ডিগ্রী এবং গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে ব্যাচেলর অব আর্টস (বিএ) ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৯ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণ যোগাযোগে উপর মাস্টার্স অব আর্টস (এমএ) ডিগ্রি অর্জন করেন। প্রথমদিকে তিনি ক্রিকেট খেলতে চেয়েছিলেন কিন্তু বাবার হঠাৎ মৃত্যুতে, তিনি খেলা ছেড়ে দেন।
পরিবার
মীর একটি সাহিত্যিক এবং সাংবাদিক পরিবারের অন্তর্গত। [9] তার পিতামহ মীর আব্দুল আজিজ, ছিলেন শিয়ালকোট এর। মীরের বাবা ওয়ারিস মীর, ছিলেন দৈনিক জং এর কলাম লেখক। [10]
মীরের মতে, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৪৭ সালেই জম্মু থেকে পাকিস্তান যাওয়ার সময় তার মা, তার পুরো পরিবারকে হারান। তার ভাই তার চোখের সামনে হিন্দু দাঙ্গায় হামলায় মারা যান। তার মাকে অপহরণ করা হয় এবং আত্মীয়দের মৃতদেহের নিচে নিজেকে লুকিয়ে তিনি তার জীবন রক্ষা করেন। [9]
তার বাবা ৯ জুলাই ১৯৮৭ সালে ৪৮ বছর বয়সে রহস্যময় পরিস্থিতিতে মৃত্যুবরণ করেন। তার পিতার মৃত্যুর পর অবিলম্বেই সাংবাদিকতার পেশায় প্রবেশ করেন মীর! মীরের তিন ভাই, তাদের মধ্যে দুইজন সাংবাদিকও আছেন, আমীর মীর ও ইমরান মীর। মীরের স্ত্রী পাকিস্তান টেলিভিশন ও একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাথে বহু ধরে কাজ করছেন। এই দম্পতি দুই সন্তান আছে। নিরাপত্তার কারণে তার সন্তান ও স্ত্রী দেশের বাইরে কিছুদিন কাটিয়েছিলেন। [11]
সাংবাদিকতা পেশা
পুরস্কার এবং স্বীকৃতি
- ১৪ জুন ২০১২ তারিখে রাষ্ট্রপতি জারদারির অধীনে পিপিপি সরকার দ্বারা সাংবাদিকতায় তার অবদানের জন্য হিলাল-ই-ইমতিয়াজে ভূষিত করা হয়। [4]
- অল পাকিস্তান নিউজপেপার সোসাইটি (এপিএনএস) কর্তৃক সেরা কলাম লেখক (উর্দু) ১৯৯৬, ১৯৯৭ এবং ১৯৯৮ সালে পুরস্কার লাভ করেন।
- ২০০৫ সালের মার্চ মাসে ভারতের জোদপুরের মিডিয়া স্টাডিজ ট্রাস্টের ঘোষিত সাংবাদিকতায় শ্রেষ্ঠত্বের জন্য মহর্ষি সম্মান পুরস্কার লাভ করেন।
- ২০০৫ সালের আগস্ট মাসে নারীর অধিকার সমর্থনে লেখা ও কথা বলার জন্য, পাকিস্তানের নারী উন্নয়ন মন্ত্রণালয় থেকে ফাতিমা জিন্নাহ স্বর্ণ পদক লাভ করেন।
- ২৬ মার্চ ২০১০ সালে সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কোঅপারেশন রাইটার্স অ্যান্ড লিটারচার সার্ক আজীবন সম্মাননা ২০১০ এর জন্য মীর মনোনয়ন পান। [12][13]
- মার্চ ২০১২ সালে সর্বাধিক জনপ্রিয় কারেন্ট এফেয়ার্স উপস্থাপক ও নিউজ চ্যানেল এর জন্য দ্য পিপল'স চয়েজ বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন। [14]
- ১৩ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে দামিদ মীরকে শেখ হাসিনার "মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু সম্মাননা" প্রদানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। এই ভিডিওটি পাকিস্তানে একটি ছোটখাট বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। [15][16]
হামাস উপর দৃষ্টিভঙ্গি
সমালোচনা
আরো দেখুন
- পাকিস্তানি সাংবাদিকদের তালিকা
তথ্যসূত্র
- "Hamid Mir"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৭।
- Shimon Rosenberg (সেপ্টেম্বর ২০১২)। "The King of Terror: Bin Laden's biographer speaks to Zman" (পিডিএফ): 124–125। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১৪।
- "Living like a fugitive"। Washington Post। ২৫ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১৫।
- "Civilian awards"। Tribune.com। ১৩ আগস্ট ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৮-১৫।
- "Hamid Mir wins 'most resilient journalist award'"। www.geo.tv। Geo। ৭ নভেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৬।
- "Free Press: Geo's Hamid Mir wins 'Most Resilient Journalist Award'"। www.thenews.com.pk। The News। ৭ নভেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৬।
- "Hamid Mir given lifetime achievement award"। www.thenews.com.pk (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৭।
- "Seasoned journalist Hamid Mir given lifetime achievement award by alma mater"। ১৬ এপ্রিল ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৭।
- Hamid Mir (২০১০-০৩-২৬)। "Apology Day for Pakistanis"। Archive.thedailystar.net। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-২৫।
- "The News, July 2007"। ২০১২-১০-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০১-২৫।
- Gall, Carlotta (৭ জুন ২০০৭)। "NY Times"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০১-২৫।
- হামিদ মীর সার্ক লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২010 ২0 মার্চ ২010
- পাকিস্তানীদের জন্য ক্ষমা দিবস, ডেইলি স্টার, ২6 মার্চ ২010
- Khalid, Saadia (২৯ মার্চ ২০১২)। "Geo wins People' s Choice category award"। The News International। ১ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১২।
- "মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশী পুরস্কার: আসমা জাহাঙ্গীর, হামিদ মীর ও সলিম হাশমি আক্রমনের আঘাতে"। ২৬ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৯।
- Hanif Khalid (৯ মার্চ ২০১৩)। "BD govt to confer highest civil award on Prof Waris Mir"। The News। ১১ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৩।