হাবিব উল্লাহ খান

হাবিব উল্লাহ খান (৩১ জানুয়ারি ১৯৩৫ - ৭ জানুয়ারি ২০২৩) ছিলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিক। তিনি ১৯৭০-এর দশকের শেষ থেকে ১৯৮০-এর দশকের গোড়ার দিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সরকারের সময় তথ্যমন্ত্রী এবং পরে পাটমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কুমিল্লা-৫ (বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫) আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।[1]

হাবিব উল্লাহ খান
কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯  ২৪ মার্চ ১৯৮২
স্পিকারমির্জা গোলাম হাফিজ
পূর্বসূরীমোহাম্মদ ইউনুস
উত্তরসূরীমোহাম্মদ ইউনুস
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
৩০ মে ১৯৮১  ২৪ মার্চ ১৯৮২
রাষ্ট্রপতিআবদুস সাত্তার
প্রধানমন্ত্রীশাহ আজিজুর রহমান
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২১ এপ্রিল ১৯৭৭  ২৯ মে ১৯৮১
রাষ্ট্রপতিজিয়াউর রহমান
আবদুস সাত্তার (ভারপ্রাপ্ত)
প্রধানমন্ত্রীশাহ আজিজুর রহমান
দক্ষিণ আফ্রিকায় নিযুক্ত বাংলাদেশ ১ম রাষ্ট্রদূত
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯৩৫-০১-৩১)৩১ জানুয়ারি ১৯৩৫
নবীনগর, বৃহত্তর কুমিল্লা, বঙ্গ প্রদেশ, ব্রিটিশ রাজ (বর্তমানে নবীনগর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, বাংলাদেশ)
মৃত্যু৭ জানুয়ারি ২০২৩(2023-01-07) (বয়স ৮৭)
এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা, বাংলাদেশ
নাগরিকত্ববাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
দাম্পত্য সঙ্গীসালমা খান (মৃ. ২০২২)
সন্তানহুমানা খান (কন্যা)
পিতামাতাআব্দুস শাকুর খান (পিতা)

ব্যক্তিগত জীবন

হাবিব উল্লাহ খান ১৯৩৫ সালের ৩১ জানুয়ারি বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির নবীনগরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আবদুস শাকুর খান।

তিনি সালমা খানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সালমা খান একজন কূটনীতিক ছিলেন এবং ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২২ সালের জুলাই মাসে সালমা খান মৃত্যুবরণ করেন। তাদের একমাত্র কন্যার নাম হুমানা খান।[2]

রাজনৈতিক জীবন

হাবিব উল্লাহ খান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ ছিলেন এবং ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৫ (বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[1][3] দ্বিতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন ১৯৭৯ সালের ২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। সংসদ সদস্য থাকাকালীন তিনি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এবং জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পরে তিনি আবদুস সাত্তারের মন্ত্রিসভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮২ সালের অভ্যুত্থানের আগ পর্যন্ত তিনি উক্ত পদে বহাল ছিলেন।

দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্যের অবসান ও নেলসন ম্যান্ডেলা নির্বাচিত হওয়ার পর, দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হবার পর তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় নিযুক্ত বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত ছিলেন।[4]

হাবিব উল্লাহ খান কিছু সামাজিক ও মানব উন্নয়ন সংস্থার সাথেও যুক্ত ছিলেন। তিনি 'অ্যাসিসটেন্স ফর ব্লাইন্ড চিলড্রেন (এবিসি)' নামক অন্ধ শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত এনজিওর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের রোটারি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক জেলা গভর্নর ছিলেন।

মৃত্যু

হাবিব উল্লাহ খান হৃদরোগের আক্রান্ত হয়ে ২০২৩ সালের ৭ জানুয়ারি ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।[4]

তথ্যসূত্র

  1. "২য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
  2. প্রতিবেদক, জ্যেষ্ঠ। "সাবেক মন্ত্রী হাবিবুল্লাহ খান মারা গেছেন"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০২৩
  3. The Election Archives (ইংরেজি ভাষায়)। শিব লাল। ১৯৮১।
  4. "সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাবিব উল্লাহ খান মারা গেছেন"সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০২৩
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.