হাবিবুর রহমান খায়রাবাদী
হাবিবুর রহমান খায়রাবাদী (মুফতি হাবিবুর রহমান নামেও পরিচিত) (জন্ম: ১১ আগস্ট ১৯৩৩) একজন ভারতীয় দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত এবং ফকিহ যিনি বর্তমানে দারুল উলুম দেওবন্দের ১৪তম প্রধান মুফতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মাওলানা, মুফতি হাবিবুর রহমান খায়রাবাদী | |
---|---|
১৪তম প্রধান মুফতি, দারুল উলুম দেওবন্দ | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২০০৮ | |
পূর্বসূরী | জাফিরুদ্দিন মিফতাহি |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | |
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
যুগ | আধুনিক |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
প্রধান আগ্রহ | হাদিস, ফিকহ, লেখালেখি, তাসাউফ |
উল্লেখযোগ্য কাজ | সন্ত্রাস বিরোধী ফতোয়া, ২০০৮ |
যেখানের শিক্ষার্থী |
দেওবন্দি আন্দোলন |
---|
সিরিজের অংশ |
|
জীবনী
হাবিবুর রহমান ১৯৩৩ সালের ১১ আগস্ট ভারতের আজমগড়ের খয়রাবাদ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। মোবারকপুরের মাদ্রাসা ইয়াহইয়া উল উলুম, দারুল উলুম মৌ এবং লখনউয়ের দারুল মুবাল্লিগীনে পড়াশোনার পর মাজাহির উলুম, সাহারানপুরে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সমাপ্ত করেন। পাশাপাশি তিনি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি হুসাইন আহমদ মাদানির কাছে সহীহ বুখারী ও সুনান আত-তিরমিজী এবং মিরাজুল হক দেওবন্দির কাছে আল মুতানাব্বির দেওয়ানের পাঠ গ্রহণ করেছেন। শিক্ষাজীবন সমাপ্তির পর তিনি মালেগাঁওয়ের মাহদে উলুমে শিক্ষকতা করার মাধ্যমে কর্মজীবনের সূচনা করেন। এরপর তিনি মোরাদাবাদের মাদ্রাসা হায়াতুল উলুমে যোগদান করেন। এখানে তিনি একাধারে ২৩ বছর ইসলামি আইনশাস্ত্র বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।[1][2]
১৯৮৮ সালে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষক নিযুক্ত হন এবং অল্প সময়ে দারুল ইফতা বিভাগে পদোন্নতি পান। ২০০৮ সালে তিনি জাফিরুদ্দিন মিফতাহির স্থলাভিষিক্ত হন।[1][3]
২০০৮ সালে তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে একটি ফতোয়া প্রদান করেন। যা ছিল এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সর্বপ্রথম ফতোয়া। এই ফতোয়ায় বলা হয়,
“ | ইসলাম সকল প্রকারের অন্যায্য সহিংসতা, শান্তির লঙ্ঘন, রক্তপাত, হত্যা ও লুণ্ঠনকে প্রত্যাখ্যান করে এবং এর কোনরূপ অনুমতি প্রদান করে না। এটিই ইসলামের মূলনীতি যে, আপনি সৎকর্মে পরস্পরকে সহায়তা করেন এবং পাপ বা নিপীড়নের জন্য কাউকে সহযোগিতা করবেন না। পবিত্র কুরআনে প্রদত্ত সুস্পষ্ট নির্দেশিকাতে এটা স্পষ্ট যে, বিশ্ব শান্তির নির্দেশ দেওয়া ইসলামের মতো ধর্মের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ মিথ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রকৃতপক্ষে সকল প্রকার সন্ত্রাসবাদ মুছে ফেলার জন্য এবং বিশ্ব শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে ইসলামের আবির্ভাব হয়েছিল। | ” |
— [4][5] |
প্রকাশনা
তার রচিত গ্রন্থসমূহের মধ্যে রয়েছে:[6]
- রাসূলপ্রেমের একগুচ্ছ গল্প
- আপনার নামাজ ত্রুটিমুক্ত করুন
- ঈমান ও ইয়াকিন
- হাশিয়া ফতোয়ায়ে রশিদিয়্যা
- মাসায়েলে কুরবানি
- রমাদান আওর উসকে রোজ
- শবে বরাত আরও কুরআন
- শরাহে মুফিদুত তালিবীন
- যাকাত কি আহমিয়্যাত ইত্যাদি
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- শহিদ সাহারানপুরী। উলামায়ে মাজাহির উলুম আওর উনকে ইলমি ওয়া তাসনিফী খিদমাত (উর্দু ভাষায়) (২০০৫ সংস্করণ)। মাকতাবা ইয়াদগারে শায়খ। পৃষ্ঠা ২৭৫—২৭৬।
- আফতাব গাজী কাসেমী; আব্দুল হাসিব কাসেমী (২০১১)। ফুজালায়ে দেওবন্দ কি ফিকহি খিদমাত (উর্দু ভাষায়)। কুতুবখানা নঈমিয়া। পৃষ্ঠা ১৪৩। ওসিএলসি 813691816।
- জিয়াউদ্দিন সরদার; ম্যারিল উইন ড্যাভিস (২০০৮)। উইল আমেরিকা চেইঞ্জ? (২০০৮ সংস্করণ)। আইকন বুকস। পৃষ্ঠা ২২৭। আইএসবিএন 9781840468793।
- "দেওবন্দ ফার্স্ট : এ ফতোয়া এগেইনস্ট টেরর"। টাইমস অফ ইন্ডিয়া। ১ জুন ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০২১।
- শিশির গুপ্ত (২০১২)। ইন্ডিয়ান মুজাহিদীন। হ্যাচেট ইউকে। আইএসবিএন 9789350093757।
- আফতাব গাজী কাসেমী ২০১১, পৃ. ৩৫১।
বহিঃসংযোগ
ধর্মীয় পদবীসমূহ | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী জাফিরুদ্দিন মিফতাহি |
দারুল উলুম দেওবন্দের ১৪তম প্রধান মুফতি ২০০৮ |
উত্তরসূরী "বর্তমান" |