হাফেজ মুহাম্মদ আহমদ
হাফেজ মুহাম্মদ আহমদ (১৮৬২-১৯৩০, উর্দু : حفیظ محمد احمد) একজন ভারতীয় মুসলিম পণ্ডিত, দারুল উলূম দেওবন্দের প্রাক্তন আচার্য এবং ১৯২২ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত তিনি হায়দ্রাবাদ রাজ্যের প্রধান মুফতি ছিলেন।[1]
শামসুল উলামা হাফেজ মুহাম্মদ আহমদ | |
---|---|
حفیظ محمد احمد | |
৮ম আচার্য, দারুল উলুম দেওবন্দ | |
কাজের মেয়াদ ১৮৯৫ – ১৯৩০ | |
পূর্বসূরী | মুহাম্মদ মুনির নানুতুবি |
উত্তরসূরী | হাবিবুর রহমান উসমানি |
প্রধান মুফতি,হায়দ্রাবাদ রাজ্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯২২ – ১৯২৫ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৮৬২ নানুতুয়া, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ১৯৩০ (বয়স ৬৭–৬৮) নিজামাবাদ জংশন রেলওয়ে স্টেশন , ব্রিটিশ ভারত |
সন্তান | মুহাম্মদ তৈয়ব কাসেমি |
পিতা | মুহাম্মদ কাসেম নানুতুবি |
আত্মীয়স্বজন | মুহাম্মদ সালেম কাসেমি (নাতি), মুহাম্মদ সুফিয়ান কাসেমি (নাতি). |
জীবনকাল
হাফেজ মুহাম্মদ আহমদ ১৮৬২ সালে নানুতুয়া শহরে মুহাম্মদ কাসেম নানুতুবির ঔরসে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথমে তিনি গোলাথির মানবা-উল-উলুম মাদ্রাসায় এবং তারপরে মাদরাসা শাহী, মোরাদাবাদে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর তিনি দারুল উলূম দেওবন্দে ফিরে আসেন যেখানে তিনি শায়খুল হিন্দ মাহমুদুল হাসানের অধীনে পড়াশোনা করেন। তিনি মুহাম্মদ ইয়াকুব নানুতুবির অধীনে জামে তিরমিজীর কিছু অংশ অধ্যয়ন করেছিলেন এবং রশিদ আহমদ গঙ্গোহীর অধীনে হাদীসে বিশেষ ডিগ্রি নিয়েছিলেন। [2][3] তিনি ইমদাদউল্লাহ মুহাজির মক্কির শিষ্য ছিলেন। [4]
দারুল উলূম দেওবন্দে তিনি মিশকাতুল মাসাবীহ, তাফসিরে জালালাইন, সহীহ মুসলিম, সুনান ইবনে মাজাহ'র দশ বছরের শিক্ষক ছিলেন এবং ৩৫ বছর ধরে আচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। [3][5]
ভারতের ব্রিটিশ সরকার [6][7] কর্তৃক তাঁকে ১৯২০ সালে শামসুল উলামা উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তিনি ১৯২২ থেকে ১৯২৫ সাল পর্যন্ত হায়দ্রাবাদ রাজ্যের গ্র্যান্ড মুফতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন। [8][9]
শাগরেদ
আহমদের ছাত্রদের মধ্যে আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি, শব্বির আহমদ উসমানি, উবায়দুল্লাহ সিন্ধি, হুসাইন আহমদ মাদানি, কেফায়াতুল্লাহ দেহলভী, সাইয়্যেদ আসগর হোসেন দেওবন্দি, কারী মুহাম্মদ তৈয়ব, মুহাম্মাদ শফী উসমানী, মনজুর আহসান গিলানী এবং সৈয়দ ফখরুদ্দিন আহমদ প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। [10]
মৃত্যু
১৯৩০ সালে নিজামাবাদ জংশন রেলস্টেশনের নিকট একটি ট্রেনে যাত্রার সময় আহমদ মারা যান এবং মীর ওসমান আলী খানের সম্মতিতে একটি বিশেষ কবরস্থান খিত্তা-ই-সালিহিনে তাকে দাফন করা হয়। [a 1][11][12]
উত্তরাধিকার
আহমদের পুত্র কারী মুহাম্মদ তৈয়ব (১৮৯৭ - ১৯৮৩) ৫০ বছর দারুল উলুম দেওবন্দের আচার্য ছিলেন। [5]
মন্তব্য
- Both Adrawi and Rizwi have stated his year of death as 1347 AH, but differed in calculating it. However, Rizwi maintains the point that Ahmad was appointed VC of Darul Uloom Deoband in 1895, and he served the post for 35 years. Adding the two, makes the calculation go 1930. Barbara Metcalf states 1928 as death year.
তথ্যসূত্র
- "Arbab-e-Ihtemam (Vice Chancellors) Page One"। www.darululoom-deoband.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-৩০।
- Minault, Gail (১৯৮২)। The Khilafat Movement: Religious Symbolism and Political Mobilization in India। আইএসবিএন 9780231050722। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০২০।
- Syed Mehboob Rizwi। History of The Dar al-Ulum Deoband (Volume 2) (পিডিএফ) (1981 সংস্করণ)। Idara-e-Ehtemam, Dar al-Ulum Deoband। পৃষ্ঠা 37-38, 170-174। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২০।
- Muhammad Tayyib, Qari। 50 Misaali Shaksiyaat (Urdu ভাষায়) (July 1999 সংস্করণ)। Maktaba Faiz-ul-Qur'an। পৃষ্ঠা 95।
- Ernst, Carl W.; Martin, Richard C. (২৭ নভেম্বর ২০১২)। Rethinking Islamic Studies: From Orientalism to Cosmopolitanism। আইএসবিএন 9781611172317। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২০।
- Metcalf, Barbara (ডিসেম্বর ২০১২)। Husain Ahmad Madani: The Jihad for Islam and India's Freedom। আইএসবিএন 9781780742106।
- Deobandi, Syed Muhammad Miyan। "Differences between Hadhrat Shaikhul Hind and Mohtamims"। Silk Letters Movement (পিডিএফ) (English ভাষায়)। Shaikhul Hind Academy। পৃষ্ঠা 70–71। ১২ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২০।
- Adrawi, Asir। Tazkirah Mashahir-e-Hind: Karwan-e-Rafta (Urdu ভাষায়) (1st 1994 সংস্করণ)। Darul Muallifeen। পৃষ্ঠা 17।
- Muhammad Miyan Deobandi। "Hafiz Muhammad Ahmad"। Ulama-e-Haq awr Unke Mujahidana Kaarname (Urdu ভাষায়)। Faisal International। পৃষ্ঠা 162–163।
- Muhammad Shakaib Qasmi; Muhammad Noushad Qasmi। Aks-e-Ahmad (Biography of Hafiz Muhammad Ahmad) (Urdu ভাষায়) (May 2014 সংস্করণ)। Hujjatul Islam Academy। পৃষ্ঠা 71–95। আইএসবিএন 9788192944135।