হাফিজ মোহাম্মদ ইব্রাহীম

হাফিজ মুহাম্মাদ ইব্রাহিম, যাকে হাফিজ মোহাম্মদ ইব্রাহিম (১৮৮৯-১৯৬৮) বানানেও ডাকা হয়েছিলো। তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা ছিলেন। তিনি ১৯৬৫ সালে ভারতের পাঞ্জাবের গভর্নর ছিলেন। ইব্রাহিম ১৯৫৮ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন এবং কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ ও সেচ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ১৯৬১ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার নেতা ছিলেন। [1]

ব্যক্তিগত ও শিক্ষা জীবন

১৮৮৮ সালে নাগিনার মহল্লা আজি সরাইয়ে জন্মগ্রহণ করা, হাফিজ ইব্রাহিম রাজকিয়া দীক্ষা বিদ্যালয়ে শিক্ষিত হন এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।

কর্মজীবন

ইব্রাহীম ছাত্র নেতাও ছিলেন এবং এএমইউতে ইউনিয়ন সেক্রেটারি নির্বাচিত হন। ১৯১৯ সালে তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দেন।

কংগ্রেসে যোগদানের পরে তিনি নাগপুর সম্মেলনে প্রতিনিধি ছিলেন। পরে ১৯৪২ সালের আন্দোলনের সময় তাকে গ্রেপ্তার করে ফতেহগড় কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

স্বাধীনতার পরে। ইব্রাহিম রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন এবং ১৯৫৮ সালে নেহেরুর মন্ত্রীতে মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রী হন। তিনি সেচ, ওয়াকফ, পিডাব্লুডি, খাদ্য এবং নাগরিক সরবরাহ হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ পোর্টফোলিওগুলি ধারণ করেছিলেন। এই সময়ে তিনি ওয়াক্ফ আইন গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন।

পরে তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু নদীর বিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। রুরকি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান অনুসারে তিনিও ছিলেন। তিনি লখনউতে মুসলিম সাংসদ ও বিধায়কদের একটি সম্মেলনেরও আয়োজন করেছিলেন। ১৯৬৬ সালে তিনি পাঞ্জাবের গভর্নর হন । তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা ছিলেন। তিনি ১৯৬৫ সালে ভারতের পাঞ্জাবের গভর্নর ছিলেন। ইব্রাহিম ১৯৫৮ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন এবং কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ ও সেচ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ১৯৬১ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত রাজ্য সভার নেতা ছিলেন।

মৃত্যু

ইব্রাহিম চিকিৎসা চলাকালীন ১৯৬৮ সালে মারা যান।

তথ্যসূত্র

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.