হাওড়া নদী
হাওড়া নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী।[1] নদীটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১০ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৪০ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সরলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক হাওড়া নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ২৪।[2]
হাওড়া নদী | |
দেশসমূহ | বাংলাদেশ, ভারত |
---|---|
অঞ্চল | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা |
উৎস | ত্রিপুরা |
মোহনা | তিতাস নদী |
দৈর্ঘ্য | ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) |
অন্যান্য তথ্য
নদীটির প্রস্থ গঙ্গাসাগর সেতু এলাকায় ৪০ মিটার এবং গভীরতা ৩.৫ মিটার। হাওড়া নদীর অববাহিকার আয়তন ৭০ বর্গকিলোমিটার। নদীটিতে সারাবছর পানিপ্রবাহ থাকে না। তবে জোয়ারভাটার প্রভাব আছে এই নদীতে। জুলাই-আগস্টে বেশি পানিপ্রবাহের সময় প্রবাহের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৮ ঘনমিটার/সেকেন্ড। সাধারণত বন্যা হয় না। এই নদীর উপর আখাউড়া রেলসেতু রয়েছে।[3]
উৎপত্তি ও প্রবাহ
হাওড়া নদী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে উৎপত্তি লাভ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তারপর এটি কিছুদুর প্রবাহিত হয়ে আখাউড়া উপজেলার তিতাস নদীতে পতিত হয়েছে। এই নদীর ত্রিপুরা অংশের দৈর্ঘ্য ৫০ কিলোমিটার।[3]
তথ্যসূত্র
- "আন্তঃসীমান্ত_নদী"। বাংলাপিডিয়া। ১৬ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪।
- মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৩১২-৩১৩। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
- ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৫৪।