হাঁসা ওয়াদকর

হাঁসা ওয়াদকর (১৯২৩ ১৯৭১) মারাঠিহিন্দি চলচ্চিত্র এবং ভারতীয় চলচ্চিত্রের মঞ্চ অভিনেত্রী ছিলেন। তিনি দ্বিভাষিক চলচ্চিত্র বিজয়চি লাগনে (১৯৩৬)-তে নায়িকার চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে মাত্র তের বছর বয়সে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন। অতঃপর বোম্বে টকিজ, প্রভাত ফিল্ম কোম্পানিএবং জাতীয় স্টুডিও-এর মতো নামকরা চলচ্চিত্র সংস্থায় কাজ করার জন্য ওয়াদকর নিজের নাম লেখাতে শুরু করেছিলেন। অতঃপর তিনি ১৯৪১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বিষ্ণুপন্ত দামলের সন্ত সখু-তে অভিনয় করেছিলেন; যেখানে তিনি মহিলা সন্ত সখুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর অন্যান্য স্মরণীয় চরিত্রগুলোর মধ্যে ছিল লক্ষহির রাম জোশী (১৯৪৭); এই চলচ্চিত্রকে "প্রথম শ্রেণীর মারাঠি তামাশা সঙ্গীতভিত্তিক চলচ্চিত্র" হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।[1]

হাঁসা ওয়াদকর
জন্ম
রতন সালগাওকর

১৯২৩
মৃত্যু১৯৭১ (বয়স ৪৭৪৮)
বোম্বে, মহারাষ্ট্র, ব্রিটিশ ভারত
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৩৬–৬৮
দাম্পত্য সঙ্গীজগন্নাথ বান্দরকর
সন্তান

কর্মজীবন

অতঃপর তিনি রাম জোশির সাথে ১৯৫৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সঙ্গত্যে আইকা-এ অভিনয় করেছেন; যেটি মারাঠি চলচ্চিত্রের "সর্বাধিক সুপরিচিত তামাশা চলচ্চিত্র" হিসেবে অভিহিত। এভাবে তিনি মারাঠি চলচ্চিত্র জগতের দুটি জনপ্রিয় চলচ্চিত্র (লক্ষহির রাম জোশী এবং সঙ্গত্যে আইকা)-এ অভিনয় করেন।[2] সঙ্গত্যে আইকা শিরোনামটি (আপনি জিজ্ঞাসা করুন, আমি বলবো) একাত্তরে সংকলিত তাঁর আত্মজীবনীর জন্য ওয়াদকর ব্যবহার করেছিলেন।[3] তার আত্মজীবনীটি প্রথমে সাংবাদিক অরুণ সাধুর সহায়তায় মারাঠি পত্রিকা মানুস এ প্রকাশ করা হয়েছিল। ১৯৭৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত শ্যাম বেনেগল পরিচালিত ভূমিকা (চরিত্র) ছবিটি হাঁসা ওয়াদকরের আত্মজীবনীর উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছিল এবং এই চলচ্চিত্রে অভিনেত্রী স্মিতা পাতিল ওয়াদকরের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এই চলচ্চিত্রটি দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছিল; যার মধ্যে রয়েছে সেরা অভিনেত্রী বিভাগে স্মিতা পাতিলের এবং সেরা চিত্রনাট্য বিভাগে সত্যদেব দুবে, শ্যাম বেনেগাল এবং গিরিশ কারণাডের পুরস্কার। এই চলচ্চিত্রটি ২৫তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে সেরা চলচ্চিত্র বিভাগে পুরস্কার লাভ করেছিল।[4]

প্রারম্ভিক জীবন

হাঁসা ওয়াদকর ১৯৩৩ সালের ২৪শে জানুয়ারি তারিখে ব্রিটিশ ভারতের মহারাষ্ট্রের বোম্বেতে রতন বালচন্দ্র সালগাওকর নামে ড. ভালেরাও হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[5] তাঁর পিতা বালচন্দ্র সালগাওকর ছিলেন কলাবন্তীদের (যাঁরা নিজ সংগীত সাফল্যের জন্য খ্যাতিমান ছিলেন) পুত্র এবং নাতি,।[2] তাঁর মা সরস্বতী একজন দেবদাসীর মেয়ে ছিলেন। চার সন্তানের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন ওয়াদকর। সবচেয়ে বড় বোন এবং কনিষ্ঠ ভাই মারা গিয়েছিলেন এবং দ্বিতীয় সন্তান, তাঁর ভাই মোহনও তাঁকে রেখে চলে গিয়েছিলেন। তাঁর আত্মজীবনীতে ওয়াদকর উল্লেখ করেছেন যে তাঁর ঠাকুমা, বেবাই সালগাওকর (যিনি পরিবারে জিজি নামে পরিচিত ছিলেন, তিনি ছিলেন এক ধনী সুদর্শন নারী) পরিবারের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। এই সম্প্রদায়ে বিবাহ ছিল এক বিরল বিষয় এবং ওয়াদকরের দাদু রঘুনাথ সালগাওকর (জিজির ছেলে) পরিবারের প্রথম বিবাহিত ব্যক্তি ছিলেন।

বিতর্ক

তাঁকে "তার সময়ের অন্যতম সর্বাধিক অন্বেষিত এবং বোহেমিয় অভিনেত্রী" হিসাবে উল্লেখ করা হয়।[6] ওয়াদকর তাঁর জীবনে ব্যক্তিগত বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন; যার মধ্যে বৈবাহিক সমস্যা, অ্যালকোহলের আসক্তি, বিভিন্ন স্তরে অবমাননা এবং ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে ধর্ষণ (যখন কোনও ঝামেলাযুক্ত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন) অন্তর্ভুক্ত ছিল। তাঁর বিবাহ আলাদা থাকার মাধ্যমে শেষ হয়েছিল এবং বিচ্ছেদের পর তাঁর মেয়েকে তাঁর কাছে দেওয়া হয়নি।[5]

তথ্যসূত্র

  1. "Lokshahir Ram Joshi"indiancine.ma। Indiancine.ma। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  2. Rajadhyaksha, Ashish। "Bhumika"filmreference.com। Advameg, Inc.। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  3. K. Moti Gokulsing; Wimal Dissanayake (১৭ এপ্রিল ২০১৩)। "4.4 Marathi Cinema by Amrit Gangar"। Routledge Handbook of Indian Cinemas। Routledge। পৃষ্ঠা 134–। আইএসবিএন 978-1-136-77291-7। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  4. "1978-Filmfare Awards"awardsandshows.com। Awards And Shows। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  5. Hansa Wadkar (৮ জুলাই ২০১৪)। You Ask, I Tell: An Autobiography। Zubaan Books। আইএসবিএন 978-93-83074-68-6। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  6. Negi, Manulaa (৫ মার্চ ২০০৫)। "More than a woman's portrayal"। HT Media Limited। Hindustan Times। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.