হলদিয়াপালং ইউনিয়ন
হলদিয়াপালং বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত উখিয়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন।
| হলদিয়াপালং | |
|---|---|
| ইউনিয়ন | |
 ৩নং হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ | |
  হলদিয়াপালং  হলদিয়াপালং | |
| স্থানাঙ্ক: ২১°১৮′৩৪″ উত্তর ৯২°৬′১২″ পূর্ব | |
| দেশ | বাংলাদেশ |
| বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
| জেলা | কক্সবাজার জেলা |
| উপজেলা | উখিয়া উপজেলা  |
| আয়তন | |
| • মোট | ৩৫.২৭ বর্গকিমি (১৩.৬২ বর্গমাইল) |
| জনসংখ্যা | |
| • মোট | ৪৭,৪৬১ |
| • জনঘনত্ব | ১,৩০০/বর্গকিমি (৩,৫০০/বর্গমাইল) |
| সাক্ষরতার হার | |
| • মোট | ২৪.৬৭% |
| সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
| পোস্ট কোড | ৪৭৫০ |
| ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
আয়তন
হলদিয়াপালং ইউনিয়নের আয়তন ৮৭১৬ একর (৩৫.২৭ বর্গ কিলোমিটার)।[1]
জনসংখ্যা
২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী হলদিয়াপালং ইউনিয়নের লোকসংখ্যা ৪৭,৪৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৩,৬৮৯ জন এবং মহিলা ২৩,৭৭২ জন।[2]
অবস্থান ও সীমানা
উখিয়া উপজেলার সর্ব-উত্তরে হলদিয়াপালং ইউনিয়নের অবস্থান। উপজেলা সদর থেকে এ ইউনিয়নের দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার। এ ইউনিয়নের দক্ষিণে রত্নাপালং ইউনিয়ন, পশ্চিমে জালিয়াপালং ইউনিয়ন, উত্তরে রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়ন এবং পূর্বে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন অবস্থিত।
প্রশাসনিক কাঠামো
হলদিয়াপালং ইউনিয়ন উখিয়া উপজেলার আওতাধীন ৩নং ইউনিয়ন পরিষদ। এ ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম উখিয়া থানার আওতাধীন। এ ইউনিয়ন জাতীয় সংসদের ২৯৭নং নির্বাচনী এলাকা কক্সবাজার-৪ এর অংশ। এটি হলদিয়াপালং, মরিচ্যাপালং, পাগলিরবিল ও রুমখাপালং এ ৪টি মৌজায় বিভক্ত।[2]
ওয়ার্ডভিত্তিক এ ইউনিয়নের গ্রামগুলো হল:
| ওয়ার্ড নং | গ্রামের নাম |
|---|---|
| ১নং ওয়ার্ড | পূর্ব মরিচ্যা, মধুঘোনা, কাঠালিয়া, বড়ুয়াপাড়া |
| ২নং ওয়ার্ড | ভালুকিয়া, পাগলিরবিল, ঘোনারপাড়া, ছায়াখোলা |
| ৩নং ওয়ার্ড | বক্তাতলী, লেঙ্গুরবিল, উত্তর বড়বিল |
| ৪নং ওয়ার্ড | পাতাবাড়ী, খেওয়াছড়ি, লম্বাবিল |
| ৫নং ওয়ার্ড | মধ্যম হলদিয়া |
| ৬নং ওয়ার্ড | দক্ষিণ হলদিয়া, মৌলভীপাড়া, পলোয়ানপাড়া |
| ৭নং ওয়ার্ড | দক্ষিণ বড়বিল, ক্লাসপাড়া |
| ৮নং ওয়ার্ড | ধুরংখালী, মহাজনপাড়া, জনবলিপাড়া |
| ৯নং ওয়ার্ড | চৌধুরীপাড়া, কুলালপাড়া |
শিক্ষা ব্যবস্থা
হলদিয়াপালং ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ৩২.৪০%।[1] এ ইউনিয়নে ১টি আলিম মাদ্রাসা, ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি দাখিল মাদ্রাসা, ৩টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৪টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে।[2]
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- আলিয়া মাদ্রাসা
- রুমখাপালং ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা
- মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- মরিচ্যাপালং উচ্চ বিদ্যালয়
- মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়[2]
- নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- এস বি সি বি চৌধুরী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- রুমখাপালং নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- হিলটপ বালিকা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- প্রাথমিক বিদ্যালয়
- উত্তর ধ্রুমখালী মহাজনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- উত্তর বড়বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- গোরইয়ার দ্বীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- দক্ষিণ হলদিয়াপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- নলবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- পশ্চিম হলদিয়াপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- পাগলিরবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- মধ্যম হলদিয়াপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- মরিচ্যাপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- রুমখাপালং হাতীরঘোনা সাইরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- রুমখা বড়বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- রুমখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- সাবেক রুমখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- সালেহা বুলবুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- হলদিয়া পাতাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়[3]
যোগাযোগ ব্যবস্থা
হলদিয়াপালং ইউনিয়নে যোগাযোগের প্রধান সড়ক হল কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক। সব ধরনের যানবাহনে যোগাযোগ করা যায়।
ধর্মীয় উপাসনালয়
হলদিয়াপালং ইউনিয়নে ৭৯টি মসজিদ, ৯টি মন্দির ও ১২টি বিহার রয়েছে।[2]
খাল ও নদী
হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে রেজু খাল। এছাড়া রয়েছে পাগলির খাল।[2]
হাট-বাজার
হলদিয়াপালং ইউনিয়নের প্রধান প্রধান হাট-বাজারগুলো হল মরিচ্যা বাজার, পাতাবাড়ী বাজার এবং রুমখা বাজার।[2]
জনপ্রতিনিধি
- বর্তমান চেয়ারম্যান: ইমরুল কায়েস চৌধুরী[4]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "উখিয়া উপজেলা - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org।
- "এক নজরে উখিয়া - উখিয়া উপজেলা - উখিয়া উপজেলা"। ukhiya.coxsbazar.gov.bd। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭।
- http://180.211.137.51:321/DashboardunionN.aspx?div=4&dis=412&thana=41201&union=03%5B%5D
- "অধ্যক্ষ মোঃ শাহ আলম - হলদিয়াপালং ইউনিয়ন - হলদিয়াপালং ইউনিয়ন"। holdiapalongup.coxsbazar.gov.bd। ২১ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭।
