স্বামী অখণ্ডানন্দ
স্বামী অখণ্ডানন্দ (ইংরেজি: Swami Akhadananda) ( জন্ম: ৩০ সেপ্টেম্বর ১৮৬৪ - মৃত্যু:৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৭) রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন-এর তৃতীয় অধ্যক্ষ ও মিশনের সেবা কার্যের প্রধান উদ্যোক্তা। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ১৭ জন শিষ্যের অন্যতম।[1]
স্বামী অখণ্ডানন্দ | |
---|---|
জন্ম | গঙ্গাধর ঘটক (গঙ্গোপাধ্যায়) ৩০ সেপ্টেম্বর ১৮৬৪ কলকাতা, ভারত |
মৃত্যু | ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭ ৭২) | (বয়স
আখ্যা | রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের তৃতীয় অধ্যক্ষ |
ক্রম | রামকৃষ্ণ সংঘ |
গুরু | রামকৃষ্ণ পরমহংস |
দর্শন | অদ্বৈত বেদান্ত |
প্রাকজীবন
তার পিতার নাম শ্রীমন্ত গঙ্গোপাধ্যায় এবং পিতৃদত্ত নাম গঙ্গাধর গঙ্গোপাধ্যায়। স্বামী বিবেকানন্দর পরিব্রাজক অবস্থার সঙ্গী ও সহচররূপে ভারতে নানা তীর্থ পরিভ্রমণ করেন। ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার দুর্ভিক্ষপীড়িত সারগাছি ও মহিলা গ্রামে সেবা কার্য শুরু করেন। তার জীবনের অন্যতম কীর্তি সারগাছিতে আশ্রম ও কলাশিল্প বিদ্যালয় স্থাপন। মিশনের পত্রিকা "উদ্বোধন"-এ তার ভ্রমণকাহিনী “তিব্বতে তিন বৎসর” প্রকাশিত হয়।
শেষজীবন
১৯২৫ সালে ৬১ বছর বয়সে তিনি মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন-এর সহ অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। স্বামী শিবানন্দ তখন অধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯৩৪ সালে হৃদরোগে ৮০ বর্ষীয় স্বামী শিবানন্দের প্রয়াণে তিনি অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। তবে তিনি বহরমপুর নিকটবর্তী সারগাছি আশ্রমেই বেশি থাকতেন।[2]
তার অধ্যক্ষকালে মাধবরাও সদাশিবরাও গোলওয়ালকরপ্রভাবিত হন। যিনি পরবর্তীকালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ-এর সঙ্ঘচালকের দায়িত্ব নেন।
১৯৩৬ সালে স্বামী শিবানন্দ অধ্যক্ষকালীন সময়েই রামকৃষ্ণদেবের জন্মশতবার্ষিকী কলকাতায় পালিত হয়।
১৯৩৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে কলকাতায় আনা হয়। ১৯৩৭ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ থাকাকালীন বেলুড়মঠে তার জীবনাবসান হয়।
তথ্যসূত্র
- সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ৬, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- "অতিমারিতে অখণ্ডানন্দ"।