স্ফিংক্স

স্ফিংক্স (গ্রিক: Σφίγξ /sphinx/, Bœotian: Φίξ /Phix, আরবি: أبو الهول,) একটি পৌরাণিক সৃষ্টি যার শরীরের নিচের অংশ সিংহাকৃতির এবং উপরে মানব মাথার মতোন।

স্ফিংক্স
দলকিংবদন্তি সৃষ্টি
উপ দলপৌরাণিক হাইব্রিড
অনুরূপ সৃষ্টিগ্রিফিন
পুরাণপারসিক, মিশরীয় এবং গ্রিক
সম্ভবত প্রথম মিশরীয় স্পিংক্স, চতুর্থ রাজবংশ থেকে রাণী দ্বিতীয় হেটেফেস (কায়রো জাদুঘর)।

গ্রিক ঐতিহ্য মতে এদের পশ্চাদ্দেশ সিংহের মত, প্রায়ই এর পাখির ডানার মত বড় ডানা থাকে এবং এর মুখমন্ডল মানুষের মুখের মতোন হয়ে থাকে। পুরাণে একে বিশ্বাসঘাতক এবং নির্দয় হিসেবে বর্ণনা করা হয়। পৌরাণিক গল্পে এর ধাঁধায় ব্যর্থ ব্যক্তিদের একটি নির্দিষ্ট পরিনতি বরন করতে হয়। এসকল ব্যক্তিরা স্ফিংক্সের হাতে খুন হয় এমনকি এই দানব তাদের ভক্ষণ করে।[1] পুরাণে বর্ণিত এ স্ফিংক্সকে অডিপাসের নাটকেও দেখা যায়।[2] গ্রীক পুরাণে এরা নারী-আকৃতির হলেও, মিশরীয় স্ফিংক্সগুলো সাধারণত পুরুষ আকৃতির (এন্ড্রোস্ফিংক্স)। মিশরীয় পুরাণের স্ফিংক্স ছিলো উপকারী কিন্তু গ্রীক পুরাণের স্ফিংক্সের মত একই রকম দুর্দান্ত শক্তিসম্পন্ন। তবে উভয় পুরাণেই এদেরকে বর্ণনা করা হয় মন্দির কিংবা সমতুল্য অঞ্চলের প্রবেশদ্বারের প্রহরীস্বরূপ।[3]

রেনেসাঁস এর সময়ে আধুনিক চিত্রকল্পে স্ফিংক্স ইউরোপে পুনরুজ্জীবিত হয়। পরবর্তীতে, এর ভাবমূর্তি আরও বিভিন্ন সংস্কৃতিতে অপরিবর্তিত ভাবেই প্রতিফলিত হয়, যদিও কিছু ক্ষেত্রে মূলধারার বাইরের কিছু ধারণাও এর সাথে যোগ হতে দেখা যায়।

স্ফিংক্স সাধারণত, স্থাপত্যনিদর্শন যেমন, রাজকীয় সৌধ কিংবা ধর্মীয় মন্দিরের সাথে সম্পৃক্ত। এখন পর্যন্ত পাওয়া সব'চে প্রাচীন স্ফিংক্সটি পাওয়া যায় গোবেলকি তেপে এর কাছাকাছি কর্তিক তেপের প্রায় ১২০ মাইল পূর্বে নেভালি কোরিতে।[4] এটি প্রায় খৃস্টপূর্ব ৯৫০০ সালের স্ফিংক্স।[5]

চিত্রশালা

টীকা

  1. "Dr. J's Lecture on Oedipus and the Sphinx"। People.hsc.edu। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৫-১৫
  2. Kallich, Martin. "Oepidus and the Sphinx." Oepidus: Myth and Drama. N.p.: Western, 1968. N. pag. Print.
  3. Stewart, Desmond. Pyramids and the Sphinx. [S.l.]: Newsweek, U.S., 72. Print.
  4. "Is The Sphinx 12 000 Years Old?"। Dailyavocado.net। ২০১১-০১-২৭। ২০১১-০৬-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৫-১৫
  5. Nicholas Birch in Istanbul (২০০৮-০৪-২৩)। "Birch, N., 7000 Years Older Than Stonehenge: The Site that Stunned Archaeologists, The Guardian, April 2008"। Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৫-১৫

তথ্যসূত্র

  • Clay, Jenny Strauss, Hesiod's Cosmos, Cambridge University Press, 2003. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৫২১-৮২৩৯২-০.
  • Stewart, Desmond. Pyramids and the Sphinx. [S.l.]: Newsweek, U.S., 72. Print.
  • Kallich, Martin. "Oepidus and the Sphinx." Oepidus: Myth and Drama. N.p.: Western, 1968. N. pag. Print.

আরও পড়ুন

  • Dessenne, André. Le Sphinx: Étude iconographique (in French). De Boccard, 1957.

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.